মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(৭ ফেব্রুয়ারী) :: কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন শরনার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের সেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন দেশী বিদেশী এনজিওর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের পাচারের অভিযোগ স্থানীয় লোকজনের। এসব অভিযোগ প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব তেমন দিচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ধরনের রোহিঙ্গা নারী পাচারের সময় একটি এনজিওর গাড়ি থেকে স্থানীয় জনতা তিন জন রোহিঙ্গা নারী ও দুই জন পুরুষকে আটক করে উখিয়া থানায় সোপর্দ করেছে।
কর্মীদের কৌশলে এনজিও গুলো রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের বিভিন্ন ভাবে পাচার করে আসছে অনেকদিন ধরে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উখিয়া বাস ষ্টেশনে মসজিদ মার্কেট এলাকায় এনজিও হিউম্যানি টেরা নামক একটি এনজিও গাড়ি থেকে স্থানীয় লোকজন পাঁচজন রোহিঙ্গাকে আটক করে। উক্ত এনজিওর মাইক্রো বাসে তাদের কর্মীদের সাথে মিশিয়ে এসব রোহিঙ্গাদের অজ্ঞাত স্থানে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রমজান আলী সওদাগর সহ লোকজন বলেন, এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের সেবার নামে নিয়োজিত এনজিও গুলোর কর্তৃক ছদ্মবেশে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ধরনের একটি এনজিওর গাড়ি মসজিদ মার্কেটের সামনে পার্কিং করলে উক্ত গাড়িতে স্থানীয় লোকজন সন্দেহ জনক ভাবে জিজ্ঞেসা করলে কুতুপালং ক্যাম্প-৩ এর করিম উল্লাহ ছেলে মোঃ জুহা (৩০), বালুখালী-১ ক্যাম্পের জি-১৬ ব্লকের কলিম উল্লাহ মেয়ের হুমাইরা (২০) একই ক্যাম্পে সোনা মিয়ার মেয়ে আরেফা বেগম (১৭), জামতলী ক্যাম্পের এ-৩ ব্লকের আয়ুবুল হকের মেয়ে নুর বেগম (১৮) ও থাইংখালী ক্যাম্পে এফ-১০ ব্লকে মোঃ খলিলের ছেলে মোঃ আলী (১৬) নিজেরা রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করে।
এ সময় সুচুতুর এনজিও হিউম্যানি টেরা এনজিওর মাইক্রো বাস চালক দ্রুত রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি (চট্ট মেট্টো শ ০০-১২৫) নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ধারনা করছে উক্ত গাড়িতে থাকা গাড়ি চালক ও এনজিও কর্মীরা যোগসাজস করে এসব রোহিঙ্গাদের পাচার করছিল।
পরে স্থানীয় লোকজন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরীকে ফোনে জানালে তিনি দ্রুত উখিয়া থানা থেকে পুলিশ পাঠিয়ে উক্ত রোহিঙ্গাদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়।
Posted ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta