শহিদুল ইসলাম সীমান্ত থেকে ফিরে(৩০ আগস্ট) :: কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অাস ছে বানের স্রােতের মত হাজার হাজারো রোহিঙ্গা নাগরিক। সীমান্ত এলাকার পরিস্তিতি শান্ত বলে বিজিবির দাবী। তাদের মতে কোন রোহিঙ্গা অনু প্রবেশ ঘটেনি।
বুধবার সীমান্তের রেজু অামতলী গিয়ে দেখা যায়,শত শত রোহিঙ্গারা জড়ো হয়ে টমটম গাড়ী যোগে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা বস্তিতে ঢুকে পড়ছে।
মিয়ানমার থেকে অাসা লোকজনের গরু,ছাগল,মুরগি স্হানীয় কতিপয় যুবক লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। ওই সীমান্ত এলাকা পরিদশর্ন কালে কোন বিজিবি সদস্যদের দেখা যায়নি। বাধা হীন ভাবে রোহিঙ্গারা তাদের গন্তব্য স্হলে চলে যাচে্ছ ।
তাদের মতে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও রাখাইন যুবকেরা মুসলমান দের বাড়ী ঘুরে অাগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে এবং পুরুষ দের ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। তারা প্রান ভয়ে পালিয়ে অাসছে। মিয়ানমারের গন হারে গন হত্যা।
এ পযর্ন্ত মিয়ানমারের মগ সেনারা কয়েক হাজার রোহিঙ্গা কে হত্যা করা হয়েছে বলে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে অাসা রোহিঙ্গাদের অভিযোগ।
সীমান্তে ঘুমধুম ইউনিয়নের অাজুখাইয়া ও রেজুঅামতলিতে কয়েক শত টমটম গাড়ী রোহিঙ্গাদের নিয়ে অাসার জন্য অপেক্ষা করছে। জন প্রতি একশত টাকা করে হাতিয়ে নেয়। ছাগলের দামে পাওয়া যাচ্ছে গরু।
এনজি ও অাইও এম এর প্রোগাম অফিসার সৈকত বিশ্বাস জানান গত কয়েক দিনে ১৮ হাজার রোহিঙ্গা দেশ ত্যাগ করে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা শর নার্থী শিবিরে ঢুকে পড়েছে।
বালুখালী বস্তির লালু মাঝি জানান গতকাল পযর্ন্ত ১হাজার ৩ শ ৮৫ পরিবার ঢুকে পড়েছে।
কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ নুর বলেন,অসংখ্য রোহিঙ্গা শিবিরে ঢুকে পড়েছে।
বুধবার সকালে রেজু অামতলী এলাকায় দেখা হয় ৭৫বছর বয়সী রোহিঙ্গা অাবদুল গফুর বলেন গত পাচঁ দিন ধরে পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে না খেয়ে অবস্হান করি।
বুধবার সকালে ওয়ালিদং পাহাড় পার হয়ে কোন রকম এখানে এসেছি। তার বাড়ী মিয়ানমারের মংডু থানার সাহেব বাজার ইউনিয়নের নারাইন সং গ্রামের মৃত নুর অাহম্মদের ছেলে।
মংডু ফকিরাবাজার এলাকার অাবদুল গফুরের ছেলে জাহাঙ্গীর অালম বলেন,তার এলাকায় তিন শতাধীক মানুষ চলে এসেছে। তার পাশ্বর্বতী গ্রামে অাগুন দিয়ে ঘরবাড়ী পুড়িয়ে দেওয়ায় চলে এসেছি এপারে। একই গ্রামের অাবদুল কাদের বলেন গত শনিবার সকালেবাড়ীতে বের হয়ে মিয়ানমারের বড় দুইটি পাহাড়ে্র গহীন বনে লুকিয়ে থাকি।
মঙ্গলবার রাতে শতাধিক মগ সেনাদের দেখতে পেয়ে পাহাড়ের লুকিয়ে থাকি।তারা চলে যাওয়ার পর ৩০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে এপারে এসেছি। এখন ওপযর্ন্ত কিছু খাইনি।
মিয়ানমারের ফকিরাবাজার মিজঝলি পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ কাশিমের ছেলে মোহাম্মদ তৈয়ব বলেন,গতদুই দিন অাগে সীমান্ত এলাকায় অাসি। অাজ বুধবার সকালে সীমান্ত অতিক্রম করে এদেশে প্রবেশ করি। অামার বাবা, মা রেখে পালিয়ে এসেছি।
মিয়ানমারের ফকিরাবাজারের নুরুল ইসলাম বলেন,অামার চারটি গরু এপারের কিছু যুবক লুট করে নিয়ে গেছে। তার সাথে অারো পাঁচ পরিবার চলে অাসি। বতর্মানে মিয়ানমার জিরো পয়েন্ট এলাকায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা এ দেশে পাড়ি দিতে তাবু টাঙ্গগিয়ে অাশ্রয় নেয়।
৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে:কনের্ল মনজুরুল হাসান খান বলেন,সীমান্তের পরিস্তিতি শান্ত রয়েছে। তবে মিয়ানমার জিরো পয়েন্ট এলাকায় রোহিঙ্গারা এপারে অাশ্রয় নিতে অপেক্ষা করছে।তিনি অারো বলেন কোন রোহিঙ্গা দের সীমান্ত করতে দেওয়া হবে না।
Posted ৫:০৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩০ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta