ডিআরডিও’র প্রাক্তন প্রধানের পর ইসরোর প্রাক্তন প্রধান৷ কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলে প্রাক্তন ইসরো প্রধান জি মাধবন নায়ের জানান, এক দশক আগেই ভারত মহাকাশে ক্ষেপনাস্ত্র পাঠিয়ে স্যাটেলাইট ধ্বংস করতে পারত৷ সেই যোগ্যতায় পৌঁছে গিয়েছিল দেশের মহাকাশ গবেষণা৷ কিন্তু তখন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছিল না৷

মহাকাশে অ্যান্টি স্যাটেলাইট ক্ষেপনাস্ত্র পাঠিয়ে কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করেছে ভারত৷ বিশ্বের চর্তুথ দেশ হিসাবে এই কৃতিত্ব এখন ভারতের দখলে৷ তারপর থেকে বিরোধীদের দাবি, ‘মিশন শক্তি’র সাফল্যের কৃতিত্ব শুধুমাত্র বিজ্ঞানীদের৷ মোদীর নন৷ কিন্তু ডিআরডিও ও ইসরোর প্রধানদের মন্তব্য অন্য কথাই বলছে৷

প্রাক্তন ইসরো প্রধান

এদিনই ডিআরডিও’র প্রাক্তন প্রধান দাবি করেন, ২০১৩-১৪ সালে ইউপিএ সরকার এই প্রজেক্টের কাজ আটকে দিয়েছিল৷ নইলে ভারতের মুকুটে তখনই মহাকাশ বিশ্বে সুপারপাওয়ার হওয়ার পালক যুক্ত হত৷ একই কথা শোনা গেল ইসরোর প্রাক্তন প্রধানের গলাতে৷ তাঁর দাবি, ২০০৭ সালে প্রযুক্তিগত দিক থেকে ভারত সেই উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল৷ সেই সময় ভারত মহাকাশে মিশাইল পাঠিয়ে স্যাটেলাইট গুড়িয়ে দিয়ে আসতে পারত৷ তাহলে তখন কেন এই প্রকল্প সাফল্যের মুখ দেখল না? প্রশ্ন ওঠায় প্রাক্তন ইসরো প্রধান বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে এত বড় ধরনের পরীক্ষা করা সম্ভব নয়৷

বিরোধীরা যতই দাবি করুক মিশন শক্তির কৃতিত্ব মোদীর নয়, বিজ্ঞানীদের কিন্তু বিরোধীদের এই জায়গাতেই আঘাত হেনেছেন জি মাধবন নায়ের৷ তাঁর মতে, এই ধরনের পরীক্ষার জন্য উদ্যোগ, সাহস ও সদিচ্ছা থাকা দরকার৷ যেটা মোদী করে দেখিয়েছেন৷

তিনি বলেন, ‘‘মোদী উদ্যোগ নিয়েছেন৷ তিনি সদিচ্ছা ও সাহস দেখিয়েছেন৷ বিজ্ঞানীদের এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দেখিয়েছেন৷ তাই আজ গোটা বিশ্ব ভারতের ক্ষমতা দেখেছে৷ মহাকাশেও ভারত এখন সুপার পাওয়ার৷’’

২০০৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত জি মাধবন নায়ের ইসরোর প্রধান ছিলেন৷ সেই সময় কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস পরিচালিত ইউপিএ সরকার৷