কক্সবাংলা ডটকম(২৬ সেপ্টেম্বর) :: চলতি এশিয়া কাপে পাকিস্তান যেরকম খেলছিল আশঙ্কা হচ্ছিল, ফাইনালে হয়তো মিনি বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তানের জায়গা হবে না। সেটাই হল। বুধবার আবুধাবিতে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে 37 রানে হেরে বিদায় নিল পাকিস্তান। গতবারের মত এবারও এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ।
শুক্রবার দুবাইয়ে ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কাছে সুযোগ গতবারের নাটকীয় হারের প্রতিশোধ নেওয়া। আজ পাকিস্তানকে সব বিভাগেই হারাল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান পুরোন আঙুলের চোটের কারণে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যান এই ম্য়াচ শুরুর আগে।
তবু চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠতে বাংলাদেশকে বিশেষ বেগ পেতে হল না। ভারতের বিরুদ্ধে ম্য়াচের পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সরফরাজদের ব্যাটিং ফ্লপ করল। জয়ের জন্য 240 রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান 9 উইকেটে করল 202 রানে। পাকিস্তানকে পরপর চারটে ওয়ানডে ম্যাচে হারাল বাংলাদেশ। তবে 50 ওভারের ফরম্যাটে এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে এই প্রথম হারাল বাংলাদেশ।
কার্যত সেমিফাইনালে রান তাড়া করতে নেমে মাত্র 16 রানের মধ্য়ে 3 উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান। শোয়েব মালিক (30) আউট হওয়ার পর মনে হচ্ছিল আবুধাবিতে আজ বাঙালীদের জয় আসতে চলেছে। তবে অন্য প্রান্তে ইনজামাম উল হকের ভাইপো ওপেনার ইমাম উল হক দারুণ খেলছিলেন। মেহমদুল্লার বলে ইমাম (81) আউটের পর পরিষ্কার হয়ে যায় বাংলাদেশ জিততে চলেছে। ভারতের কাছে সুপার ফোরে হারের পরেও পরপর দুটো ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠল।
প্রথমবার এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে অবশ্য সাকিব আল হাসানকে পাবে না বাংলাদেশ। আজ একেবারে কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েে 99 রানের ইনিংস খেলে মাতিয়ে দিলেন মুশফিকুর রহমান। বল হাতে আগুন ঝরালেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। 43 রানে 4 উইকেট নিলেন মুস্তাফিজুর।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দুরন্ত শেষ ওভারের পর পাকিস্তানকে আজ কাঁপিয়ে দিল ফিজের আগুন। ইনিংসের প্রথম ওভারে বল করা মিরাজ পাকিস্তানকে প্রথম ধাক্কাটা দেন। প্রথম ওভারেই পাকিস্তানের ওপেনার ফকর জামান (1)- কে আউট করেন মিরাজ।
বুধবার আবুধাবিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত 50 ওভারে সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ করল 239 রান। মুশফিকুর রহমান 99 রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন। মাত্র 12 রানের মধ্যে 3 উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। মহম্মদ আমেরহীন পাকিস্তান পেস বোলিংয়ে আজ আগুন ঝরল। পাক পেসার জুনেইদ খান পরপর আউট করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার (0), লিটন দাস (6)-কে।
শাহিন আফ্রিদি আউট করেন তিন নম্বরে নামা মইনুল হক (6)-কে। এরপর চতুর্থ উইকেটে দারুণ খেলতে থাকেন মুশফিকুর-মিঠুন। দুজনে 144 রান যোগ করেন। মিঠুনকে (60)-কে আউট করেন পাক পেসার হাসান আলি। তবে অন্য প্রান্ত মুশফিক দারুণ খেলছিলেন। 41.4 ওভারে মুশফিক যখন ফিরলেন, দলের স্কোর 6 উইকেটে 197।
শাহিন আফ্রিদির বলে 99 রানে আউট হন মুশফিক। মাত্র ক রানের জন্য চলতি এশিয়া কাপে তাঁর দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা পেলেন না মুশফিক। এশিয়া কাপে এই প্রথমবার মতো কোনো ব্যাটসম্যান আউট হলেন 99 রানে। 9টি বাউন্ডারিতে 99 রানে মুশফিকের সেঞ্চুরি পাওনাই ছিল। মুশফিক ফেরার পর বাংলাদেশ ইনিংস ঝিমিয়ে পড়ে। শেষ আট ওভারে বাংলাদেশ মাত্র 40 রান যোগ করে। পাক পেসার জুনেইন খান 19 রান দিয়ে নেন 4টি উইকেট। 
