প্রেস বিজ্ঞপ্তি(২৩ জানুয়ারি) :: চলমান শৈবাল রক্ষা আন্দোলনের অংশ হিসেবে পর্যটন খ্যাত দেশী-বিদেশী পর্যটকদের বিনোদনের অন্যতম স্থান মানুষের নিশ্বাস ফেলার জায়গা কক্সবাজারবাসীর প্রাণের স্পন্দন ও স্বনামধন্য মোটেল শৈবালটি একটি বিতর্কিত গ্র“প ওরিয়ন ট্যুরিজম এর নামে ৫/৬ হাজারের কোটি টাকা দামের এই সম্পদ পর্যটন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করার গৃহিত প্রস্তাব প্রত্যাহার ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও স্থানীয় ভুমিদস্যু স্বার্থন্বেষী মহলকে এই অপচেষ্টা থেকে সরে যাওয়ার মানববন্ধন থেকে দাবী জানানো হয়।
অন্যথায় কক্সবাজারের সচেতন মহলসহ চলমান আন্দোলন করে আসা সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকল দেশপ্রেমিক সচেতন কক্সবাজারবাসীদের সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হব।
২৩ জানুয়ারি সকাল ১১টায় কোর্ট চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে মিছিল সহকারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে একটি শ্রেণির সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময়কালে কক্সবাজারের সম্পদ রক্ষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা মিছিল সহকারে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে মন্ত্রী মহোদয় অত্যন্ত ধৈর্য্য ধরে আন্দোলরত নেতৃবৃন্দের দাবী গুলো গুরুত্ব সহকারে শোনেন এবং আন্দোলনরতদের আশ্বস্থ করে বলেন কক্সবাজারের মোটেল শৈবাল ইজারা বা লীজ দেওয়ার ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় কর্তৃক নেওয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার কিংবা স্থগিত রাখার আশ্বস্থ করেন।
২৩ জানুয়ারি সকাল ১১টায় কোর্ট চত্বরে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কক্সবাজার সম্পদ রক্ষা আন্দোলনে সভাপতিত্ব করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ’৭১ এর সভাপতি ও সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, সভায় বক্তব্য রাখেন-ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল, কমরেড গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী জিন্নাত, মুফিজুর রহমান মুফিজ, সমীর বরণ পাল, মুক্তিযোদ্ধা মনসুর উল হক, মুক্তিযোদ্ধা মায়া রাখাইন, মুক্তিযোদ্ধা বাবু রঞ্জিত শীল, কামাল উদ্দিন পিয়ারু, নাজিম উদ্দিন, করিম উল্লাহ কলিম, এড.আহছান উল্লাহ, মাষ্টার ইকবাল, আসাফউদদৌল্লাহ আসিক, সৈয়দুল হক আজাদ, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, মংহ্লেলা রাখাইন, আনোয়ার হাসান, আমান উল্লাহ, এইচ.এম. নজরুল ইসলাম, সামরান সিকদার প্রমুখ।
Posted ১:০৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta