কক্সবাংলা রিপোর্ট(১৫ জুলাই) :: কক্সবাজার জেলায় গত এক সপ্তাহ টানা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার পর বাজারগুলোতে প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। কক্সবাজার পৌরসভার বাজারগুলোতে এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল ৬০ টাকায়।গত কয়েকদিনের বৃষ্টির অজুহাতে এক লাফে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। যে টমেটো ৬০-৭০ টাকায় মিলছিল তা কিনতে হচ্ছে ১০০ টাকায়।দেশীয় করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
আর বেগুন কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।৬০ থেকে ৮০ টাকার কমে মিলছে না পটোল, কাঁকরোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, বরবটিসহ কোনো সবজিই। বাধ্য হয়ে নিম্ন আয়ের লোকদের ভরসা করতে হচ্ছে কচু, আলু, পেঁপে,শশা মিষ্টি কুমড়ার ওপর।
অবশ্য বর্ষাকালে সবচেয়ে কম দামি সবজি হিসেবে পরিচিত পেঁপের দামও বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
সোমবার কক্সবাজার শহরের বড়বাজার,বাহাড়ছড়া বাজার,কানাইয়া বাজার সহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম চড়া।গত এক সপ্তাহ টানা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার পর বাজারগুলোতে প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে।
১৫ জুলা্ই সোমবার সারাদিন রৌদ থাকায় শবজির চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগে আরেক দফা দাম বাড়িয়েছেন দোকানিরা।
সম্প্রতি সাগরে মাছ ধরা বন্ধ এবং সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বেড়েছে।স্থিতিশীল রয়েছে মুরগির দাম। ১৩৫ টাকার ফার্মের মুরগি বিক্রি করা হচ্ছে।আর রুপালি কক ২৬০ টাকা এবং দেশী মুরগী ৪২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। ডিমের দাম বেড়েছে ডজনে ৫-১০ টাকা। ৯০-৯৫ টাকার ডিম এখন ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান,এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি ও বন্যায় সবজির উৎপাদন এবং সরবরাহ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের উৎপাদনে।
তবে ভোক্তাদের দাবি, ষড়ঋতুর এ দেশে রোদ-বৃষ্টি-শীত তো থাকবেই। এগুলোকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে দাম বাড়ান ব্যবসায়ীরা। কিন্তু পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কোনো পণ্যের দাম কমানো হয় না।
মূলত সিন্ডিকেট ব্যবসায়ের জন্যই সবচেয়ে বেশি তিগ্রস্ত হন সাধারণ ভোক্তারা।
Posted ১:০২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta