বুধবার ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

বুধবার ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কক্সবাজার শহর জুড়ে সক্রিয় সশস্ত্র ছিনতাইকরী চক্র

সোমবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৮
352 ভিউ
কক্সবাজার শহর জুড়ে সক্রিয় সশস্ত্র ছিনতাইকরী চক্র

সাইফুল ইসলাম(২৩ এপ্রিল) :: কক্সবাজার শহরে ও শহরতলীতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে সশস্ত্র ছিনতাইকরী চক্র। প্রতিদিন কোন না কোন পয়েন্টেই ছিনতাই শিকার হচ্ছে স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকেরা। পুলিশসহ আইনশৃঙখলা বাহিনী অভিযান জোরদারের কথা বললেও ছিনতাই রোধ করতে পারছে না পুলিশ। বরং ছিনতাইয়ের মাত্রা দির দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এমনকি পুলিশের নাকের ডগা পুলিশ সুপার কার্যালয় এলাকায়ও ঘটছে সশস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা। প্রতিদিন কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০/১২ জন ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী আসামী ধরলেও ছিনতাইকারীদের মূলহোতা ধরা না পড়ায় ছিনতাই সংখ্যা বাড়ছে।

শহরের বিভিন্ন স্থরের লোকজন দাবি করেন, পুরো শহরজুড়ে এখন ছিনতাইকারীর ভয় মানুষকে তাড়া করছে। রাত নামলেই এখন ছিনতাই নিয়ে আতঙ্ক থাকে মানুষ। এতে প্রয়োজনীয় কাজ থাকলেও রাত নামলেই আর বাইরে বের হতে চাচ্ছেন না অনেকে। এমনকি দিনের বেলায়ও নির্জন স্থানে ওৎপেতে রয়েছে ছিনকারীর দল। সুযোগ বুঝে ছিনিয়ে নিচ্ছে মানুষের জিনিসপত্র। এতে নির্জন স্থানেও অনিরাপদ বোধ করছে।

জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল শনিবার সকাল ৮টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব কোণের সড়কে প্রাইভেট পড়তে যাওয়া সামিরা সুলতানা বকেয়া নামে এক কলেজ ছাত্রীকে ছুরি ঠেকিয়ে তার মোবাইল ও ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় একদল ছিনতাইকারী। একই ভাবে গত ৪ এপ্রিল রাত পৌনে নয়টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শাহেদা হাসান নামের এক নারী ছিনতাইয়ের শিকার হন।

ছিনতাইকারীরা স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, হাত ব্যাগ ও ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশের নাকের ডগায় সংঘটিত এই দুই দুধর্ষ ছিনতাইয়ের ঘটনা শহরে বসবাসকারী লোকজনে ভাবিয়ে তুলেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শহরের প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি পয়েন্টে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে প্রতিনিয়তে। এসব স্পটগুলো বাসটার্মিনাল এলাকায়, আলিরজাহাঁলসহ সিটি কলেজের আশপাশে, সৈকতের হোটেল সী-ওয়ার্ল্ড রোড, বাহারছড়ার জাম্বুর মোড়, সার্কিট হাউসের উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ের চত্বর, লালদীঘির পাড়ের বিহারি গলি, হাসপাতাল রোড, কালুর দোকান, বার্মিজ মার্কেট, খুরুশস্কুল রাস্তার মাথা, বিজিবি ক্যাম্পের নারিকেল বাগান, প্রধান সড়কের সাবমেরিন ক্যাবল এলাকা, সিটি কলেজের সামনে, হাশেমিয়া মাদ্রাসা পয়েন্ট, কলাতলীর প্রধান সড়কের টিএন্ডটি অফিসের সামনে, আদর্শ গ্রামের সামনেসহ শহরের ডায়াবেটিক পয়েন্ট, কস্তুরাঘাট এলাকা, থানার পিছন রোড, ফায়ার সার্ভিস মসজিদ রোড, গোলদিঘীর পাড়, সদর হাসপাতাল সংলগ্ন সড়ক, কক্সবাজার কেজি ও মডেল হাই স্কুল সড়ক, ফুলবাগ সড়ক, হোটেল নিদমহল সংলগ্ন গলি ও শেখ রাসেল সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইকারীর উপদ্রব দিন দিন বেড়েই চলছে। আবার এসব ছিনতাইকারীরা সমুদ্র সৈকত এলাকায় সিন্ডিকেট করে পর্যটকদের জিম্মি করে সবকিছু হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও জানা গেছ।

আইনজীবী মনিরুল ইলাম বলেন, কক্সবাজারের মতো একটি পর্যটন শহরে এখন শুধু রাত নয় দিন-দুপুরেও ঘটছে ছিনতায়ের ঘটনা। এমনকি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনেই একের পর এক ঘটছে দুধর্ষ ছিতনতাই। এর ফলে আমরা শহরবাসী আতঙ্কিত ও চিন্তিত হয়ে পড়েছি

এ ব্যাপারে সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ মো. সোহলে বলেন, যেখানে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনেই ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। সেখানে অন্য এলাকার কি অবস্থা হবে। এখন শহরজুড়ে ছিনতাইকারীর দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সব নির্জন স্থানে এখন ছিনতাকারীরা ওৎপেতে রয়েছে। এসব সশস্ত্র ছিনতাইকারীরা হামলে পড়লে মানুষের উপর। শুধু তাই নয়; সুযোগ বুঝে জনাকীর্ণ স্থানেও অস্ত্রের মুখে ছিনিয়ে নিচ্ছে মূল্যবান জিনিসপত্র।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আলীরজাহাল থেকে শুরু করে পিটিস্কুল পর্যন্ত একটি বড় ছিনতাইকারী চক্রের গ্রুপ রয়েছে। এই চক্রের সবাই দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়ার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন। তারা বাসটার্মিনাল থেকে শহরের ঝাউতলা পর্যন্ত টমটমে করে চষে বেড়ান। মূলত টমটমের যাত্রীরাই তাদের একমাত্র টার্গেট। এই ভয়ংকর চক্রটি সন্ধ্যার পর থেকে তৎপর হয়ে উঠে। তারা টার্গেট করে যাত্রী বেশে টমটমে উঠে পড়ে।

শহরের আসার পথে আলীরজাঁহাল থেকে হাশেমিয়া মাদ্রাসা ব্রীজ পর্যন্ত স্থানে সুযোগ বুঝে ছুরির মুখে টমটম চালক ও যাত্রীদের জিম্মি করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। তবে ভীতি সৃষ্টির জন্য অধিকাংশ ঘটনায় ছুরিকাঘাত করে। অন্যদিকে আরেকটি ভয়ংকর ছিনতাকরী গ্রুপ হচ্ছে ‘সিএনজি সিন্ডিকেট’। এই সিন্ডিকেটটি কলাতলী ও হাসাপাতাল এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। গত তিন মাসে অর্ধশতাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দীন খন্দকার জানান, ছিনতাইকারী ও অপরাধীকে ধরার প্রশাসন শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘ছিনতাইয়ের বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছি। প্রতিদিন অভিযান চলছে।

বেশ কয়েকজন ছিনতাকারীকে আটকও করেছি। সাধারণ লোকজনকের আহ্বান জানাচ্ছি, ছিনতাইকারীর অবস্থানসহ কোনো তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশকে জানাবেন। আমরা সাথে সাথে অভিযান চালাবো।

352 ভিউ

Posted ১১:৫১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com