শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,সদর(৫ ডিসেম্বর) :: কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি বনবিট কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলা ও অর্থ লোভের কারণে প্রতিনিয়ত লুটে নিচ্ছে মূল্যবান গর্জন গাছ। এসব গাছ লুটে নিয়ে অবৈধভাবে তৈরী হচ্ছে নৌকা-বোট। এসব কাজে সহযোগিতা দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে দায়িত্বরত কর্মকর্তা। ফলে ফুলছড়ি বিটসহ পার্শবর্তী বেশ কটি বিটের মূল্যবান গাছ উজাড় হতে চলেছে। অসহায় হয়ে পড়েছে এ বিটের দায়িত্বরতরা।
গত ৩০ নভেম্বর রাতে ফুলছড়ি বনবিটের খেলিবিলের বনভূমি থেকে ৭টি মুল্যবান গর্জন কেটে নিয়ে যাওয়ার ফলে প্রশ্ন উঠে সংশ্লিষ্ট বনরক্ষকের ভুমিকা নিয়ে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ফুলছড়ি বনবিটের অধীন খেলিবিলের মিজ্জির ঘোনা, কেরামতের ঘোনা, রমজানের ঘোনা, প্রফেসরের ঘোনা এলাকা থেকে গভীর রাতে ৭টি গর্জন গাছ কেটে নেয়ার সময় স্থানীয়রা বিট কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি জেনেও কোন ধরণের প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এতে করে প্রায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের ৭টি গর্জন গাছ নিয়ে গেছে বনদস্যুরা।
স্থানীয়রা জানান, নতুন অফিস, ইসলামপুর, খুটাখালীতে ৬/৭টি বোট-নৌকা তৈরী করা হচ্ছে। এসব নৌকা-বোট তৈরীতে সহযোগিতা করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তা। যার ফলে কোন ধরণের পদক্ষেপ না নিয়ে নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করার কারণে প্রতিদিন ফুলছড়ি বিট থেকে উধাও হচ্ছে বনের মূল্যবান গাছ।
এলাকাবাসী দাবী করেছে, দায়িত্বরতরা চাকুরীর নামে বন সম্পদ লুটপাট ও নিজেদের আখের গোছাতে গোপনে গাছ চোরদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে।
এতে করে ওই এলাকায় বনখেকোদের উৎপাত দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিট কর্মকর্তার রহস্যজনক ভুমিকার কারণে দায়িত্বরত বনমালী, হেডম্যান, ভিলেজাররাও সুযোগ বুঝে এ কাজে জড়িয়ে পড়ছে বলে অনেকে জানান। বনখেকো ও কাঠ চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই ফুলছড়ি বনবিট এলাকায় জনবসতি বাড়বে পাশাপাশি বনভুমি বিরাণ ভুমিতে পরিণত হবে।
এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: আবদুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হক মাহবুব মুর্শেদের নির্দেশক্রমে ঘটনার পরপরই সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ৭টি গর্জন কাটার চিহ্ন পাওয়া গেছে।
Posted ৭:১৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta