স্বপন চক্রবর্ত্তী,নিউইয়র্ক,যুক্তরাষ্ট্র থেকে(২৩ মার্চ) :: বিপন্ন, বিপর্যস্ত, মুখ থুবড়ে পড়া মানুষের চিরকালের পরম সহায় ঈশ্বরের মতই মানুষেরই অন্তরে বাস করে নিরন্তর ~ তা’ হচ্ছে – আশা! আশাতেই তো বাঁচে মানুষ ! এ ছাড়া হতাশ মানুষের আর থাকেই বা কি ! একাত্তরের ভয়াবহ যুদ্ধকালীন সময়েও ভীত সন্ত্রস্থ মানুষ, যারা ঘরবাড়ি সহ জীবনের সমস্ত বৈষয়িক অর্জন হারিয়ে সর্বসান্ত হয়ে পথে বসেছিলেন- তাদেরকেও বেদনাতুর মুখে বলতে শুনেছি – ‘একদিন কেটে যাবে এই কঠিন সময়’। এই আশাই মানুষকে জীবনের যুদ্ধে নিয়ত সক্রিয় থাকার জন্যে পর্যাপ্ত জ্বালানি যোগায় । তারপর সত্যিই একদিন কেটে যায় সেই ভয়াবহ দিন ! নতুন সূর্যের আলো নিয়ে আসে নতুন আশার বাণী !
যখন করোনার মত মহামারী বা একাত্তরের মত যুদ্ধ আসে যা মানুষের চিন্তারও বাইরে ছিল এবং সার্বিক পরিসরে বিপুল ক্ষতিসাধন করে যায়- গণমানুষের জীবনে, রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কাঠামোয়, রাষ্ট্রীয় নৈমিত্তিক ব্যবস্থাপনায় বা নাগরিক অধিকারেও ! তখন মানুষেরই নির্বাচিত সরকার যদি যথাসময়ে যথাযোগ্য পদক্ষেপ না নেয়, বরং আগত সমস্যাকে পাত্তাই না দিয়ে সেই সমস্যা নিয়ে উপহাসের আয়োজন করে- তখন বলতেই হয় -সে দেশের মানুষের দূর্ভাগ্য যে অমন সরকার তারাই নির্বাচন করেছে, সে জেনেই হোক বা দলবাজীর জন্যেই হোক ! এমনতর জাতীয় দূর্যোগে সরকারকে নিতে হয় ত্রাতার ভূমিকা দলমত নির্বিশেষেই ।
চীন, ইটালী ও ইরানের সার্বিক অবস্থা দেখেও যথাসময়ে যা সতর্কতা নেবার দরকার ছিল, তা’নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও বাংলাদেশের মত কিছু রাষ্ট্র। বরং এই করোনাকে প্রথমদিকে তারা শুধু পাত্তা দেয়নি তাই নয় -বরং তা’ নিয়ে উপহাসও করেছে।বাংলাদেশ সরকার সামাজিক দূরত্ব রক্ষার কড়া নির্দেশ দেয়ার পরিবর্তে বরং আয়োজন করেছে মুজিব বর্ষের নামে বিপুল জনসমাগম, আয়োজন করেছে নির্বাচনেরও ! যুক্তরাষ্ট্রেও প্রাথমিক নির্বাচনের আয়োজন ছিল এরমধ্যেই ! যেখানে গণহারে মানুষ মরছে ভিন্ন দেশে – সেই ভাইরাসটি যে যে কোন দেশেই আগ্রাসী হতে পারে সেই দূরদর্শিতা অনেক সরকারেরই ছিল না ! যখন সতর্ক হয়েছে সেসব সরকার, তখন যে অনেকটাই দেরী হয়ে গেছে – তাও স্বীকার করবে না এইসব সরকারের নেতৃত্ব ! – শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেই যাবে রাজনীতির নিজস্ব স্বার্থেই ! ফলাফল হবে অতি ভয়াবহ- তার মূল্য চুকাবে সাধারণ জনগণ ! গণহারে মরবে সহায়হীন মানুষ ! যেমনটি দেখা যাচ্ছে, গালভরা বিশ্বের রাজধানী দাবী করা এই খোদ নিউইয়র্কেই !
চারদিন আগের চেয়ে আজ এই মুহূর্তে সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ীই আক্রান্তের হার চারগুণ, মৃত্যুর হারও ! শুধু ভরসার কথা একমাত্র- এখানকার স্থানীয় নেতৃত্বে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে – মানুষের কল্যাণ সাধনের সৎচিন্তা আছে। যে গুণটি বাংলাদেশ বা ভারতের নেতৃত্বে কদাচিৎ দেখা যায় ! অনেক দেরীতে হলেও পশ্চিমবঙ্গে মমতাদেবী কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের পদক্ষেপ সেক্ষেত্রে যে আশানুরূপ নয়, তা’ সেখানকার ভূক্তভোগী মানুষদের হাহাকারেই শোনা যাচ্ছে !
নিউইয়র্ক সহ উত্তর আমেরিকার অনেক রাজ্যে লকডাউন চলছে। পথে ঘাটে কোন মানুষই দেখা যাচ্ছে না, ক্বচিৎ একটি দুটি গাড়ির চলাচল দেখা যাচ্ছে । সামাজিক বিচ্ছিন্নতায় করোনা ভাইরাসটি ছড়ানোর ক্ষেত্রে যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে তার প্রমাণ স্বরূপ দেখা যাচ্ছে – দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ! এইসময়ে সাধারণ নাগরিকদের সতর্ক করার ও নির্দেশনা যথাযথ কার্যকর করার সম্যক দায়িত্বও সরকারেরই ! ভাইরাসমুক্ত হলে আবার তো জনজীবন স্বাভাবিক হবেই। এই আশাতেই মানুষকে প্রাথমিক সতর্কতা নিতেই হবে – নিজেদেরই বাঁচার স্বার্থে !
সরকারী দায়িত্ববান কর্তা, কর্মচারীরা, ডাক্তার, নার্সরা নিজেদের জীবনকে বিপন্ন করে মানুষের সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তাদের এই আত্মত্যাগের জন্যে আমাদের বিনম্র কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক সাধুবাদ জানানোই একান্ত কর্তব্য ! কদিন আগেও কোলকাতায় ডাক্তার, নার্সদের প্রতি অকারণ নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছিল দলবাজীর দৌলতে! অথচ, আজ সেই ডাক্তার, নার্সরাই নিজেদেরই জীবন বিপন্ন করে গণমানুষের সেবায় নিয়োজিত হয়েছেন পেশাগত দায়িত্ববোধের প্রেক্ষিতে !
আজ ঝলমলে দিন নিউইয়র্ক শহরে । যদিও ঠান্ডার প্রকোপ কিছুটা এখনও রয়েছে। জনমানবহীন পথ যেন অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে দু’ধারের স্থবির গাড়ি ও সুনসান বাড়িগুলোর দিকে ! কখনও কখনও বেজে উঠছে মুঠোফোন বা বাড়ির ফোন । অনতিক্রমণীয় এক মৃত্যুভয় যেন বাতাসে ভাসছে, ভারি করে রাখছে সব মানুষেরই বুকের অতল! কখন মুক্তি পাবে মানুষ এই দূর্যোগ থেকে, এই দূর্ভোগ থেকে ! কেউই জানে না । তবে, পাবে তো অবশ্যই । চিরকালই মানুষ অতিক্রম করে এসেছে সমস্ত দূর্যোগের ঘনঘটা, নতুন করে শুরু করেছে জীবনের পাঠ ! সেই নতুন দিনের আলোর জন্যে মানুষের আশাবৃত মন মানুষকে সচেষ্ট রেখেছে চিরকালই, এবারও নিশ্চয় তার অন্যথা হবে না। আশাতেই যে মানুষ বাঁচে!
জীবনের সব আনন্দে, বেদনায় আলখাল্লা বুড়ো পায়ে পায়ে এসে দাঁড়ান পাশে, একটুখানি ঝুঁকে, পেছনে হাত দুটো মুঠো করে ধরে, মুখে তাঁর চিরাচরিত স্মিত হাসি নিয়েই ~
ছড়িয়ে দেয়া তাঁর মণিমুক্তোর মত শব্দমালায় – আমাদের আশ্বাস যোগান, ‘আশা’যোগান ~;
কথাশঙ্কর•৮০~~~~~~~~~ আশা~~~~~~~~~বিপন্ন, বিপর্যস্ত, মুখ থুবড়ে পড়া মানুষের চিরকালের পরম সহায় ঈশ্বরের মতই মানুষেরই অন্তরে বাস করে নিরন্তর ~ তা’ হচ্ছে – আশা! আশাতেই তো বাঁচে মানুষ ! এ ছাড়া হতাশ মানুষের আর থাকেই বা কি ! একাত্তরের ভয়াবহ যুদ্ধকালীন সময়েও ভীত সন্ত্রস্থ মানুষ, যারা ঘরবাড়ি সহ জীবনের সমস্ত বৈষয়িক অর্জন হারিয়ে সর্বসান্ত হয়ে পথে বসেছিলেন- তাদেরকেও বেদনাতুর মুখে বলতে শুনেছি – ‘একদিন কেটে যাবে এই কঠিন সময়’। এই আশাই মানুষকে জীবনের যুদ্ধে নিয়ত সক্রিয় থাকার জন্যে পর্যাপ্ত জ্বালানি যোগায় । তারপর সত্যিই একদিন কেটে যায় সেই ভয়াবহ দিন ! নতুন সূর্যের আলো নিয়ে আসে নতুন আশার বাণী ! যখন করোনার মত মহামারী বা একাত্তরের মত যুদ্ধ আসে যা মানুষের চিন্তারও বাইরে ছিল এবং সার্বিক পরিসরে বিপুল ক্ষতিসাধন করে যায়- গণমানুষের জীবনে, রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কাঠামোয়, রাষ্ট্রীয় নৈমিত্তিক ব্যবস্থাপনায় বা নাগরিক অধিকারেও ! তখন মানুষেরই নির্বাচিত সরকার যদি যথাসময়ে যথাযোগ্য পদক্ষেপ না নেয়, বরং আগত সমস্যাকে পাত্তাই না দিয়ে সেই সমস্যা নিয়ে উপহাসের আয়োজন করে- তখন বলতেই হয় -সে দেশের মানুষের দূর্ভাগ্য যে অমন সরকার তারাই নির্বাচন করেছে, সে জেনেই হোক বা দলবাজীর জন্যেই হোক ! এমনতর জাতীয় দূর্যোগে সরকারকে নিতে হয় ত্রাতার ভূমিকা দলমত নির্বিশেষেই । চীন, ইটালী ও ইরানের সার্বিক অবস্থা দেখেও যথাসময়ে যা সতর্কতা নেবার দরকার ছিল, তা’নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও বাংলাদেশের মত কিছু রাষ্ট্র। বরং এই করোনাকে প্রথমদিকে তারা শুধু পাত্তা দেয়নি তাই নয় -বরং তা’ নিয়ে উপহাসও করেছে।বাংলাদেশ সরকার সামাজিক দূরত্ব রক্ষার কড়া নির্দেশ দেয়ার পরিবর্তে বরং আয়োজন করেছে মুজিব বর্ষের নামে বিপুল জনসমাগম, আয়োজন করেছে নির্বাচনেরও ! যুক্তরাষ্ট্রেও প্রাথমিক নির্বাচনের আয়োজন ছিল এরমধ্যেই ! যেখানে গণহারে মানুষ মরছে ভিন্ন দেশে – সেই ভাইরাসটি যে যে কোন দেশেই আগ্রাসী হতে পারে সেই দূরদর্শিতা অনেক সরকারেরই ছিল না ! যখন সতর্ক হয়েছে সেসব সরকার, তখন যে অনেকটাই দেরী হয়ে গেছে – তাও স্বীকার করবে না এইসব সরকারের নেতৃত্ব ! – শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেই যাবে রাজনীতির নিজস্ব স্বার্থেই ! ফলাফল হবে অতি ভয়াবহ- তার মূল্য চুকাবে সাধারণ জনগণ ! গণহারে মরবে সহায়হীন মানুষ ! যেমনটি দেখা যাচ্ছে, গালভরা বিশ্বের রাজধানী দাবী করা এই খোদ নিউইয়র্কেই ! চারদিন আগের চেয়ে আজ এই মুহূর্তে সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ীই আক্রান্তের হার চারগুণ, মৃত্যুর হারও ! শুধু ভরসার কথা একমাত্র- এখানকার স্থানীয় নেতৃত্বে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে – মানুষের কল্যাণ সাধনের সৎচিন্তা আছে। যে গুণটি বাংলাদেশ বা ভারতের নেতৃত্বে কদাচিৎ দেখা যায় ! অনেক দেরীতে হলেও পশ্চিমবঙ্গে মমতাদেবী কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের পদক্ষেপ সেক্ষেত্রে যে আশানুরূপ নয়, তা’ সেখানকার ভূক্তভোগী মানুষদের হাহাকারেই শোনা যাচ্ছে ! নিউইয়র্ক সহ উত্তর আমেরিকার অনেক রাজ্যে লকডাউন চলছে। পথে ঘাটে কোন মানুষই দেখা যাচ্ছে না, ক্বচিৎ একটি দুটি গাড়ির চলাচল দেখা যাচ্ছে । সামাজিক বিচ্ছিন্নতায় করোনা ভাইরাসটি ছড়ানোর ক্ষেত্রে যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে তার প্রমাণ স্বরূপ দেখা যাচ্ছে – দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ! এইসময়ে সাধারণ নাগরিকদের সতর্ক করার ও নির্দেশনা যথাযথ কার্যকর করার সম্যক দায়িত্বও সরকারেরই ! ভাইরাসমুক্ত হলে আবার তো জনজীবন স্বাভাবিক হবেই। এই আশাতেই মানুষকে প্রাথমিক সতর্কতা নিতেই হবে – নিজেদেরই বাঁচার স্বার্থে !সরকারী দায়িত্ববান কর্তা, কর্মচারীরা, ডাক্তার, নার্সরা নিজেদের জীবনকে বিপন্ন করে মানুষের সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তাদের এই আত্মত্যাগের জন্যে আমাদের বিনম্র কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক সাধুবাদ জানানোই একান্ত কর্তব্য ! কদিন আগেও কোলকাতায় ডাক্তার, নার্সদের প্রতি অকারণ নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছিল দলবাজীর দৌলতে! অথচ, আজ সেই ডাক্তার, নার্সরাই নিজেদেরই জীবন বিপন্ন করে গণমানুষের সেবায় নিয়োজিত হয়েছেন পেশাগত দায়িত্ববোধের প্রেক্ষিতে ! আজ ঝলমলে দিন নিউইয়র্ক শহরে । যদিও ঠান্ডার প্রকোপ কিছুটা এখনও রয়েছে। জনমানবহীন পথ যেন অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে দু’ধারের স্থবির গাড়ি ও সুনসান বাড়িগুলোর দিকে ! কখনও কখনও বেজে উঠছে মুঠোফোন বা বাড়ির ফোন । অনতিক্রমণীয় এক মৃত্যুভয় যেন বাতাসে ভাসছে, ভারি করে রাখছে সব মানুষেরই বুকের অতল! কখন মুক্তি পাবে মানুষ এই দূর্যোগ থেকে, এই দূর্ভোগ থেকে ! কেউই জানে না । তবে, পাবে তো অবশ্যই । চিরকালই মানুষ অতিক্রম করে এসেছে সমস্ত দূর্যোগের ঘনঘটা, নতুন করে শুরু করেছে জীবনের পাঠ ! সেই নতুন দিনের আলোর জন্যে মানুষের আশাবৃত মন মানুষকে সচেষ্ট রেখেছে চিরকালই, এবারও নিশ্চয় তার অন্যথা হবে না। আশাতেই যে মানুষ বাঁচে! জীবনের সব আনন্দে, বেদনায় আলখাল্লা বুড়ো পায়ে পায়ে এসে দাঁড়ান পাশে, একটুখানি ঝুঁকে, পেছনে হাত দুটো মুঠো করে ধরে, মুখে তাঁর চিরাচরিত স্মিত হাসি নিয়েই ~ছড়িয়ে দেয়া তাঁর মণিমুক্তোর মত শব্দমালায় – আমাদের আশ্বাস যোগান, ‘আশা’যোগান ~;‘বহুদিন মনে ছিল আশা ধরণীর এক কোণে রহিব আপন-মনে;ধন নয়, মান নয়, একটুকু বাসা করেছিনু আশা।গাছটির স্নিগ্ধ ছায়া, নদীটির ধারা,ঘরে-আনা গোধূলিতে সন্ধ্যাটির তারা,চামেলির গন্ধটুকু জানালার ধারে,ভোরের প্রথম আলো জলের ওপারে। তাহারে জড়ায়ে ঘিরে ভরিয়া তুলিব ধীরেজীবনের কদিনের কাঁদা আর হাসা। ধন নয়, মান নয়, এইটুকু বাসা করেছিনু আশা।বহুদিন মনে ছিল আশা অন্তরের ধ্যানখানি লভিবে সম্পূর্ণ বাণী;—ধন নয়, মান নয়, আপনার ভাষা করেছিনু আশা।মেঘে মেঘে এঁকে যায় অস্তগামী রবিকল্পনার শেষ রঙে সমাপ্তির ছবি,আপন স্বপনলোক আলোকে ছায়ায়রঙে রসে রচি দিব তেমনি মায়ায়। তাহারে জড়ায়ে ঘিরে ভরিয়া তুলিব ধীরেজীবনের কদিনের কাঁদা আর হাসা;ধন নয়, মান নয়, ধেয়ানের ভাষা করেছিনু আশা।বহুদিন মনে ছিল আশা— প্রাণের গভীর ক্ষুধা পাবে তার শেষ সুধা;ধন নয়, মান নয়, কিছু ভালোবাসা করেছিনু আশা।হৃদয়ের সুর দিয়ে নামটুকু ডাকা,অকারণে কাছে এসে হাতে হাত রাখা,দূরে গেলে একা বসে মনে মনে ভাবা,কাছে এলে দুই চোখে কথা-ভরা আভা। তাহারে জড়ায়ে ঘিরেভরিয়া তুলিব ধীরেজীবনের কদিনের কাঁদা আর হাসা; ধন নয়, মান নয়, কিছু ভালোবাসা করেছিনু আশা।’[কবিতা:আশা- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর !]
Posted by Swapan Chakraborty on Sunday, March 22, 2020
‘বহুদিন মনে ছিল আশা
ধরণীর এক কোণে
রহিব আপন-মনে;
ধন নয়, মান নয়, একটুকু বাসা
করেছিনু আশা।
গাছটির স্নিগ্ধ ছায়া, নদীটির ধারা,
ঘরে-আনা গোধূলিতে সন্ধ্যাটির তারা,
চামেলির গন্ধটুকু জানালার ধারে,
ভোরের প্রথম আলো জলের ওপারে।
তাহারে জড়ায়ে ঘিরে
ভরিয়া তুলিব ধীরে
জীবনের কদিনের কাঁদা আর হাসা।
ধন নয়, মান নয়, এইটুকু বাসা
করেছিনু আশা।
বহুদিন মনে ছিল আশা
অন্তরের ধ্যানখানি
লভিবে সম্পূর্ণ বাণী;—
ধন নয়, মান নয়, আপনার ভাষা
করেছিনু আশা।
মেঘে মেঘে এঁকে যায় অস্তগামী রবি
কল্পনার শেষ রঙে সমাপ্তির ছবি,
আপন স্বপনলোক আলোকে ছায়ায়
রঙে রসে রচি দিব তেমনি মায়ায়।
তাহারে জড়ায়ে ঘিরে
ভরিয়া তুলিব ধীরে
জীবনের কদিনের কাঁদা আর হাসা;
ধন নয়, মান নয়, ধেয়ানের ভাষা
করেছিনু আশা।
বহুদিন মনে ছিল আশা—
প্রাণের গভীর ক্ষুধা
পাবে তার শেষ সুধা;
ধন নয়, মান নয়, কিছু ভালোবাসা
করেছিনু আশা।
হৃদয়ের সুর দিয়ে নামটুকু ডাকা,
অকারণে কাছে এসে হাতে হাত রাখা,
দূরে গেলে একা বসে মনে মনে ভাবা,
কাছে এলে দুই চোখে কথা-ভরা আভা।
তাহারে জড়ায়ে ঘিরে
ভরিয়া তুলিব ধীরে
জীবনের কদিনের কাঁদা আর হাসা;
ধন নয়, মান নয়, কিছু ভালোবাসা
করেছিনু আশা।’
[কবিতা:
আশা- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর !]
লেখক : স্বপন চক্রবর্ত্তী,নিউইয়র্ক,যুক্তরাষ্ট্র থেকে (কক্সবাজারের রামু প্রবাসী) ২৩ মার্চ ২০২০
Posted ৩:৩৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta