সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কবি মাসউদ শাফি বেঁচে আছেন বহুজন রূপে

বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯
292 ভিউ
কবি মাসউদ শাফি বেঁচে আছেন বহুজন রূপে

মানিক বৈরাগী(২৩ ডিসেম্বর) :: ২৩ ডিসেম্বর মাসউদ শাফি’র ৬ষষ্ঠ প্রয়াণ দিবস। অকাল প্রয়াত কবি মাসউদ শাফি’র কি সত্যি মৃত্যু হয়েছে? আমি বলবো না।মৌল কবি কখনো মরেনা,শুধু দেহগত হয় মাত্র।সে বিচরণ করে বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন রূপে। কারণ মৌল পদার্থ একটি শক্তি।শক্তির ক্ষয় নেই লয় নেই।রূপান্তর হয় মাত্র।সেই জীবন দাশের কবিতার মতো করে “আবার আসিব ফিরে “।

মাসউদ শাফি ও তথাকথিত কবি যশো বা কবি লকব লাগিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্থরে প্রবেশের সুযোগ সন্ধানীরা মাসউদ শাফি’র কবিতা, ছিটেফোঁটা কিছু গদ্যানোভূতি যে যার মতো প্রকাশ, প্রচারের মাধ্যমে সে বেঁচে সে বারে বারে ফিরে ফিরে আসবে।তাদের সংখ্যাও কম নয়।

তারা আবার কুম্বিলক গীরির মধ্যদিয়ে বিভিন্ন স্থরে সাময়িক নাম যশ ও যশরাজ হলেও আড়ালে মাসউদ শাফি জ্বলজ্বল করে হাসে। আমার কাছে আপাতত এক তথাকথিত কবি যশো বা চোরা কবি, পেশা ও নেশায় ফটকাবাজ, ফড়িয়া।তার কবি হবার একদা স্বাদ জেগেছিলো। সেই স্বাদ মেটাতে সে দারস্থ হয় আর একজন কবির কাছে। কবি তার অনুনয় বিনয়ে কবির আবেগী ও মানবিক, শিক্ষক মন বিগলিত হয়।

সেই থেকে তার পথচলার সনদ পেয়ে একে একে বিভিন্ন জনের কবিতা এদিক সেদিক ওদল বদল করে প্রথমে স্থানীয় পত্রিকায় ছাপা হতে থাকে। এক পর্যায়ের দৈনিক কক্সবাজারে সাহিত্য পাতায় ফরহাদ মজহার এর কবিতা কে এদিক সেদিক করে সাহিত্য সম্পাদকের অমনোযোগীতার সুযোগে পত্রিকায় প্রকাশিত হলে চারদিকে হই হই রব উঠে।সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী পত্রিকা অফিসে হুমকি দেয়, সাহিত্য সম্পাদকের চাকুরী চলে যায়।

এসব আমার অজানা ছিলো, তখন আমার কবিতার সাথে ঘরগেরস্থালি হয়নি। যখন নিজেই প্রতারিত প্রেমিক হিসাবে কয়েক খানি পদ্য লিখে সাহিত্য সম্পাদক কে দেখতে দিলে সম্পাদক মহোদয় সম্পাদনা করে আমাকে পুরোদস্তুর কবি বানিয়ে দেয়।আমাকে কবি যশো বা কবি বানানোর অপরাধ টি করেছে অনুজ ভাই কবি রাহমান মুফিজ। এর কয়েক মাস পরে এই চোরা কবির সাথে আমার পরিচয় ঘটে বর্তমানে অসুস্থ আমার ওস্তাদ বন্ধু কবি খালেদ মাহবুব মোরশেদ। এরপরের বিষয় গুলো কক্সবাজার বাসি,ও অধিকাংশ কবি মহল জানে।

এবার আসা যাক মাসউদ শাফি’র বিষয়। শাফি’র সাথে ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের অনুঘটক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শংকর বড়ুয়া রুমি। এরপর থেকে মাসউদ ধীরে ধীরে হরিহর আত্মা। মাসউদ শাফি’র সাথে আমার প্রেম প্রীতি,রাজনীতি, সংস্কৃতি, পানাহার, এসবও সবাই কম বেশি জানে। অকাল প্রয়াত মাসউদ শাফি হাসপাতালে অসুস্থ, চিকিৎসা, মৃত্যু, এরপর নাগরিক শোক সভা, বার্ষিক স্মরণ সভা সহ বিভিন্ন ইস্যুও অনেকেই অবগত।

ইতিমধ্যে ঘটে অঘটন। মাসউদ শাফি এখন যে কয়েক জনের ভেতর দিয়ে দিব্যি বেঁচে আছেন এর মধ্যে নিলয় রফিক অন্যতম। নিলয় রফিক এর সাথে বর্তামান আমার সম্পর্ক খারাপ। কারণ আমি তার কবিতা বইতে কোথায় কোথায় মাসউদ শাফি’র কবিতা বিরাজমান তা নিয়ে মৌখিক আলাপ করলে, ঘটেযায় বিপত্তি। বিপত্তি না ঘটার পূর্বে এই রফিকের জন্য আমি কি কি করেছি না করেছি কক্সবাজার, মহেশখালী সহ রফিকের বন্ধু মহল ভালো ভাবে ওয়াকিবহাল।

মাসউদ শাফি’র মৃত্যুদিনে আমি কি লিখতে গিয়ে কি লিখছি এমন প্রশ্নও হটকারি,অতিচালাক, অতিবাচল,অতি সুবিধাবাদীরা প্রশ্ন করে বসবে। তবুও যৌক্তিক কারণ আছে বলেই লিখতে হচ্ছে। মাসউদ শাফি’র কক্সবাজার শহরে এতো শুভানুধ্যায়ী আছে,তার পার্টির কমরেড গণ আছেন কিন্তু তাদের উচিৎ ছিলো মাসউদ শাফি কে সংরক্ষণ করা, তার লেখাজোখা যা আছে তা এক করে প্রকাশ করা। কেউ করেনি।কেউ তার এই দায়িত্ব পালন করেনি। তার মৃত্যু কালে কেউ রাতে তারে পাহারা দিতে যায়নি।

কালাম আজাদ ছিলো, অর্ধেক রাতে ভয় লাগছে বলে সেও চলে আসে। আর আমিও তখন অসুস্থ। কিন্তু হাসপাতালে মাসউদের কাছে সবসময় থাকা থলে থেকে তার খসড়া নোট প্যাড়ের কিছু কবিতার পাতা ছেড়া হয়েযায় ইতিমধ্যে। এরপর বিভিন্ন জায়াগায় ছড়িয়ে ছিঠিয়ে থাকা পত্রপত্রিকা, লিটলম্যাগাজিন, ভাজপত্র সংগ্রহ করি।সংগ্রহের কাজে সহায়তা করে কালাম আজাদ। এক গাট্টি স্থানীয় পুরানা পত্রিকা দিয়ে সহযোগিতা করে কবি নাসের ভুট্টা। কক্সবাজারের ফুলমানব গোলাম আলী সহ আরো অনেকে।নাম নিতে পারছিনা এতো দিনে ভুলে গেছি তাই।

এই সংগৃহীত পত্রিকা গুলো থেকে যে যে পত্রিকায় তার লেখা পূর্বনাম শফিউল আলম মাসুদ ও মাসউদ শাফি নামে প্রকাশিত লেখা গুলো এক যায়গায় এনেছি।এবং কম্পিউটার টাইপে সহযোগিতা করেছে কালাম আজাদ। এসব কর্ম সব আমার বাসায় করেছি। তার ব্যবহৃত অন্যান জিনিস পত্র ও আমার বাসায় আমার বউ জায়নূর বেগম শাহীন খুব যত্ন সহকারে রেখেছে।

তাও তার পার্টির লোকজনের দায়িত্ব। কিন্তু তা তারা পালন করেনি। আমি ছাত্র ইউনিয়নের, শহিদুল্লা, সৌরভ,মনির মোবারক, অন্তিক চক্রবর্তী, সহ অনেক কেই বলেছি এসব আমার বাসা থেকে নিয়ে যেতে। তারা নেয়নি।মাসউদের শুভার্থী কমরেড কলিমুল্লাহ,রিদুয়ান আলী, হিল্লোল দাশ, শংকর বড়ুয়া রুমিও জানে, তাদের ও অবহিত করেছি অনেক বার।

কিন্তু তারা কেউ আমার এই আহবানে সাড়া দেয়নি,বরং বলেছে আপনার কাছে আছে নিরাপদে আছে।

এই নিরাপদে থাকার ভার যে কতো বোঝা আমি এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। এসব নিয়ে নতুন করে কথা তুলছে মাসউদের কবিতা লুটেরা। তা অনেকই আবার আমার কাছে এসে প্রশ্ন করে।এমনি একদিন পালের দোকানে কলিমুল্লাহ র উপস্থিতি খেলাঘরের জসিম হাস্যচ্ছলে কথা উঠায় এবং আমার সত্য ভাষণ শুনে কথা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়।

এ কথা তোলার পেছনে কারন হলো তথাকথিত প্রধান কবি সাবেক ছাত্রদল নেতা,সাবেক তাতিদল নেতা সিরাজুল হক জিহাদি ওরফে সিরাজুল হক সিরাজ ও নিলয় রফিক। উখিয়া বাসির অনেকেই জানে মাসউদ শাফি একসময় আঞ্চলিক গান গাইতো ও লিখতো। তার কয়েকটি অন্য অনেক শিল্পীদের সাথে মিক্সড এলবাম ও বের হয়েছিল।একটি এলবামে বুলবুল আক্তার ও ছিলো। আপনার এসব তথ্য পাবেন উখিয়া তার সময়ে আঞ্চলিক গানের শিল্পীদের থেকে, মাসউদের বন্ধু মহল থেকে । আর পাবেন কক্সবাজার বঙ্গবন্ধু সড়কের আলাউদ্দিন রেকডিং হাউজ, হারুন ভাই, আর একজন সাতকানিয়া ওয়ালা ব্যবসায়ী, তিনি এখন দোকান করেন কি-না জানিনা। তো তার লিখিত গান ও নাকি কোন এক গীতিকার তার আঞ্চলিক গানের বইতে ছাপিয়ে মাসউদ কে বাচিয়ে রেখেছেন।

নিলয় রফিক তার তিনটি কবিতার বইতে মাসউদ কে বাচিঁয়ে রেখেছেন। এসব নিয়ে আলোচনা সমালোচনা ও কম হচ্ছেনা। রফিক শুধু মাসউদের কবিতা চুরি করেনি,সে এমন একজনের কবিতা চুরি করে ধরা খেয়েছে যিনি তার কবি নামটিও লিখে দিয়েছেন। আমার বন্ধু হলেও যাকে আমি প্রকাশ্যে স্যার ডাকি তিনি কবি খালে মাহবুব মোরশেদ। স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত অন্য অনেক কবির কবিতাও সে চুরি করে ঢাকার পত্রিকায় নিলয় রফিকের কবিতা আকারে প্রকাশ করে।এ বিষয়ে খুব বেশি ওয়াকিবহাল হলো কবি প্রাবন্ধিক হুমায়ুন সিদ্দিকী।

 

আর স্থানীয় কোন কোন কবির কবিতা চুরি করে নিজের নামে প্রকাশ করে ধরা খেয়েছে সে বিষয়েও ওয়াকিবহাল কবি প্রাবন্ধিক সংগঠক হাসান মুরাদ সিদ্দিকী, কবি উপন্যাসিক নাসের ভূট্টো ও অন্যানরা।তবে অন্য কয়েকজনের বই এখনো বের হয়নি বলে উল্লেখ করা যাচ্ছেনা।শুনেছি মাসউদের আর এক অনুজ কবিও মেরে দিয়েছেন, তার বইটি আমি এখনো হাতে পাইনি। আমি মাসউদ শাফি’র বিদেহী আত্মার পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই কবি সম্পাদক আলী প্রয়াস কে।

আমার অত্যন্ত প্রিয় আলী প্রয়াস নিজ উদ্যোগে তার সম্পাদিত পত্রিকা “তৃতীয় চোখ” মাসউদ শাফি কে নিয়ে একটি ক্রোড়পত্র সংখ্যা প্রকাশ করে মাসউদ কে কিছুটা সংরক্ষণ করেছে। কিন্তু দুঃখ এখানে তার তৃতীয় চোখ এর কক্সবাজারে মাসউদের পার্টির লোকজন নিয়ে অনেকই আলী প্রয়াস কে টাকা দেয়নি।এই অপরাধ সম্পূর্ণ আমার, কারণ আলী পত্রিকা গুলো আমার কাছেই পাঠিয়ে ছিলো।

আজ অকাল প্রয়াত কবি মাসউদ শাফি’র ৬ষষ্ঠ প্রয়াণ দিবসে এসব কথা লিখতে আমাকে বাধ্য করেছে তার মৃত্যুর পর কিছু লুটেরা কবি যশো হটাৎ তার অতি দরদী হওয়ার কারণে। না লিখে উপায় ও নাই মাসউদের এলাকার কবি, মাসউদ প্রতিদিন যাকে রাতে তার শ্বশুর বাড়ির থেকে ঘরজামাই হিসাবে পাওয়া বাড়িতে পৌঁছে দিতো, সেই কবি সিরাজুল হক সিরাজ ও মাসউদের কবের বেড়া ও নাম ফলকের চাঁদার আমানতি চার হাজার টাকা দিয়ে ঘরে যদি টিন লাগায়। আর মাসউদের জন্মদিন উপলক্ষে ঐ টাকা চাইতে গিয়ে যদি নিলয় রফিক মারফত আমার বেইজ্জত হতে হয় আমি না লিখে আর কি করতে পারি মাসউদ তুই বল।

আজ এতো টুকু বলবো তোর মৃত্যুদিনে তুই বেঁচে থাকবি অন্যজনের ভেতর দিয়ে আলো জ্বালাবি
তুই আসলে কবিদের কবি।জয় হোক তোর জয়তু মাসউদ শাফি।

লেখক -মানিক বৈরাগী : কবি নব্বুইয়ের নির্যাতিত প্রগতিশীল ছাত্রনেতা।

 

292 ভিউ

Posted ১:০৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com