কক্সবাংলা ডটকম(২ মে) :: সাধারণ পরিস্থিতিতে ওষুধের পরীক্ষানিরীক্ষা করা শক্ত৷ আর অতি মহামারী চলাকালীন সেটা আরও চ্যালেঞ্জের। করোনা নামক ভাইরাস প্রতিদিন কেড়ে নিচ্ছে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ৷ ফলে সারা বিশ্বের গবেষক করোনার ভ্যাকসিন খুঁজতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক সংকেত মেলেনি৷ তবে জরুরি ক্ষেত্রে হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইনের পর রেমডেসিভির ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সারা৷
শুক্রবার মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএ ( Food and Drug Administration) জরুরি পরিস্থিতিতে পরীক্ষামূলকভাবে করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভি ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে৷ ওয়াইট হাউসে একথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এই ওষুধ করোনভাইরাস রোগীদের দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করে বলে মনে করা হচ্ছে৷ COVID-19 বিরুদ্ধে লড়াই এটি প্রথম ড্রাগ হিসাবে দেখানো চেষ্টা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷
মারণ ভাইরাসে সারা বিশ্বে ইতিমধ্যে প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে৷ শুধু মার্কিনমুলুকেই করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার৷ মার্কিন সরকার কর্তৃক এক গবেষণা থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক ফলাফলের পরে এফডিএ জানিয়েছিল যে, গিলিয়ড সায়েন্সেসের রিম্যাডিসিভির হাসপাতালে ভর্তি COVID-19 রোগীদের জন্য পুনরুদ্ধারের সময় ৩১ শতাংশ কমেছে৷ অর্থাৎ গড়ে চার দিন কমেছে।
সম্প্রতি ১,০৬৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে এই ওষুধ পরীক্ষা করা হয়েছে৷ একটি তুলনামুলুক গ্রুপকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা কেবলমাত্র স্বাভাবিকভাবে যত্ন নেওয়া হয়েছিল৷ রিম্যাডসিভির এর প্রভাবগুলি কঠোরভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে৷ শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এফডিএ-র পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
পরীক্ষার পর দেখা গিয়েছে, যাঁদের শরীরে এই ড্রাগ ব্যবহার করা হয়েছে, তাঁরা অন্যদের গড়ে ১৫ দিনের তুলনায় ১১ দিনের মধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। ড্রাগটি মৃত্যুর পরিমাণও হ্রাস করতে পারে, যদিও এটি এখনও অবধি প্রকাশিত আংশিক ফলাফল থেকে নিশ্চিত নয়।
জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটস অফ হেলথের ডাঃ অ্যান্টনি ফাউসি বলেন, ওষুধটি এই গবেষণার মতো গুরুতর অসুস্থ কোভিড -১৯ রোগীদের চিকিৎসার একটি নতুন ধাপে পরিণত হবে। ওষুধটি হালকা অসুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে পরীক্ষা করা হয়নি৷ বর্তমানে একটি হাসপাতালে আইভিয়ের মাধ্যমে দেওয়া হয়।
গিলিয়েড জানিয়েছে, বর্তমানে এই ওষুধের স্টক অল্প৷ তবে প্রয়োজনে বেশি পরিমাণে উত্পাদন বাড়িয়ে তোলা হবে।
করোনাভাইরাস চিকিত্সার জন্য এখন কোনও ওষুধ অনুমোদিত নয়৷ এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট COVID-19 এর সম্ভাব্য চিকিত্সায় এফডিএ অনুমোদিত ম্যালেরিয়া ওষুধ হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইনকে জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল। তবে কোনও বড় উচ্চমানের স্টাডিতে ওষুধটির কাজ করছে কিনা, তা দেখা হয়নি৷ যদিও ট্রাম্প ভারত থেকে প্রচুর হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন আমদানি করেছে৷
Posted ১:০৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০২ মে ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta