কক্সবাংলা ডটকম(১৭ জুলাই) :: অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন আজীবন সুরক্ষা দিতে সক্ষম। অক্সফোর্ড এবং সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
সাইন্টিফিক বিষয়ক আন্তর্জাতিক জার্নাল নেচার-এ গবেষণালব্দ এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
যেটি শুক্রবার লন্ডনের দ্য ইউএস সান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
ফাইজার বা অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুইটি করে ডোজে কোভিডের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা পাওয়া যাচ্ছে, কম-কোভ ট্রায়াল নামের সাম্প্রতিক এমন গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের পর
এস্ট্রাজেনেকায় আজীবন সুরক্ষার আলোচ্য খবরটি সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
গবেষক দলের সদস্য ও সুইজারল্যান্ডের কেন্টোনাল হাসপাতালের প্রফেসর বার্কহার্ড লুডউইগ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাইরাস ধ্বংস করা এন্টিবডি তৈরির সাথে সাথে ভ্যাকসিন শরীরে এক ধরনের ট্রেনিং ক্যাম্প তৈরি করে যা টি-সেলকে খুঁজে নিয়ে ধ্বংস করে।
এভাবে এ ভ্যাকসিন ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টকেও নিষ্ক্রিয় করতে পারে। অর্থাৎ, এই প্রক্রিয়ায় ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এন্টিবডি ক্ষয়ে যাওয়ার সত্বেও শরীরে দীর্ঘদিন বা জীবনব্যাপী এই ভাইটাল সেল তৈরি হয়।
সম্প্রতি অক্সফোর্ড এবং সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে কোভিড ভাইরাসের বিরুদ্ধে ‘অক্সফোর্ড’ এবং ‘জনসন এন্ড জনসন’ এডিনোভাইরাসের ভ্যাক্সিন এর মূল কাজ হলো ‘টি সেল সুরক্ষা’।
এ ব্যাপারে একটি রিপোর্ট বিখ্যাত ‘নেচার জার্নাল’- এ প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায় যে এসব এডিনোভাইরাস শরীরের দীর্ঘস্থায়ী টিস্যুসেল ‘ফাইব্রোব্লাস্টিক রেটিকুলার সেল’- এর ভিতর প্রবেশ করে এসব সেলকে ‘ট্রেনিং ক্যাম্প’ হিসেবে গড়ে তোলে, যা পরবর্তীতে শরীরে এন্টিবডি কমে গেলেও ‘কিলার টিসেল’ তৈরি চলতেই থাকে।
এ নিয়ে সুইজারল্যান্ডের কেন্টোনাল হাসপাতালের গবেষক প্রফেসর বার্কহার্ড লুডউইগ বলেন, সেলুলার ট্রেনিং ক্যাম্পের এই টি-সেলগুলো অনেক সুদৃঢ়। এডিনোভাইরাসগুলো মানবদেহে দীর্ঘসময় অবস্থান করায় মানুষের ইমিউন সিস্টেমের সাথে পরিচিতি গড়ে উঠে।
লুডউইগের মতে, ভাইরাস শিক্ষকের মতো যা আমাদের কিলার টি-সেল এর প্রতিক্রিয়াকে সর্বোচ্চ ধাপে নিয়ে যাওয়ার ধারণা দেয়।
আগের গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে যে, ‘কিলার টিসেল’ তৈরিতে এডিনো ভাইরাস ভ্যাক্সিনগুলো ‘এম আর এন এ’ ভ্যাক্সিন যেমন মডার্না ও ফাইজার থেকে অধিকতর কার্যকরী।
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন – গবেষণালব্ধ এই ফল যক্ষা, এইডস, হেপাটাইটিস-সি এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে নতুন ভ্যাক্সিন বানাতে সাহায্য করবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি এই টিকাটি ভারতে উত্পাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। সেরামের তৈরি এই কোভিড টিকা ‘কোভিশিল্ড’ নামে পরিচিত। বাংলাদেশে এই টিকা দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে।
Posted ৮:০৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta