কক্সবাংলা ডটকম(৩০ আগস্ট) :: প্রতি বছরের মতো এবারেও কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর উৎসব পালনের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বছর 3 সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে জন্মাষ্টমী। ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম “অবতার” বলে বিবেচিত হন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। সারা দেশে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গাতেও কৃষ্ণের জন্মদিন পালিত হবে। যদি আপনি এই শুভ উত্সবের রীতি মেনে উপোস রাখার কথা ভেবে থাকেন তবে, উপোসের কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
জন্মাষ্টমীর উপবাসের জন্য কিছু স্বাস্থ্যকর টিপস:
1. আগের দিন সহজ পাচ্য খান: যদি আপনি উপোস করেন, তবে আপনার আগে থেকেই সহজ পাচ্য খাবার খাওয়া শুরু করা উচিৎ। এর ফলে আপনার পরিপাক ক্ষমতাও থাকবে সুস্থ, স্বাভাবিক। যে খাবারগুলি মসলাযুক্ত বা তৈলাক্ত বা যেগুলি থেকে গ্যাস্ট্রিক বা অম্লতার সমস্যা হতে পারে, সেগুলি উপোসের আগে খাবেন না।
2. জল: সারা দিন প্রচুর পরিমাণ জল পান করা উচিত। যদি সূর্যাস্তের পরে জল পান করার অনুমতি না থাকে, তবে নিশ্চিত করুন যে আপনি সারা দিন যথেষ্ট পরিমাণ জল পান করছেন। জল শরীরের মেটাবলিজমকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং সারা দিন আপনার জলের ঘাটতি পূরণ করবে। এছাড়াও, জল পেট ভর্তি রাখে এবং অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে রাখে। অতএব, যদি উপোস রাখতেই হয় তবে কমপক্ষে 5-6 লিটার জল খান।
জল খান সারাদিন
3. ফল খান: উপোস চলাকালীন যদি ফল খাওয়া যায় তাহলে এই কটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। যে ফলে জল বেশি যেমন তরমুজ, বেশি করে খান। ফল শরীরে অপরিহার্য পুষ্টি এবং ভিটামিন প্রদান করে। এক গ্লাস দুধ এবং কলা খেতে পারেন।
উপোসে অনেক বেশি ফল খাওয়া উচিৎ
4. প্রচুর খেয়ে ফেলবেন না: আপনি উপবাস ভাঙার পর এক থালা ভর্তি করে কখনোই খাবেন না। এতে হজমের সমস্যা তো হবেই, ওজনও বাড়বে। বেশি পরিমাণ ভাজাভুজি এই সময় একেবারেই খাবেন না।
5. ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন: যখন উপবাস ভাঙছেন তখন পকোড়া, আলু চিপস এবং সিঙাড়া, এবং ভারী মিষ্টি এড়িয়েই চলুন। পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর সেদ্ধ বা রোস্টেড খাবার খান। বেশি ভাজা খাবারে অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে আপনার।
এই জন্মাষ্টমীতে যতটা সম্ভব তৈলাক্ত খাদ্য এড়িয়ে চলুন
Posted ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta