সেলিম উদ্দিন,খুটাখালী(২ আগষ্ট) :: পরিবারের আর্থিক সংকট মোকাবিলায় বিদেশ গিয়েও ঠাঁই হলোনা দিন মজুর নাছিরের। জমি-জমা বিক্রি ও ধার দেনা করে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ফিরতে হলো দেশের মাটিতে।
প্রায় ৭ মাস যাবত নানা কষ্টে দিনাতিপাত করে অবশেষে গত ১১ জুলাই নি:শ্ব হয়ে ফিরে এসে প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের ধারে ধারে ঘুরছে নাছির। এমনতর ঘটনাটি ঘটেছে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে।
অভিযোগে জানা যায়, বর্ণিত ইউনিয়নের মধ্যম বাককুম পাড়ার জাকের উল্লাহ পুত্র নাছির একই এলাকার আমিনুল ইসলামের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা দর-দামে কাতারের একটি কোম্পানী ভিসা ক্রয় করেন। ভিসা ক্রয়ের সুবাদে একটি ৩০০ টাকার নন জুড়িশিয়াল স্ট্যাম্পও করেন তারা।
যার নম্বর ৯৮৯৪৮০৩, ৯৮৯৪৮০৪, ৯৮৯৪৮০৫। উভয়ের চুক্তিনামা করে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর নাছির সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে কাতারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। সেখানে তাকে রিসিভ করেন ভিসা বিক্রেতা আমিনের অপর সহযোগী আইয়ুব।
এক পর্যায়ে আইয়ুব নাছিরকে কাজ বুঝিয়ে না দিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করেন। এসময় আইয়ুব দেশে ফোন করে আমিনকে স্ট্যাম্প ফেরত নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এদিকে স্ট্যাম্পটি ৩য় পক্ষ একই এলাকার ফিরোজ আহমদের নিকট গচ্ছিল রেখে যান নাছির। তাকে নানা প্রলোভন ও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে স্ট্যাম্পটি ফেরত নেয় আমিন।
নাছির জানায়, দেশে আসার পর স্ট্যাম্পটি ফেরত কেন দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে ফিরোজ উল্টো আমাকে হাঁকাবকা শুরু করেন। আমি বিষয়টি খুটাখালী চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মেম্বারকে অবহিত করেছি। তারা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন। নাছির আরো জানায়, যে কাজ ও ধরনের ভিসা দেওয়ার কথা ছিল তা দেয়নি। আমিন-আইয়ুব মিথ্যা কথা বলে তার কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিয্ক্তু আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন ধরনের ভিসা বিক্রির সাথে জড়িত নয় বলে জানান। অপর দিকে অভিযুক্ত ফিরোজ চুক্তিমতে আমিনকে (স্থানীয় মেম্বারদের সামনে) স্ট্যাম্প ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে দাবী করেন।
Posted ১০:০৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০২ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta