টটেনহ্যামে ৩-০ বিধ্বস্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, মরিনহোর বিদায়ের ইঙ্গিত !
মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট ২০১৮
303 ভিউ
কক্সবাংলা ডটকম(২৮ আগস্ট) :: টটেনহ্যাম হটস্পারের লুকাস মৌরা এবং হ্যারি কেনে বিধ্বস্ত হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। মরিনহোর দলকে রাতের ম্যাচে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে পচেত্তিনোর দল। ওই হারে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ এবং চেলসি কোচের চাকরির সুতোয় টান পড়েছে।
ম্যানইউয়ের সঙ্গে ২০২০ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে মরিনহোর। কিন্তু মৌসুমের শুরুর তিন ম্যাচের দুটিতে হেরে তার চাকরি বাঁচানো দায় হয়ে পড়েছে। দলবদলের মৌসুমে মনের মতো খেলোয়াড় কিনতে পারেনি ম্যানইউ। পগবার সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছে না বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর। ওদিকে অ্যান্তোনিও মার্শিয়ালের সঙ্গেও মরিনহোর ঝামেলা। সবমিলিয়ে নতুন মৌসুমে ম্যানইউকে নিয়ে মরিনহো কতদুর যেতে পারবেন তা নিয়ে কথা ওঠে।
সেই সংশয়ের পালে হাওয়া দিয়েছে ঘরের মাঠে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ৩-০ গোলের হার। লুকাস মৌরা, হ্যারি কেনদের যেন ঠেকানোর বুদ্ধি জানা ছিল না মরিনহোর। প্রথমার্ধে গোল দিতে না পারলেও গোল খায়নি ম্যানইউ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিরবতা নামিয়ে আনেন ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার হ্যারি কেন।
৫০ মিনিটে গোল করেন তিনি। ম্যাচের ৫২ মিনিটে মৌরা গোল করে ২-০ ব্যবধানে টটেনহ্যামকে এগিয়ে নেন। এরপর ৮২ মিনিটে মৌরা দ্বিতীয় এবং দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন। ম্যানইউয়ের মাঠে এসে জোড়া গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
ঘরের মাঠে এত বড় হারের পর খুব স্বাভাবিকভাবেই মরিনহোর দিকে ধেয়ে এল প্রশ্নবান। যা সামলাতে না পেরে মরিনহো বললেন,” প্রিমিয়র লিগে বাকি 19টা দলের ম্যানেজারদের সবাই মিলে যতবার প্রিমিয়র লিগ খেতাব জিতেছে, তার থেকে আমি একাই বেশি খেতাব জিতেছি। ম্যানেজার হিসেবে আমি তিনবার প্রিমিয়র লিগ জিতেছি, বাকি 19টা দলের ম্যানেজাররা জিতেছেন 2 বার। আমি বোধহয় এই কারণেও একটু সম্মান আসা করতে পারি।” কথাটা বলেই সাংবাদিকক সম্মেলনের মাঝেই উঠে চলে যান মরিনহো। তার আগে দলের অন্তর্কলহ নিয়ে মরিনহোর সাফ কথা, ”আমরা ইউনাইটেড আছি।”যদিও মরিনহো ব্রিগেডের খেলা দেখে সেটা মনে হল না। ম্যাচের মাঝখানে টটেনহ্যামের সমর্থকরা মরিনহোকে বিদ্রুপ করে স্লোগান তোলেন, ”তোমায় কাল সকালেই তাড়ানো হবে।”
তবে এই হারে ম্যানইউয়ে মরিনহোর ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। কারণ এর আগে সাবেক নেদারল্যান্ডস কোচ লুই ফন গালকে এফএ কাপ জেতার পরও বহিষ্কার করা হয়। ডেভিড ময়েস মৌসুমের চার ম্যাচ পার হতে না হতেই চাকরি হারান। তবে মরিনহো কেনো নয়? ম্যানইউয়ের ইতিহাস কোনভাবেই সাবেক রিয়াল কোচের পক্ষে কথা বলে না। তবে ম্যানইউয়ের সাবেক রক্ষনভাগের তারকা গ্যারি নেভিল আছেন মরিনহোর পাশে।
তিনি বলেন, ‘আমি মানছি তার সময় খুব কঠিন যাচ্ছে। মানছি বাস্তবতা এবং চ্যালেঞ্জ অনেক বড়। তবে গত মৌসুমে তার সঙ্গে ২০২০ সাল পর্যন্ত চুক্তি করায় আমি তার পাশে দাঁড়াচ্ছি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের উচিত মরিনহোর ওপর বিশ্বাস রাখা।’
নেভিলের কথায় অবশ্য ম্যানইউয়ের কিছু যায় আসে না। তার মতামতে মরিনহোর চাকরিও বাঁচবে না। ওদিকে টটেনহ্যাম তারকা হ্যারি কেন যেভাবে জয়ের মাহাত্ম বর্ণনা করেছেন তাতে মরিনহোর চাকরি সুতোর ওপর উঠে যাচ্ছে।
কেন বলেন, ‘ঘরের বাইরে আমাদের খেলার বিশেষ স্বাক্ষর রাখতে হতো। আমাদের দরকার ছিল প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করে ফেরা। আমরা সুযোগগুলো কাজে লাগিয়েছি এবং ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৩-০ গোলের বিশাল জয় নিশ্চিত করেছি।’
