হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(১৩ জুলাই) :: টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে বসত-ভিটার বিরোধের জেরধরে একটি মাদক কারবারী চক্রের হাতে এক প্রবাসীর পরিবার নানাবিধ হয়রানির শিকার হয়ে আসছে।
এছাড়া বাড়িতে ইয়াবা দিয়ে মামলায় জড়ানোর হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন প্রবাসীর পরিবারের নারী সদস্যরা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,গত ২৮ জুন সকালে হোয়াইক্যং নয়াপাড়ার মৃত আমির হোছনের স্ত্রী মোমেনা খাতুন নিজ বাড়ির টিলায় কলা গাছের চারারোপন করার সময় প্রতিবেশী রমজান আলীর পুত্র নুরুল আলম প্রকাশ বদ (৫০) এসে কলা উপড়ে ফেলে মোমেনার গায়ে ছুঁেড় মারে।
এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর সৌদি প্রবাসী মৃত সোলতানের পুত্র জাকির হোছনের বসত-বাড়ির টিলা কর্তন করার সময় প্রবাসীর স্ত্রী জোহুরা বেগম (৪০) বাঁধা প্রদান করায় দু‘পক্ষের তর্ক-বির্তক এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন নুরুল আলম প্রবাসী জাকিরের বাড়িতে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
হঠাৎ ঐদিন রাত সাড়ে ১২টারদিকে নুরুল আলম, মমতাজ বেগম, রোমেনা আক্তার,খতিজা বেগমের নেতৃত্বে ১০/১২জনের একদল নারী-পুরুষের দল প্রবাসীর স্ত্রী জোহুরার বাড়ি গিয়ে দরজা ভেঙ্গে বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। বাড়ির লোকজন হৈ চৈ করলে জানালা দিয়ে লাঠির গুতাঁ মেরে সড়ক দূঘর্টনায় আহত রাসেলকে রক্তাক্ত করে চলে যায়।
পারিবারিক এই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় ৭জুলাই হোয়াইক্যং ফাঁড়িতে উপরোক্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশী ভূমিকা না থাকায় হামলাকারীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে।
উল্লেখ্য,২০১০ সালে প্রবাসী জাকিরের বাড়ি চুরির অভিযোগ এনে উক্ত নুরুল আলমসহ ৬জনের বিরুদ্ধে হোয়াইক্যং ফাঁড়িতে অভিযোগ দেওয়া হয়। ২০১১ইং হতে প্রবাসী জাকির হোছন গংয়ের বসত-ভিটা বিরোধ নিয়ে মামলা-মোর্কদ্দমা চলে আসছে। পরবর্তীতে বসত-ভিটা নিয়ে আবারো মারামারী হলে ২০১২সালের ২৯মার্চ হোয়াইক্যং ফাঁড়িতে আবারো একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরই সুত্রধরে স্থানীয় মেম্বার সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করে দেন।
পূর্ব বিরোধের জেরধরে ২০১৪ সালে ১টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় এবং ক্ষেত কেটে নষ্ট করে দেয়। বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারকে অবহিত করা হলে ঘটনার সত্যতা পায়। তা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য খালি স্টাম্প দিলেও এখনো পর্যন্ত পরিশোধ করেনি। ২০১৫ সালের ২৩ আগষ্ঠ প্রবাসী জাকিরের বাড়িতে চুরি করতে ঢুকে।
এসময় প্রবাসীর পুত্র দেলোয়ার হোছাইন বাঁধা দেওয়ায় তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন। সেই অভিযোগে টেকনাফ থানায় আরো একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এত কিছুর পরও প্রবাসী জাকির গং প্রতিবেশীদের নিয়ে মিলে মিশে থাকতে চাইলেও মাদকের নগদ টাকার প্রভাবে কাউকে কার্পণ্য করছেনা। প্রবাসী জাকিরের বাড়ির কাউকে খুন করলে কত টাকা যাবে, বেশী বাড়াবাড়ি করলে ইয়াবা মামলায় জড়ানোসহ নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।
কারণ উক্ত নুরুল আলমের ছেলে মোঃ ইউনুছ (৩০), আব্বাস মিয়া (৩২), জামাতা কফিল উদ্দিন ও ঢাকার জনৈক মুন্না এখনো ইয়াবা মামলায় কারাগারে রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল গাফ্ফার জানান,উক্ত দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসত-ভিটা বিরোধের কারণে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে আসছে।
প্রবাসী জাকিরের স্ত্রী জোহুরা বেগম, মাদক জাতীয় জাতীয় মিথ্যা মামলায় হয়রানি এবং বসত-ভিটার কারণে মানসিক যন্ত্রণার প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ও সহায়তা কামনা করেছেন।
Posted ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta