প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: একশনএইড বাংলাদেশ মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এর সাথে তাদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) কর্মসূচির আওতায় ১৬ই সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
এই সমঝোতা স্মারক এর আওতায় ঢাকার মোহাম্মদপুরে একশনএইড বাংলাদেশ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হ্যাপী হোম কেন্দ্রে বসবাসকারী সুবিধাবঞ্চিত নারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি একশনএইড বাংলাদেশ এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এই অনুষ্ঠানে একশনএইড বাংলাদেশ এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির, হেড অব ফান্ড রেইজিং মারুফ শিহাব এবং অন্যান্যরা। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এর পক্ষে হেড অব কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্ট (এমসিডি) ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসভিপি) আজম খান এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে।
ঢাকার পথশিশুদের কথা চিন্তা করে একশনএইড বাংলাদেশ ২০০৬ সালে ‘হ্যাপী হোমস’ কর্মসূচি চালু করে।প্রাথমিকভাবে এই কর্মসূচির আওতায় ঢাকার পাঁচটি স্থানে পৃথক আবাসন গড়ে তোলার মাধ্যমে ৭-১৮ বছর বয়সী ১৫০ জন ছিন্নমূল কন্যা শিশুদের আশ্রয় এবং শিক্ষার সুব্যবস্থা করা হয় ।
পরবর্তীতে, ২০১৬ সাল থেকে পাঁচটি আবাসনকে মোহাম্মদপুরে একটি একক বাড়িতে একিভূত করার মাধ্যমে ‘হ্যাপী হোম’ এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ‘হ্যাপী হোম’ মেয়েদের জন্য নিরাপদ জীবনযাত্রা, স্বাস্থ্যকর খাবার,স্বাস্থ্যবিধি, স্যানিটেশনসহ জীবন দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে আসছে।
তাছাড়া ‘হ্যাপী হোম’ এ তাদের জন্য রয়েছে মনোসামাজিক পরামর্শ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা। মেয়েরা ‘হ্যাপী হোম’ এ মানিয়ে নিলে পরবর্তীতে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে দেয় একশনএইড বাংলাদেশ। তাছাড়া মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তাদের জন্য বৃত্তিমূলক দক্ষতা বিকাশের প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়ে থাকে।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘হ্যাপী হোম’ এ পর্যন্ত ১৭০০০ মেয়েদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে।
Posted ৬:২৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta