কক্সবাংলা ডটকম :: পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে ধস নেমেছে। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে বর্তমানে ৩.০৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ১৯৯৮ সালের পর এই রিজার্ভ সর্বনিম্ন।মাত্র তিন সপ্তাহের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্যও যথেষ্ট নয় এই রিজার্ভ। এখন মাত্র ১৮ দিনের আমদানি ব্যয় মেটানোর ডলার আছে দেশটির রিজার্ভে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের মাটিতেে একের পর এক হামলা করে চলেছে তেহরিক-ই-তালিবান।যাতে কোনদিন ৫০জন আবার কোনদিন ১০০ জন পর্যন্ত লোক মারা পড়ছে।যাদের অধিকাংশই সেনা ও পুলিশবাহিনীর সদস্য।
প্রতিদিনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যেই নতন খবর পাকিস্তান কি পারমাণবিক বোমা ব্যবসা করে ফেলেছ ? পাকিস্তানে কি গৃহযুদ্ধ শুরু হতে চলেছে?
জানা যায়,পাকিস্তানের পরমাণু বোমা তৈরিতে সৌদির বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে। কাজেই তারা চাইলেই পাকিস্তান থেকে পারমাণবিক বোমার চালান গ্রহণ করতে পারে। বিশেষ করে ইরান পারমাণবিক গবেষণা অব্যাহত রাখায় সৌদির ঝুঁকি বেড়েছে।
অন্যদিকে আইএমএফ থেকে ঋণ না পাওয়ায় আবারও পুরোনো মিত্র আমেরিকার স্বরনাপন্ন হয়েছে পাকিস্তান। আর আমেরিকাও তাদের কয়েক দশক পুরানো পাকিস্তানকে পারমাণবিক বোমা মুক্ত দেশ গড়ার `স্নেস এন্ড গ্রেভ’ প্ল্যান নিয়ে এগিয়ে আসার চীন্তা করছে। কারণ আমেরিকা চায়না এ পারমাণবিক অস্ত্র তালিবান বা পাকিস্তানের উগ্র ইসলামপন্থী সংগনগুলোর হাতে চলে যাক।
ঘটনা যাই হোক, পাকিস্তানকে জান বাঁচাতে ঘরের ঘটি-বাটি বিক্রি করার সময় এসেছে। কারণ ভারতের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে পরমাণু বোমা বানিয়ে পাকিস্তানের শুধু তহবিল শূন্য হয়নি, তারা এখন ঋণের দায়ে জর্জরিত। সেই ঋণের কিস্তি পরিশোধের ক্ষমতাও আজ তাদের নেই। ঋণের পরিমাণও আকাশচুম্বি।
এদিকে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান এখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জারি করা ফতোয়া ইস্যুতে পাকিস্তানের জনগণকে একটি চিঠি দিয়েছে, যার কারণে পাকিস্তান সরকার এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী উভয়েরই অসুবিধা বেড়েছে।
পাকিস্তানে ফতোয়া বিতর্কের পর পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীর সমস্যা ক্রমাগত বাড়ছে। যেখানে একদিকে পাকিস্তানের জনগণ বিভিন্ন জায়গায় পিকেটিং শুরু করেছে,
অন্যদিকে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান দেশে অবস্থান করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন ভাসমাসুরের মতো পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও সরকারের ওপর হাত পাততে শুরু করেছে আওয়ামের নামে একটি চিঠি দিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান।
এই চিঠিতে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুর্দশাসহ সব সমস্যার জন্য পাকিস্তান সরকার ও তার পুতুল সামরিক জেনারেলকে দায়ী করা হয়েছে। বিষয়টি শুধু চিঠি দেওয়া পর্যন্ত নয়।
তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের লোকেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং যুক্তির ভিত্তিতে এই চিঠিতে লেখা বিষয়গুলো মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছে।
Posted ১:১৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta