কক্সবংলা ডটকম(১৭ জানুয়ারি) :: দেশের পুঁজিবাজারের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৪০৩ টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত আছে। এর মধ্যে লোকমুখে শোনা যায় অনেক কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ। কোন কোম্পানিগুলো বন্ধ আছে সেই তালিক কোথাও নেই।
২০২৩ সালের জুলাই মাসের পর থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা বিভিন্ন কোম্পানি পরিদর্শন করবে। যাচাই–বাছাই করার উদ্দেশ্যে হলো বর্তমানে কোম্পানিগুলো উৎপাদনে আছে এবং কোন কোম্পানিগুলো বন্ধ আছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ৪২ টি কোম্পানির কার্যক্রম ও কারখানা সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রকসংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে অনুমোদন চায় ডিএসই।
তখন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ১৪টি কোম্পানির কার্যক্রম ও কারখানা পরিদর্শনের অনুমতি দেয়। এরপর পরিদর্শন শুরু করে ডিএসই।
তালিকাভুক্ত যে ১৪টি কোম্পানির কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ একচেঞ্জ কমিশন বিএসইসি অনুমোদন দেয় সে কোম্পানিগুলো হলো- খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, নর্দার্ন জুট, ফরচুন সুজ, ন্যাশনাল ফিড মিলস, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস, ফ্যামিলিটেক্স, কেয়া কসমেটিকস, রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস, ঢাকা ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং, উসমানিয়া গ্লাস শিট, জাহিনস্পিনিং ও জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ।
ইতিমধ্যেই ২০২৩ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বেশিরভাগ কোম্পানির কারখানা পরিদর্শন সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে তারা ৫টি কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ আছে দেখতে পান। সর্বশেষ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও ঢাকা স্টকএক্সচেঞ্জ বেশ কয়েকটি কোম্পানি পরিদর্শন করেছিল, যার মধ্যে কিছু কোম্পানি বন্ধ ছিল এমনকি গেটে তালা লাগানো ছিল। এসময় কোন লোকজনের সাথে কথা বলা যায়নি।
পরিদর্শনে বন্ধ থাকা কোম্পানি ৫টি হল –
নর্দান জুটমিল লিমিটেড,
রিজেন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড,
দুলামিয়া কটন লিমিটেড,
ফ্যামিলি টেক্স লিমিটেড এবং
ওসমানিয়া গ্লাস লিমিটেড।
বিনয়োগকারীরা জানায়, নিঃসন্দেহে এই উদ্যোগটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ প্রসংসার দাবি রাখে। এভাবে ঢাকা স্টকএক্সচেঞ্জ শেয়ারবাজারের পুরো তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলি যদি পরিদর্শন করে তাহলে যেসব কোম্পানি বন্ধ আছে তার সঠিক তথ্য উঠে আসবে।
আর সেগুলো ডিএসইর ওয়েবসাইটে যদি দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে বিনিয়োগকারীরাও উপকৃত হবেন। তখন তারা দেখতে পারবেন কোন কোম্পানি বন্ধ আছে। তাহলেই তারা দেখে-শুনে বিনিয়োগ করতে পারবেন। ফলে বিনিয়োগকারীদের ঝুকিও কমে আসবে।
বিনয়োগকারীদের দাবী ভবিষ্যতে যাতে মানহীন কোম্পানি শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হতে না পারে সে বিষয় বিএসইসিকে কঠোরভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। মানহীন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে ইস্যুয়ার কোম্পানি ও চার্টার ফার্মগুলোকেও আইনের আওতাধীন করা উচিৎ।
বর্তমানে আজে বাজে কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবার পিছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী ইস্যুয়ার কোম্পানি ও চার্টার ফার্ম।
Posted ৪:৫৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta