কক্সবাংলা ডটকম(১০ নভেম্বর) :: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড।
অন্যদিকে নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসির ১৫০ কোটি টাকার বন্ড প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৯নভেম্বর বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৮৮৭তম কমিশন সভায় এ আইপিও ও বন্ড অনুমোদন দেয়া হয়।
বিএসইসি জানায়, এনআরবি ব্যাংক ১০ কোটি শেয়ার ছাড়বে। প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা ফেস ভ্যালুতে বা অভিহিত মূল্যে বিক্রি করা হবে। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এ টাকা সরকারি বিভিন্ন সিকিউরিটিজ ও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবে। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোকে অনুমোদনের সময় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার শর্ত আরোপ করা হয়। সেই শর্ত পূরণেই ব্যাংকটি শেয়ারবাজারে আসছে।
আইপিও অনুমোদনের তথ্যে বিএসইসি জানিয়েছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম ৯ মাস জানুয়ারি–সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটির পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া প্রকৃত সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৭২ পয়সা। আর প্রতিটি শেয়ারে আয় বা ইপিএস ২৭ পয়সা। আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসি শর্তও দিয়েছে ব্যাংকটিকে। সেই শর্ত অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন ও বিতরণ করতে পারবে না। ব্যাংকটিকে শেয়ারবাজারে আনতে ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট ও শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।
এনআরবি ব্যাংকের আইপিও অনুমোদন ছাড়াও বিএসইসির গতকালের সভায় তালিকাভুক্ত কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের ১৫০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করা হয়। এ বন্ডের ৬০ শতাংশ শেয়ারে রূপান্তর হবে। বন্ডের কুপন রেট বা সুদহার হবে ৮ থেকে ১০ শতাংশ। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করা হবে। এর প্রতিটি ইউনিটের দাম হবে এক লাখ টাকা। বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা টাকায় কোম্পানিটি ব্যাংকঋণ পরিশোধ করবে।
উত্তোলিত অর্থ সরকারি সিকিউরিটিজ ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ এবং আইপিওর ব্যয় নির্বাহ করবে কোম্পানিটি।
অন্যদিকে, মাত্র এক বছর আগেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সে সময় বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে কোম্পানিটি। আইপিওর টাকা এখনো পুরোপুরি খরচ করতে পারেনি কোম্পানিটি।
এর মধ্যেই বন্ড ইস্যু করে নতুন করে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। ওই বন্ডের ৬০ শতাংশ শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগও রাখা হয়েছে।
এ বন্ডের অর্থ ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যয় করবে কোম্পানিটি। বন্ডটির কুপন রেট হচ্ছে ৮ থেকে ১০ শতাংশ। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিযোগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তি বিনিযোগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে।
এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক লাখ টাকা। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে রয়েছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত হবে।
Posted ১১:০০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta