কক্সবাংলা ডটকম(১৫ ডিসেম্বর) :: সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।
আর পুঁজিবাজারে তিন কর্মদিবস লেনদেন ও সূচক বাড়ার পর কমল দুই কর্মদিবস।
অর্থনৈতিক চাপ ও রাজনৈতিক উত্তাপ- দুটো নিয়েই যখন স্বস্তির আভাস, তখন পুঁজিবাজারের ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতের পর আবার উল্টো যাত্রায় গণিতে বানরের অঙ্ককেই আবার সামনে নিয়ে এসেছে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন দিনে ৪৩ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেন তিন শ কোটির ঘর থেকে বেড়ে ছয় শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পর চতুর্থ দিনেই পতন দেখা দেয়। বুধবার ১০ পয়েন্টের পরে বৃহস্পতিবার আরও ৩ পয়েন্ট কমল সূচক।
অর্থনৈতিক সংকটের শঙ্কার মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আভাসে নভেম্বর আর ডিসেম্বরে গতি হারিয়ে পুঁজিবাজারের লেনদেন নামে ২০ মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে।
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের পর রাজনৈতিক উত্তেজনা কমে আসার পর গত তিন দিন পুঁজিবাজারেও বাড়ে গতি।
সমাবেশের আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ২৯৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। সমাবেশের পরের কর্মদিবস রোববার তা বেড়ে হয় ৪১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
সোমবার সেখান থেকে আরও খানিকটা বেড়ে গত ১৪ নভেম্বরের পর প্রথমবারের মতো ছাড়ায় পাঁচ শ কোটির ঘর। হাতবদল হয় ৫৬৮ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার এখান থেকেও আরও কিছুটা বেড়ে হয় ৬১৬ কোটি ৪১ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
অন্যদিকে সূচক রোববার বাড়ে ১১ পয়েন্ট, সোমবার ২৭ পয়েন্ট এবং মঙ্গলবার বাড়ে ৪ পয়েন্ট। গত দুই মাসে টানা তিন দিন সূচক ও লেনদেন বাড়ার বিষয়টি এর আগে দেখা যায়নি বললেই চলে।
তবে তিন দিনের পর সেটি আর চার হয়নি। চতুর্থ দিনে এসে আবার কমে যায় লেনদেন। হাতবদল হয় ৪৩০ কোটি ২০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। আগের দিনের চেয়ে কমে প্রায় এক তৃতীয়াংশ বা ১৮৬ কোটি ২০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার সেটি আরও কিছুটা কমে হাতবদল হয়েছে ৪২৫ কোটি ২৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
টানা দ্বিতীয় দিন কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। ৩৬টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে হারিয়েছে ৫৩টির। আগের দিন ২৭টির বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারায় ৬৮টি। আগের দিনের দর বা ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়েছে ২৩৪টির। গতকাল এ তালিকায় ছিল ২৪৬টি কোম্পানি।
রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন বন্ধ ছিল ৪টি কোম্পানির। বাকি ৬৮টি কোনো ক্রেতা ছিল না।
দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে,বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া ৩২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬টির দর বেড়েছে, ৫৭টির দর কমেছে, ২৩৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের।
আগের কার্যদিবস বুধবার ওরিয়ন ইনফিউশনের ক্লোজিং দর ছিল ৭৭৮ টাকা ৭০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে কোম্পানিটির ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৭২০ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫৮ টাকা ৪০ পয়সা বা ৭.৪৯ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ডিএসইর দর পতনের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।
ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে কেডিএস এক্সেসরিজের ৭.১১ শতাংশ, সালভো কেমিক্যালের ৬.২২ শতাংশ, জুট স্পিনার্সের ৩.৯৯ শতাংশ, লুবরেফের ৩.২০ শতাংশ, বিডি থাই ফুডের ২.৫৮ শতাংশ, বেঙ্গল উইন্ডসরের ২.১১ শতাংশ, অ্যাডভেন্ট ফার্মার ২.০৯ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ২.০১ শতাংশ এবং সেন্ট্রাল ইন্সুরেন্সের ১.৮৪ শতাংশ দর কমেছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
Posted ৪:০৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta