শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও ৪২৮ কোটি টাকার হতাশার লেনদেন

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
114 ভিউ
পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও ৪২৮ কোটি টাকার হতাশার লেনদেন

কক্সবাংলা ডটকম(২২ নভেম্বর) :: টানা পতনের কারণে শেয়ারবাজারের নানান দিক নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের সাথে বৈঠক করেছে শীর্ষ ব্রোকারদের মধ্যে কয়েকজন প্রধান নির্বাহী। বৈঠকে ব্রোকারগুলোর প্রধানদের বিএসইসির চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করেছেন দ্রুত সময়েই ঘুরে দাঁড়াবে শেয়ারবাজার। বিএসইসির চেয়ারম্যানের এমন শান্তনার পরের দিনই ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার।

দুই দিন পতন শেষে সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও বাজারে হতাশার চিত্র পাল্টায়নি এতটুকু।এদিন হাতবদল হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর কমেছে কেবল ছয়টির, বেড়েছে ৭৮টির। সূচক বেড়েছে ৩৯ পয়েন্ট। তারপরও বিনিয়োগকারীরে মধ্যে স্বস্তি ফেরার কোনো আভাসই নেই।

আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বাড়লেও ফেরেনি লেনদেনের গতি বা ভারসাম্য। ৩৯০টি কোম্পানির মধ্যে ১১টির লেনদেন স্থগিত ছিল লভ্যাংশ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে। বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রায় তিন শটির কার্যত ক্রেতা ছিল না।

কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি, এমন কোম্পানি ছিল অবশ্য ৬৬টি। তবে ফ্লোর প্রাইসে হাতবদল হওয়া ২২৯টির লেনদেন ছিল একেবারেই নগণ্য। এতগুলো কোম্পানি মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে কেবল ১৪ কোটি ৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।

এর মধ্যে আবার বেক্সিমকো লিমিটেড, এডভেন্ট ফার্মা, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, রহিমা ফুড, শমরিতা হাসপাতাল, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, বিএসআরএম স্টিল, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, জেএমআই সিরিঞ্জ, খান ব্রাদার্স, এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক- এই ১৫টি কোম্পানিতে লেনদন হয়েছে ১১ কোটি ৫৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ বাকি ২১৪টি কোম্পানি মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৪৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

লাখ লাখ শেয়ার বসানো থাকলেও ক্রেতার ঘর দিনভর ছিল ফাঁকা। এর মধ্যে আগে থেকে না বসিয়ে ফ্লোর প্রাইসে কিছু কিছু শেয়ার কিনেছেন কেউ কেউ।

এই কিছু শেয়ার যে হাতবদল হয়েছে, তা কেমন ছিল?

দুর্দশায় পুঁজিবাজার: ২১৪ কোম্পানি মিলিয়ে লেনদেন আড়াই কোটির কম
মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

১৫টি কোম্পানির কেবল একটি করে, আরও ১৮টি কোম্পানির ২ থেকে ১০টি, ৯টি কোম্পানির ১১টি থেকে ২০টি, ৯টি কোম্পানির ২১ থেকে ৫০টি, ২০টি কোম্পানির ৫১ থেকে ১০০টি, ৩৮টি কোম্পানির ১০১ থেকে ৫০০টি, ২৪টি কোম্পানির ৫০১ থেকে ১ হাজারটি, ৫১টি কোম্পানির ১০০১ থেকে ৫ হাজারটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

এক কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে কেবল ৬৬টি কোম্পানির। এক লাখ টাকার কম লেনদেন হয়েছে ১৫৪টি কোম্পানিতে।

সব মিলিয়ে এদিন লেনদেন হয়েছে ৪২৮ কোটি ৬৮ লাখ ২১ হাজার টাকার, আগের দিন যা ছিল ৩৫১ কোটি ৯০ লাখ ২৩ হাজার টাকা।

কিছুদিন আগেও এক ঘণ্টাতেই এই পরিমাণ লেনদেন হতো।

এদিন যে পরিমাণ লেনদেন হয়েছে তার ৭৬ শতাংশ, অর্থাৎ ৩২৬ কোটি ৮২ লাখ ২ হাজার টাকা হাতবদল হয়েছে দর বৃদ্ধি পাওয়া ৭৮ কোম্পানিতেই।

এমনকি দর হারানো ৬ কোম্পানির লেনদেনই ফ্লোরে থাকা ২২৯টির চেয়ে বেশি। এসব কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েক দিনের পতনের পরে আজকে কিছুটা উত্থানই স্বাভাবিক। লেনদেন তলানিতে থাকার কারণ হলো ফ্লোর প্রাইস। বিপুল সংখ্যক শেয়ার ফ্লোরে আটকে আছে। সেগুলোর লেনদেন করা যাচ্ছে না বলেই লেনদেন হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘আগেই বলেছিলাম, ফ্লোর প্রাইস শাখের করাত হয়ে দাঁড়াবে। এ কারণে যেমন বাজারের স্বাভাবিক গতি নষ্ট হয়েছে, তেমনি এখন তুলে দিলেও ধপাধপ পড়তে থাকবে।

‘আমি মনে করি, এই মুহূর্তে ফ্লোর প্রাইস তোলা যাবে না। তবে বাজার স্বাভাবিক হলেই ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দিতে হবে। এতে সাময়িকভাবে কিছুটা পড়লেও আবার ঠিক হয়ে যাবে।’

মৌলভিত্তির কোম্পানিরও করুণ চিত্র

বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে বহুজাতির কোম্পানি গ্রামীণফোনের শেয়ারের একজনও ক্রেতা ছিল না। সে সময় ফ্লোর প্রাইসে বিক্রেতা ছিল ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬২৪ জন।

একই সময় স্কয়ার টেক্সটাইলের ৪ লাখ ২৬ হাজার ৭০১১টি শেয়ার সর্বনিম্ন দরে বসিয়েও ক্রেতা পাচ্ছিলেন না কেউ।

বছরের পর বছর ধরে আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দিয়ে আসা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ক্ষেত্রেও একই চিত্র। ক্রেতা ছিল না একজনও। ফ্লোর প্রাইসে বসিয়ে রাখা ছিল ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯০২টি শেয়ার।

ওষুধ খাতের শক্তিশালী কোম্পানি রেনাটার ৭০ হাজার ৫৩৯টি শেয়ার বসানো ছিল, কিন্তু ক্রেতার ঘর ছিল শূন্য।

কিছুদিন আগেও দিনে দুই শ বা আড়াই শ কোটি টাকা লেনদেন হওয়া বেক্সিমকো লিমিটেডের চিত্রও একই রকম করুণ। বেলা ২টা ২০ মিনিটে এই কোম্পানিটির ৫৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬০১টি শেয়ার বসানো ছিল, কিন্তু ক্রেতার ঘর ছিল ফাঁকা।

আর্থিক খাতের শক্তিশালী কোম্পানি ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিংয়ের ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯০৩টি, আইডিএলসির ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৩১২টি, মাস কয়েক আগেও তরতর করে দাম বাড়তে থাকা আইপিডিসির ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫৩টি, ব্যাংক খাতে শক্তিশালী কোম্পানি ব্র্যাকের ৯৯ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫টি শেয়ার বসানো ছিল, ক্রেতার অভাবে যেগুলোর বিক্রেতার ঘর ছিল ফাঁকা।

এমনকি তালিকাভুক্তির পর সপ্তম দিবসেই ক্রেতাশূন্য ছিল গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের। বেলা ২টা ২১ মিনিটে অভিহিত মূল্যের ১০ শতাংশ কমে বসানো ছিল ৭৭ লাখ ২৭ হাজার ২১৯টি শেয়ার। অর্থবছর শেষ হতে চলেছে, এর মধ্যেও আইপিওর শেয়ার হওয়ার কথা ছিল আকর্ষণীয়। কিন্তু ১০ শতাংশ লোকসান দিয়ে তা ছেড়ে দিতে চাইছেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু ক্রেতার অভাবে সম্ভব হচ্ছে না।

এসব কোম্পানির লেনদেন একেবারে হয়নি এমনকি নয়, তবে পরিমাণ ছিল নগণ্য। এদিন ক্রেতা ছিল না মোট ৭৮টি কোম্পানির শেয়ারে। বাকি যেসব কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হয়েছে, তার মধ্যে ২২০টির লেনদেন ছিল একেবারেই তলানিতে। এসব কোম্পানির মধ্যে আছে মৌলভিত্তির অসংখ্য লাভজনক উদ্যোগ, যেগুলো বছরের পর বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দিয়ে আসছে এবং বিশ্ব সংকটের মধ্যেও যাদের ব্যবসা চলমান।

গত আগস্ট থেকেই পুঁজিবাজারের লেনদেন অল্প কয়েকটি কোম্পানিতেই সীমাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। দিন যত যাচ্ছে, লেনদেন ভালো হচ্ছে এমন কোম্পানির সংখ্যাও কমছে।

দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০

গত কয়েকদিন ধরে টানা দরপতন হতে থাকা বেশি কিছু কোম্পানির দর এদিন দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে।

তবে এই তালিকার শীর্ষে ছিল নতুন তালিকাভুক্ত চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। প্রতি দিনই প্রায় ১০ শতাংশ বাড়তে বাড়তে ১০ টাকার অভিহিত মূল্যের শেয়ারের দর দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ২০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৪৯ টাকা ৩০ পয়সা।

এরপরেই ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়ে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৫ টাকায়, যা আগের দিন ছিল ৭৭ টাকা ৬০ পয়সা।

তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল বিডি কম। ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৩৬ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৩৩ টাকা ৪০ পয়সা।

দুর্দশায় পুঁজিবাজার: ২১৪ কোম্পানি মিলিয়ে লেনদেন আড়াই কোটির কম
দর সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানি

৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও নাভানা ফার্মার দর, যেগুলো আগের কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত দরপতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল।

বিডি থাই ফুড, অ্যাপেক্স ফুডস ও জুট স্পিনার্সের দর বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি। দশম স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার দর বেড়েছে ৭.৭২ শতাংশ, যে কোম্পানির দর ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৮৪ টাকা ১০ পয়সায় নেমে এসেছিল সোমবার।

ফ্লোর প্রাইসে অস্বাভাবিক উত্থানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৭৯ টাকা থেকে দ্বিগুণ হতে সময় লেগেছিল কেবল দেড় মাস।

আরও ৩টি কোম্পানির দর ৭ শতাংশের বেশি, ৬টি কোম্পানির দর ৬ শতাংশের বেশি, ১১টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ৮টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ১০টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৮টির দর ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

দরপতন যেমন

যে ৬টি কোম্পানির দরপতন হয়েছে, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে আলহাজ্ব টেক্সটাইল। ২ দশমিক ২১ শতাংশ কমে শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ১৩২ টাকা ৩০ পয়সায়, আগের দিনে দর ছিল ১৩৫ টাকা ৩০ পয়সা।

সোনালী আঁশের দর ১ দশমিক ২৯ শতাংশ কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৮১ টাকায়, আগের দিন ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৬৮৯ টাকা ৯০ পয়সা।

বাজা সুজের দর কমেছে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৯২৯ টাকায়। আগের দিনের দর ছিল ৯৪০ টাকা।

ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ১.১০ শতাংশ কমে ৭৬১ টাকা ৬০ পয়সা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের দর শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ কমে ১২ টাকা ৯০ পয়সা ও মেট্রো পেট্রোলিয়ামের দর শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে ২০০ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়েছে।

সূচকে প্রভাব যাদের

সবচেয়ে বেশি ৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বিকন ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।

সোনালী পেপারের দর ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ১৬ পয়েন্ট।

ওরিয়ন ফার্মা সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে সি-পার্ল, নাভানা ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইস্টার্ন হাউজিং, জেনেক্স ইনফোসিস ও জেএমআই হসপিটাল।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২২ দশমিক ৭১ পয়েন্ট।

বিপরীতে শূন্য দশমিক ৩৪ পয়েন্ট সূচক কমেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমেছে বাটা সুজের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের দর শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ২৩ পয়েন্ট।

এ ছাড়া মেঘনা পেট্রোলিয়াম, আলহাজ্ব টেক্সটাইল ও সোনালী আঁশের দরপতনে সূচক কমেছে।

সব মিলিয়ে এই ৬টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১ দশমিক ২৭ পয়েন্ট।

114 ভিউ

Posted ৮:২৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com