কক্সবাংলা ডটকম(১৬ ডিসেম্বর) :: বিদায়ী সপ্তাহ (১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর) তিন দিন উত্থান হয়েছে দেশের পূঁজিবাজারে।তবে দুদিন পতন হলেও সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। সূচকের সাথে টাকার পরিমাণে লেনদেনও বেড়েছে। সপ্তাহটিতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। আর সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারে ফিরেছে হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬২ হাজার ৭১২ কোটি ৮৬ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৩ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭২৯ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজার ৫০৮ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন এক হাজার ১৫ কোটি ০৬ লাখ ০৬ হাজার ৮২৫ টাকা বেড়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দুই হাজার ৪৫৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ২৪ কোটি ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ৫০৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেনে ৯১৮ কোটি ১৭ লাখ ৩৬ হাজার ৮৭৩ টাকা বেড়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৯ পয়েন্ট বা ০.৪৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৫৬.৮৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১.৩৫ পয়েন্ট বা ০.৮৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪.৯০ পয়েন্ট বা ০.২২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৭২.৯৬ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২০৮.৪৮ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯১টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৪টির বা ১৬.৩৭ শতাংশের, কমেছে ৩০টির বা ৭.৬৭ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯৭টির বা ৭৫.৯৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৬৭ লাখ ৯৭ হাজার ১৫৭ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৭ কোটি ৮৬ লাখ ০৫ হাজার ৭৭২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৮৩ কোটি ৮১ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৫ টাকা বেড়েছে।
সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০৮.৬১ পয়েন্ট বা ০.৫৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৪৭.২১ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৬৫.৩৭ পয়েন্ট বা ০.৫৯ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২২.২০ পয়েন্ট বা ০.১৬ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৪.৫১ পয়েন্ট বা ০.৩৪ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ১৩.৫৮ পয়েন্ট বা ১.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ০৫৩.২৩ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ২৫৫.৯২ পয়েন্টে, এক হাজার ৩২৬.০০ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৭২.৫৬ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬০টির বা ২২.১৪ শতাংশের দর বেড়েছে, ২২টির বা ৮.১৯ শতাংশের কমেছে এবং ১৮৯টির বা ৬৯.৭৪ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২৫৭টি কোম্পানির শেয়ারে ক্রেতা নেই। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিক্রেতা দেখা গেলেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছিল না।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যেসব কোম্পানিতে ক্রেতা নেই সেগুলো হলো : এবি ব্যাংক, আমান কটন, এসিআই, এসিআই ফর্মূলেশন, একমি ল্যাবরেটরিজ, একমি পেস্টিসাইডস, একটিভ ফাইন, এএফসি এগ্রো, আফতাব অটোমোবাইল, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, অলটেক্স, আমান ফিড, আনলিমা ইয়ার্ন, এসোসিয়েটেড অক্সিজেন, এপেক্স স্পিনিং, এপেক্স ট্যানারি, এপোলো ইস্পাত, আরামিট সিমেন্ট, আর্গন ডেনিমস, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স,
এটলাস বাংলাদেশ, আজিজ পাইপস, বঙ্গজ, ব্যাংক এশিয়া, বারাকা পাওয়ার, বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, বে লিজিং, বিবিএস, বিবিএস কেবলস, বিডি অটোকারস, বিডি ফাইন্যান্স, বিডি থাই, বিচ হ্যাচারি, বেক্সিমকো, বিআইএফসি, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, ব্র্যাক ব্যাংক, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ফার্মা, সিটি ব্যাংক, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল, কনফিডেন্স সিমেন্ট, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, কপারটেক, ক্রাউন সিমেন্ট, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ঢাকা ডাইং, ড্যাফোডিল কম্পিউটার, ডিবিএইচ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স,
ডেল্টা স্পিনার্স, ডেসকো, দেশবন্ধু পলিমার, ঢাকা ব্যাংক, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ডমিনেজ স্টিল, ডরিন পাওয়ার, দেশ গার্মেন্টস, ড্রাগন সোয়েটার, দুলামিয়া কটন, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ব্যাংক, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, এনভয় টেক্সটাইল, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন, এস্কয়ার নিট কম্পোজিট, ইভিন্স টেক্সটাইল, এক্সিম ব্যাংক, ফ্যামিলিটেক্স, ফার কেমিক্যাল, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, ফাস ফাইন্যান্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট নিটিং, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ফরচুন সুজ, ফু-ওয়াং সিরামিক, ফু-ওয়াং ফুড, জিবিবি পাওয়ার, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, গোল্ডেন হাভের্স্ট এগ্রো, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন সন, গ্রামীণফোন, জিপিএইচ ইস্পাত, জিকিউ বলপেন, গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, জিএসপি ফাইন্যান্স, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, হামিদ ফেব্রিক্সে,
এইচআর টেক্সটাইল, ইবনে সিনা, ইন্দো-বাংলা ফার্মা, আইসিবি, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, আইডিএলসি, ইফাদ অটোস, আইএফআইসি ব্যাংক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ফাইন্যান্স, ইমাম বাটন, ইনটেক, আইপিডিসি, ইসলামী ব্যাংক, ইসলামিক ফাইন্যান্স, যমুনা ব্যাংক, জনতা ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্স, খান ব্রাদার্স, কেডিএস এক্সেসরিজ, কেয়া কসমেটিকস, খুলনা পাওয়ার, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, কাট্টালি টেক্সটাইল, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, লাফার্জহোলসিম, লিবরা ইনফিউশন, লিনডেবিডি, ম্যাকসন্স স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, ম্যারিকো, মতিন স্পিনিং,
মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, মেঘনা সিমেন্ট, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, মোজাফফর হোসাইন স্পিনিং, মাইডাস ফাইন্যান্স, মিরাকল, মীর আখতার, মিথুন নিটিং, এমজেএলবিডি, এমএল ডাইং, মুন্নু ফেব্রিক্স, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, নাভানা সিএনজি, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, নিউ লাইন ক্লোথিংস, ন্যাশনাল ফিড মিলস, নিটল ইন্স্যুরেন্স, নর্দার্ণ ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল পলিমার,
এনআরবিসি ব্যাংক, ন্যাশনাল টিউবস, নুরানী ডাইং, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ওয়াই ম্যাক্স, ওরিয়ন ইনফিউশন, পদ্মা অয়েল, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, প্যাসিফিক ডেনিমস, পেনিনসুলা, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, ফার্মা এইডস, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স, ফনিক্স ফাইন্যান্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, পাওয়ার গ্রীড, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, প্রিমিয়ার লিজিং, প্রাইম ফাইন্যান্স, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, প্রাইমটেক্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, রহিমা ফুড, রহিম টেক্সটাইল, আরএকে সিরামিক, আরডি ফুড, রেকিট বেনকিজার, রিজেন্ট টেক্সটাইল, রেনেটা, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, রিং শাইন, আরএন স্পিনিং, রবি আজিয়াটা, আরএসআরএম স্টিল, রানার অটোমোবাইল, রূপালী ব্যাংক, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, সাফকো স্পিনিং, সাইফ পাওয়ার, সায়হাম কটন, সায়হাম টেক্সটাইল,
এস আলম, সালভো কেমিক্যাল, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সাভার রিফ্রাক্টরিজ, এসবিএসি ব্যাংক, শাশা ডেনিমস, শেফার্ড, সুহৃদ, শ্যামপুর সুগার, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক, সিলভা ফার্মা, সিমটেক্স, সিঙ্গার, এসকে ট্রিমস, সোনালী পেপার, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, সাউথইস্ট ব্যাংক, শাইনপুকুর সিরামিক, শাহজিবাজার পাওয়ার, স্কয়ার টেক্সটাইল, স্কয়ার ফার্মা, এসএস স্টিল, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, স্টাইলক্রাফট, সামিট পাওয়ার, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, তাল্লু স্পিনিং, তিতাস গ্যাস, তশরিফা, ট্রাস্ট ব্যাংক, তুংহাই, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড পাওয়ার, উসমানিয়া গ্লাস, উত্তরা ব্যাংক, উত্তরা ফাইন্যান্স, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, ওয়ালটন, ওয়াটা কেমিক্যাল, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ইয়াকিন পলিমার, জাহিন স্পিনিং, জাহিনটেক্স এবং জিলবাংলা সুগার।
Posted ১১:৩০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta