নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(৭ ফেব্রুয়ারী) :: পেকুয়ায় উজানটিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ করিয়ারদিয়ায় পুলিশিং সভা অনুষ্টিত হয়েছে। সম্প্রতি করিয়ারদিয়ায় ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। পৃথক স্থানে ডাকাতির ঘটনায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ সময় জনগনের জানমাল রক্ষাসহ ডাকাত ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে করনীয় বিষয় নিয়ে এক মতবিনিময় সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।
৭ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেলে করিয়ারদিয়ায় পুলিশিং মতবিনিময় সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। করিয়ারদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিকেলে অনুষ্টিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন ভূইয়া।
উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম, শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি এম, তোফাজ্জল করিম। উপজেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি জিয়াবুল হক জিকুর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন সাবেক ইউপি সদস্য ও উপজেলা আ’লীগ নেতা সিরাজুল মোস্তফা, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক শাহজামাল মেম্বার, টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, ৯ নং ওয়ার্ড আ’লীগ সাধারন সম্পাদক ছৈয়দুল আলম সিকদার।
সমাবেশে পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া তার বক্তব্যে বলেছেন, আপনারা নাম দিন পুলিশ এদেরকে ধরবে। ভয়ের কিছু নেই। আপনারা প্রত্যক্ষ নাম প্রকাশ না করলেও সমস্যা হবে না। গোপনে এদের নাম পুলিশকে দিন। পুলিশ জনগনের জানমাল রক্ষা করবে।
জনগন হচ্ছে রাষ্ট্রের মালিক। কোন অপরাধীর কাছে জনগনের জানমাল বিঘিœত হবে সেখানে পুলিশ বসে থাকতে পারে না। করিয়ারদিয়ায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উত্তরন ঘটাতে আমাদের এখানে আসা। ভৌগলিক অবস্থানগত কারনে প্রশাসনকে একটু বেগ পেতে হচ্ছে। আজকে এখান থেকে ঘোষনা করা হচ্ছে জনগন পুলিশকে সহায়তা করুন। দেখবেন আপনাদের ও পুলিশের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডাকাত, সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হব।
ওসি বলেন, আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। হয় অপরাধীরা থাকবে না হয় জনগন থাকবে। গুটি কয়েক অপরাধীর নিকট দ্বীপের ৪ হাজার মানুষ জিম্মী থাকবে। সেটি হতে দেওয়া যায় না। উজানটিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি তোফাজ্জল করিম বলেন, পুলিশকে টহল জোরদার বাড়াতে হবে। চুরি, ডাকাতি থামাতে করিয়ারদিয়ায় একটি কমিটির প্রয়োজন। আইন শৃংখলার্ ্্ক্ষায় ওই কমিটি মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেখভাল করবে। তারা পুলিশকে সার্বিক বিষয়ে সহায়তাসহ যোগাযোগ রক্ষা করবে।
আ’লীগ নেতা সিরাজুল মোস্তফা জানায়, গণডাকাতিতে এখানকার আর্তসামাজিক অবস্থা অনেকটা বিপন্ন হয়েছে। নাগরিকদের মধ্যে ভীতি ও আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। তিন থানার ওসির সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানায়, জনগন ও পুলিশ ঐক্যমত হলে অপরাধ নির্মূল করা কঠিন কাজ নয়।
উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম, শহিদুল ইসলাম জানায়, আগে ঘর ঠিক করতে হবে। বাইরের অপরাধীরা কেন এখানে এসে অপরাধ করবে এর রহস্য উদঘাটন করতে হবে। আমরা পুলিশকে সহায়তা করব। জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব পুলিশের যৌথ সমন্বয় থাকলে অপরাধীরা পালাবার পথ পাবে না।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাইফুল ইসলাম মেম্বার, আ’লীগ নেতা শেকাব উদ্দিন, সৈনিক লীগ নেতা আজিজুল হক, ব্যবসায়ী জকরিয়া, দেলোয়ার হোসাইন চৌধুরী, আবদুল মালেক, সাহাব উদ্দিন মাঝি, নাজিম উদ্দিন, গ্রাম পুলিশ নুরুল আমিন, কামাল হোসেন প্রমুখ।
Posted ১:০৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta