উলট পুরাণ৷ তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচে মনে করা হয়েছিল, মালিকে চাপে রাখবে ব্রাজিল৷ হল ঠিক তাঁর উল্টো৷তবে শেষটায় জোড়া গোলে ম্যাচ জিতে যুব বিশ্বকাপের থার্ড বয়ের জায়গা পাকা করল পাউলিনহো-লিঙ্কনরা৷

ব্রাজিলের রক্ষণ, প্রথমার্ধে কোনরকমে পাশ মার্কস পেয়ে উতরোয়৷প্রথমার্ধে উইভারসন-ভাটিও-ওয়েস্টলেদের উপর ছড়ি ঘোরাল মালিই৷উল্টে আফ্রিকান জায়েন্টদের সামনে যেন হিমসিম খেয়েও দ্বিতীয়ার্ধে কোনরকমে ম্যাচ জিতল সেলেকাও ব্রিগেড৷

ম্যাচের মাঝপথে ব্রাজিলের দোভাষী মিডিয়া ম্যানেজার গ্রেগরিও হাসতে হাসতে মেনে নেন, ‘লিঙ্কন-পাউলিনহো একটু যেন ঘুমিয়েই পড়েছে, এবার ওদের একটু জেগে ওঠা দরকার৷’

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য সত্যিই সচল হল ব্রাজিলের পরিচিত উইং প্লে৷ আর বল পজিশনে অ্যাডভানটেজ রেখে চাপটাও দারুণ ধরে রাখতে শুরু করে অ্যালানরা৷তাতেই প্রথম গোল৷

পরে পাওয়া চোদ্দ আনা সেই গোলেই তৃতীয় স্থান পাকা করল নেইমারদের জুনিয়াররা৷৫৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অ্যালনের শট সহজেই বাঁচিয়ে ফেলার বদলে কেরামতিতেই সমস্যা বাড়িয়ে ভিলেন হয়ে গেলেন মালির তেকাঠির রক্ষাকর্তা কইটা৷ দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে মালির জালে বল ঢুকতেই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে ব্রাজিল কোচ আমাদেও৷

ম্যাচ শেষে সেই মারাত্মক ভুলটা মেনে নিতে পারেননি কইটা৷মাটিতেই পড়েছিলেন দীর্ঘক্ষণ৷ শেষ পর্যন্ত রিসার্ভ বেঞ্চে ফুলবলাররা তাঁকে মাঠ থেকে টেনে তোলে৷শেষটায় মালির কোচ স্বয়ং এসে বোঝানোর পর মাঠ ছাড়েন এই গোলকিপার৷ দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণের ভুলে আরও একটা গোল হজম করতে হয় মালিকে৷ ৮৮ মিনিটে মালির বক্সে একাধিক পাশ খেলে আফ্রিকান জায়েন্টদের জালে বল জড়ান অ্যালবার্তো৷

রক্ষণ ও গোলরক্ষকের জোড়া ভুলকে অবশ্য ডিফন্ড করলেন মালি কোচ৷ ম্যাচ শেষে কোমলা বলেন, ‘গোলরক্ষকরাও তো মানুষ, ভুল তাদের দাড়াও হয়৷’ আর মালির এমন পারফরম্যান্স দেখে ব্রাজিল কোচ মাথা পেতেই মেনেই নিলেন,‘ব্রাজিল জিতলেও আসল খেলাটা খেলেছে মালিই, আমাদের দলতো দাঁড়াতেই পারেনি৷ ভাগ্য ভাল তিন নম্বরে শেষ করলাম৷’