বিশেষ প্রতিবেদক(১২ জুলাই) :: বঙ্গোপসাগরে ভোলার ট্রলার ডুবির ঘটনায় কক্সবাজার ও মহেশখালী সৈকত থেকে আরও ৫ জন জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে দুইদিনে মৃতদেহ উদ্ধারের সংখ্যা ১১ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ ঘটনায় ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তারা এখনও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ ইকবাল হোছাইন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে হিমছড়ি থেকে এক জন, মহেশখালীর হোয়ানক থেকে ১ জন, রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারের সমিতি পাড়া থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জেলেদের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় মিলেছে।
এরা হলেন, ভোলার চরফ্যাশনের পূর্ব মাদ্রাসা এলাকার তরিফ মাঝির ছেলে কামাল হোসেন (৩৫), চরফ্যাশনের উত্তর মাদ্রাসা এলাকার নুরু মাঝির ছেলে অলি উল্লাহ (৪০), একই এলাকার ফজু হাওলাদারের ছেলে অজি উল্লাহ (৩৫), মৃত আব্দুল হকের ছেলে মো. মাসুদ (৩৮), শহিদুল ইসলামের ছেলে বাবুল মিয়া (৩০) ও নজিব ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
পরিচয় শনাক্ত হওয়া ৬ জনকে স্বজনের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। তবে অপর ৫ জনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে,সাগরে বৈরী আবাহাওয়ায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক ভোলার চরফ্যাশন এলাকার ওয়াজ উদ্দিন পিটার।
জীবিত উদ্ধার হওয়া মনির আহমদ মাঝি জানান, গত ৪ জুলাই ভোলার চরফ্যাশনের শামরাজ ঘাট থেকে তারা মাছ ধরার উদ্দেশে সাগরে পাড়ি দেয়। মোট ১৪ জন এই ট্রলারে ছিলেন।
গত ৬ জুলাই ভোরে সাগরে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি থেকে ছিটকে পড়ে জেলেরা।
https://www.facebook.com/bangareport/videos/466324000610565/?t=13
Posted ৭:৩৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta