কক্সবাংলা ডটকম(২৫ নভেম্বর) :: শেষ ওভারের নাটকীয়তায় জয় পেল রংপুর রাইডার্স। শনিবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসকে তিন উইকেটে হারালো তারা। আট ম্যাচ খেলে আট পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ অবস্থানে আছে রংপুর রাইডার্স। আর আট ম্যাচ খেলে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে চিটাগং ভাইকিংস।
এদিন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে চিটাগং ভাইকিংসের দেয়া ১৭৭ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেট হারিয়ে ইনিংসের শেষ ওভারে জয় তুলে নেয় রংপুর রাইডার্স।
দলের পক্ষে মোহাম্মদ মিথুন ৪৪, মাশরাফি বিন মুর্তজা ৪২, ক্রিস গেইল ৩৩ ও থিসারা পেরেরা ২৮ রান করেন। চিটাগং ভাইকিংসের পক্ষে আল-আমিন ১টি, তাসকিন আহমেদ ১টি, সৌম্য সরকার ১টি, সানজামুল ইসলাম ১টি, তানভীর হায়দার ১টি ও লুইস রিসি ১টি করে উইকেট নেন।
আজ শেষ ওভারে রংপুর রাইডার্সের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। এই ওভারে বোলিংয়ে ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ওভারের প্রথম বলে দুই রান নেন থিসারা পেরেরা। দ্বিতীয় বলে তিনি ছক্কা হাঁকান। তৃতীয় বলে রান আউট হন নাহিদুল ইসলাম। চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ হন শাহরিয়ার নাফিস। পঞ্চম বল থেকে আসে দুই রান। এরপরের বলটি হয় ওয়াইড। আর শেষ বলে ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন থিসারা পেরেরা।
রংপুর রাইডার্স ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩১ রানে প্রথম উইকেট হারায়। মাত্র ১৫ রান করে আল-আমিনের বলে বোল্ড হয়ে যান ব্রেন্ডন ম্যাককলাম। এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি ও ক্রিস গেইল ৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। দলীয় ৯১ রানে সানজামুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান মাশরাফি বিন মুর্তজা। ১৭ বল খেলে তিনি করেন ৪২ রান। এই রান করার পথে তিনি চারটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান।
এরপর দলীয় ৯৭ রানে তানভীর হায়দারের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে একেবারে সীমানার কাছে লুকে রঞ্চির হাতে ক্যাচ হন ক্রিস গেইল। ২৫ বল খেলে ৩৩ রান করেন তিনি। দলীয় ১২৯ রানে সৌম্য সরকারের বলে নাজিবুল্লাহ জাদরানের হাতে ক্যাচ হন রবি বোপারা।
১৯তম ওভারে লুইস রিসির বলে বোল্ড হন মোহাম্মদ মিথুন। ২৯ বল খেলে ৪৪ রান করেন তিনি। ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে রান আউট হন নাহিদুল ইসলাম। চতুর্থ বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ হন শাহরিয়ার নাফিস।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে চিটাগং ভাইকিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন স্টিয়ান ভ্যান জিল। রংপুর রাইডার্সের পক্ষে লাসিথ মালিঙ্গা ১টি, রুবেল হোসেন ১টি, নাহিদুল ইসলাম ১টি, মাশরাফি বিন মুর্তজা ১টি ও থিসারা পেরেরা ১টি করে উইকেট নেন।
ফল: তিন উইকেটে জয়ী রংপুর রাইডার্স। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: মাশরাফি বিন মুর্তজা (রংপুর রাইডার্স)।
মাশরাফি বিন মুর্তজা সাধারণত ব্যাটিংয়ে নামেন লোয়ার অর্ডারে। কিন্তু শনিবার চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে গেলেন ওয়ানডাউনে। সফলও হলেন তিনি। ১৭ বল খেলে করলেন ৪২ রান। এই রান করার পথে তিনি চারটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকালেন।
চিটাগং ভাইকিংসের দেয়া ১৭৭ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আজ দলীয় ৩১ রানে প্রথম উইকেট হারায় রংপুর রাইডার্স। মাত্র ১৫ রান করে আল-আমিনের বলে বোল্ড হয়ে যান ব্রেন্ডন ম্যাককলাম।
এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি ও ক্রিস গেইল ৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। দলীয় ৯১ রানে সানজামুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান মাশরাফি বিন মুর্তজা।
এদিন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে রাজশাহী কিংসের দেয়া ১৮৬ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯.১ ওভারে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয়ে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন শোয়েব মালিক। রাজশাহী কিংসের পক্ষে মোহাম্মদ সামি ৪টি, মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি, মোস্তাফিজুর রহমান ২টি, জেমস ফ্রাঙ্কলিন ১টি ও ডোয়াইন স্মিথ ২টি করে উইকেট নেন।
রাজশাহী কিংস ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায়। ফখর জামানকে বোল্ড করেন মোহাম্মদ সামি। দ্বিতীয় ওভারে ইমরুল কায়েসকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর ৮৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তামিম ইকবাল ও শোয়েব মালিক।
দলীয় ৯১ রানে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে শোয়েব মালিককে ফেরান ডোয়াইন স্মিথ। ইনিংসের ১৫তম ওভারে তামিম ইকবাল, অলক কাপালি ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ সামি। ১৬তম ওভারে জস বাটলারকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন জেমস ফ্রাঙ্কলিন। ১৭তম ওভারে হাসান আলীকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। ১৮তম ওভারে ডোয়াইন স্মিথের বলে জেমস ফ্রাঙ্কলিনের হাতে ক্যাচ হন রশীদ খান। ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন মেহেদী হাসান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী কিংস। দলের পক্ষে অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ১৪ বল খেলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ড্যারেন স্যামি। এই রান করার পথে তিনি ছয়টি ছক্কা ও একটি চার মারেন। এছাড়া ৪২ রান করেন লুকে রাইট। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পক্ষে আল-আমিন হোসেন ১টি, হাসান আলী ২টি ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩টি করে উইকেট নেন।
ফল: ৩০ রানে জয়ী রাজশাহী কিংস। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: ড্যারেন স্যামি (রাজশাহী কিংস)।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ফখর জামানকে বোল্ড করেন মোহাম্মদ সামি। ১৫তম ওভারে বোলিংয়ে এসে তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘেরে ফেরান তিনি। মূলত এই ওভারেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জয়ের সম্ভাবনা শেষ করে দেন এই বোলার।
ওভারের দ্বিতীয় বলে ডোয়াইন স্মিথের হাতে ক্যাচ বানিয়ে তামিম ইকবালকে ফিরি দেন সামি। চতুর্থ বলে অলক কাপালিকে বোল্ড করেন তিনি। আর ওভারের শেষ বলে তিনি ফেরান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে। এই ক্যাচটিও নেন ডোয়াইন স্মিথ।
Posted ৩:৩৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta