কক্সবাংলা ডটকম(১৫ সেপ্টেম্বর) :: গোটা টুর্নামেন্টে ভাল ফুটবল খেলেও তীরে এসে তরী ডুবল কনস্ট্যানটাইনের তরুন ব্রিগেডের। মলদ্বীপের কাছে ১-২ গোলে হেরে অষ্টমবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অদূরেই থমকে যেতে হল ভারতকে।
অন্যদিকে কনস্ট্যানটাইনের তরুন ব্রিগেডকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হল মলদ্বীপ।
শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পাশাপাশি গ্রুপ পর্বের ম্যাচে এই মলদ্বীপকেই ২-০ গোলে হারিয়েছিল ভারত। এরপর সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ফেভারিট হয়েই মাঠে নামে তারা।
কিন্তু টুর্নামেন্টের সবচেয়ে জঘন্য ম্যাচ উপহার দিয়ে ফাইনালে মলদ্বীপের কাছে হেরে বসল নিখিল পূজারি, মনবীর সিংরা। শনিবাসরীয় সাফ ফাইনালের দুই অর্ধে দুটি গোল করে যায় দ্বীপ রাষ্ট্রটি। ম্যাচের একেবারে অন্তিম সময় ভারতের হয়ে ব্যবধান কমান সুমিত পাসি।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নিজেদের মেলে ধরতে না পারলেও সেমিফাইনালে নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা পাকা করে মলদ্বীপ। শেষ চারে তাদের দুরন্ত লড়াই ফাইনালের আগে সমীহ আদায় করে নেয় ভারতের ব্রিটিশ কোচের।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম সারির তিন ফুটবলারকে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল দ্বীপ রাষ্ট্রটি। তাই ফাইনালের লড়াই যে সহজ হবে না, তা কনস্ট্যানটাইনের কথাতেই ছিল স্পষ্ট।
২০০৯ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এই মলদ্বীপকেই টাইব্রেকারে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। তাই দ্বিতীয়বার ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে পাশা ওলটাতে মরিয়া ছিল আক্রম আব্দুল এন্ড কোম্পানি। সেই লক্ষ্য্যেই এদিন খেলা শুরু করে তারা। ডিফেন্সে লোক বাড়িয়ে প্রতি আক্রমণে গোল তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে সফল হয় মলদ্বীপ। ১৯ মিনিটে ইব্রাহিম মাহুধি হুসেনের গোলে হাইভোল্টেজ ম্যাচে এগিয়ে যায় তারা। স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় প্রথমার্ধ ডেডলক খুলতে পারেনি ভারত।
অন্যদিকে ভারতীয় ডিফেন্ডারদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবের ফায়দা তুলে ৬৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মলদ্বীপ। মলদ্বীপের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন আলি ফাসির। নির্ধারিত সময়ের বাকি সময়টা হাজার চেষ্টা করেও গোলের খাতা খুলতে পারেননি ভারতের স্ট্রাইকাররা। অতিরিক্ত সময়ে ‘মেন ইন ব্লু’র হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন সুমিত পাসি। যদিও ট্রফি জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।
Posted ১১:৪৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta