সংবাদ বিজ্ঞপ্তি(১৪ ডিসেম্বর) ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন ১২-১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে গান্ধী-১৫০ আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করে। বাংলাদেশের ১৫ জন তরুণ শিল্পী এই ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক ও বিখ্যাত শিল্পী রোকেয়া সুলতানা এই ক্যাম্পের পরামর্শদাতা ছিলেন।
ভারত সরকার দেশব্যাপী এবং বিদেশের ভারতীয় মিশনগুলোতে মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে। গান্ধী-১৫০ আর্ট ক্যাম্প ভারতীয় হাই কমিশন কর্তৃক এই বিশেষ বর্ষ উদযাপনেরই অংশ। ইতোপূর্বে, হাই কমিশন নিরামিষ খাদ্য উৎসব, বৃক্ষরোপণ এবং সাইকেল র্যালির আয়োজন করেছিল। এছাড়াও ৫০টিরও বেশি স্কুলের শিক্ষার্থীরা মহাত্মা গান্ধীর ওপর কুইজে অংশ নিয়েছে।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মহাত্মা গান্ধীর স্মরণে একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠান হয় যেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১১ ডিসেম্বর ২০১৯ হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনে গান্ধী@১৫০ আর্ট ক্যাম্প উদ্বোধন করেন। ডেপুটি হাই কমিশনার শ্রী বিশ্বদীপ দে ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং শিল্পীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
শিল্পীরা সত্য, অহিংসা, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম্-সমগ্র বিশ্ব এক পরিবার’ ইত্যাদির মত গান্ধীজীর বিভিন্ন দর্শনকে ভাস্কর্য, চিত্রকর্ম, বাটিকসহ বিভিন্ন ধরণের শিল্পকর্মে ফুটিয়ে তোলে। গান্ধী-১৫০ আর্ট ক্যাম্পের এসব শিল্পকর্ম ২০২০ সালের জানুয়ারির প্রথমদিকে শিল্পকলা একাডেমিতে প্রদর্শিত হবে।
গান্ধী-১৫০ আর্ট ক্যাম্পে হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ তাঁর বক্তব্য বলেন-“গান্ধী-১৫০ আর্ট ক্যাম্পে তরুণ শিল্পীদের উৎসাহী অংশগ্রহণ দেখে আমি আনন্দিত। গান্ধীজীর দর্শন নিয়ে তাদের ভাবনার সত্যিকার প্রতিফলন হয়েছে তাদের শিল্পকর্মে। গান্ধীজীর কালজয়ী নীতিগুলো এসব তরুণ প্রাণে অনুরণিত হচ্ছে দেখে আমি খুব আশাবাদী।”
গান্ধী-১৫০ আর্ট ক্যাম্প এর পরামর্শদাতা রোকেয়া সুলতানা বলেন-“আজকের তরুণরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ভারতীয় হাই কমিশন আয়োজিত গান্ধী-১৫০ আর্ট ক্যাম্প তাদের পথ দেখাবে। এই প্রজন্ম গান্ধীজীর দর্শনকে বুঝবে এবং একটি পরোপকারী পৃথিবী গড়ে তুলবে। তারা এই পৃথিবীর সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে এবং শান্তি বজায় রাখতে নিজেদের নিয়োজিত করবে।”
ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী শিল্পী তাহিয়া হোসেন বলেন, “শান্তির জন্য মহাত্মা গান্ধীর আজীবনের কাজ আমি ক্যানভাসে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছি। তিনি আমাদের শান্তির পথ দেখিয়েছিলেন এবং তাঁর জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন যে সহিংসতার আশ্রয় না নিয়ে যে কেউ নিজের লক্ষ্য অর্জন করতে পারে”।
ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী শিল্পী রাহুল রাহাত বলেন, “গান্ধী সত্য সন্ধানের মহান উদ্দেশ্যে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমি আমার কাজের মাধ্যমে তাঁর সত্যান্বেষণ উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি এবং কীভাবে তিনি সুতাকে একটা মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন যার মাধ্যমে ভারত স্বাধীনতা এবং স্বনির্ভরতার জন্য লড়াই করেছিল”।
ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী শিল্পী মো. আশরাফুল আলম বলেন “সত্যাগ্রহ সত্য, প্রেম এবং অহিংসার দ্বারা উৎপন্ন শক্তি। সত্যাগ্রহের এই উপলব্ধিটিই আমি আমার কাজের মাধ্যমে চিত্রিত করার চেষ্টা করছি”।
****
Posted ৫:১১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta