কক্সবাংলা ডটকম(১৭ ফেব্রুয়ারী) :: এবার মঙ্গলেও দেখা যেতে পারে জোকার বা ক্লাউন! সেই জোকারদের দারুণ স্মার্ট হতে হবে। তাদের মুখ থেকে যে শব্দটি খসবে, তাতেই যেন হেসে গড়িয়ে পড়েন সবাই। যদিও গড়িয়ে পড়া যাবে না। কারণ, মহাকাশে মাইক্রোগ্র্যাভিটির প্রায় শূন্য অভিকর্ষ বলে ইচ্ছে হলেও নিচে গড়িয়ে পড়া যায় না।
ভিনগ্রহে এমন জোকারই পাঠানোর কথা ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। যাতে মহাকাশযাত্রীদের উদ্বেগ-উত্তেজনা কমাতে তাদের মজা-মশকারায় ভুলিয়ে রাখতে পারে এ জোকাররা। তারা খতিয়ে দেখেছেন, টানা ১ বা ২ মাস মঙ্গলে থাকার ক্ষেত্রে জোকারদের ভূমিকা কতটা কর্যকরী হতে পারে মহাকাশচারীদের ক্ষেত্রে। আর ৯-১০ বছরের মধ্যে মঙ্গলে প্রথম মহাকাশচারী পাঠাবে নাসা। তাদের টার্গেট ২০১৮ সাল। তা ২০২৩-এও হতে পারে। যার জোর প্রস্তুতি চলছে গত ১ দশক ধরেই।
নাসা এ ব্যাপারে যাদের গবেষণা চালানোর দায়িত্ব দিয়েছে, তাদের অন্যতম ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ জেফ্রি জনসন বলেছেন, একমাত্র জোকার বা ক্লাউনরাই পারেন মজা-মশকারার মাধ্যমে মহাকাশচারীদের সব রকমের টেনশন কাটিয়ে দিতে। চারপাশ বন্ধ, এমন একটা জায়গায় টানা দীর্ঘদিন থাকতে হলে টেনশন, ক্লান্তি, মানসিক অবসাদ আসবেই। যা মহাকাশে আরও বিপজ্জনক মহাকাশচারীদের পক্ষে। আর একমাত্র জোকাররাই তা কমাতে পারেন।
Posted ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta