বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

মডার্না, ফাইজার ও অক্সফোর্ড করোনা ভ্যাকসিনের মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকর?

সোমবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২১
646 ভিউ
মডার্না, ফাইজার ও অক্সফোর্ড করোনা ভ্যাকসিনের মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকর?

কক্সবাংলা ডটকম(৪ জানুয়ারি) :: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মডার্না, ফাইজার ও অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন অনুমোদনের পর প্রয়োগ হচ্ছে। তিনটি ভ্যাকসিনই তাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ পর্বে ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে উঠে এসেছে।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের শেষ পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে ২৩ নভেম্বর। যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরও গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় এবং ৪ জানুয়ারি প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ৮২ বছর বয়সী ব্রায়ান পিংকার প্রথম রোগী হিসেবে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়েছেন।

প্রথম ভ্যাকসিন হিসেবে যুক্তরাজ্যে অনুমোদন পায় ফাইজার-বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন। এটিও দেশটিতে প্রয়োগ করা হচ্ছে। মডার্নার ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদনের প্রয়োগ শুরু হয়েছে তবে যুক্তরাজ্যে এখনও তা ছাড়পত্র পায়নি।

করোনাভাইরাসকে টার্গেট করে অক্সফোর্ড তাদের প্রচলিত ভ্যাকসিন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েছে। তাদের এই প্রযুক্তিতে শিম্পাঞ্জীর দেহে সাধারণ ঠান্ডার কারণ একটি ভাইরাসকে ট্রোজান হর্স হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে। এই ভাইরাসটিকে পরিবর্তন করা হয়েছে ফলে এটি মানুষের দেহে রোগ সৃষ্টি করবে না। এতে নতুন করোনাভাইরাসে একটি জিন যুক্ত করা হয়েছে।

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন মানুষের দেহ কোষে করোনাভাইরাসের জিনের প্রবেশ ঘটায়, যা স্পাইক প্রোটিন তৈরি করে। এতে থাকে কোভিড-১৯ এর অন্যন্য বৈশিষ্ট্য। এর ফলে শরীরে যদি আসল করোনাভাইরাস প্রবেশ করে তাহলে রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠে।

ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিন যে প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে তা এমআরএনএ নামে পরিচিত। এতে মানুষের দেহে একটি মেসেঞ্জার সিকুয়েন্স প্রবেশ করানো হয় যাতে জেনেটিক নির্দেশ থাকে। এই নির্দেশে ওই ব্যক্তির দেহ কোষকে অ্যান্টিজেন উৎপাদনের কথা বলা হয় এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। এমআরএনও প্রযুক্তিকে এভাবে ব্যবহার একেবারে নতুন।

তিনটি ভ্যাকসিনেরই দুটি ডোজের প্রয়োজন হয়। কিন্তু যুক্তরাজ্য সরকারকে পরামর্শদানকারী সংস্থা জয়েন্ট কমিটি অন ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমিউনিজাইশেন জানিয়েছে, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে লক্ষ্য হলো ঝুঁকিতে মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়া। কোর্স সম্পন্ন করতে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।

ফাইজার ভ্যাকসিনে দুটি ডোজ দেওয়ার পর ৯৫ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া গেছে। ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এটি ৯৪ শতাংশ কার্যকর। এই বয়সসীমার মানুষেরা সর্বাধিক ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রথম ডোজ দেওয়ার ১২ দিনের মধ্যে সুরক্ষা পাওয়া গেছে ৫২ শতাংশ।

মডার্নার ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকর বলে জানা গেছে। তবে তারা জানিয়েছে, তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা এখনও চলছে। হয়ত কার্যকারিতার হার বদলাতে পারে।

অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ক্ষেত্রে কার্যকারিতা ৬২ শতাংশ। কিন্তু যখন প্রথমে অর্ধেক ডোজ এবং অন্তত এক মাসের ব্যবধানে পূর্ণাঙ্গ দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে তখন কার্যকারিতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ শতাংশ।

এই ফলাফলকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন ব্রিটিশ ওষুধ নিয়ন্ত্রেকরা। তারা পরীক্ষার ফলাফলের তথ্য পর্যালোচনার পর দুটি পূর্ণাঙ্গ ডোজ প্রয়োগ করার সুপারিশ দিয়েছেন। সংস্থাটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রথম ডোজের পর তিন মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হলে কার্যকারিতা ৮০ শতাংশ। প্রথম ডোজ প্রদানের ২২ দিনের মাথায় ভ্যাকসিনে সুরক্ষা পাওয়া যায় ৭০ শতাংশ।

ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ গ্রহণের ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। ফাইজারের ভ্যাকসিন অনুমোদনের সময় ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রকরা বলেছিলেন, প্রথম ডোজের ২১ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। কিন্তু পরে তা পাল্টে ২১ দিন থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত করা হয়। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ নিতে ৪ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে।

তিনটি ভ্যাকসিনের একটি বড় পার্থক্য হলো কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে। ফাইজারের চেয়ে মডার্নার ভ্যাকসিন বিতরণ সহজ। এ দুটির ক্ষেত্রে কিছুটা উদ্বেগ থাকলেও সবচেয়ে সহজ হলো অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন বিতরণ। পরিবহন ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ফাইজারের ভ্যাকসিন মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখতে এবং প্রয়োগের আগে অন্য একটি তরল পদার্থের সঙ্গে মিশ্রিত করতে হবে। ফাইজার ভ্যাকসিনের জন্য কোম্পানিটি নিজেদের প্যাকেজিং ব্যবস্থা তৈরি করেছে। এতে বিশেষায়িত ফ্রিজার ছাড়াই ১০ দিন সংরক্ষণ করা যাবে।

মডার্নার ভ্যাকসিন বাসা-বাড়ির সাধারণ ফ্রিজে ত্রিশ দিন পর্যন্ত রাখা যায়। রুমের তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিনটি ১ ঘণ্টা রাখা যাবে। মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বাড়িতে বা মেডিক্যাল ফ্রিজারে ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। কোম্পানিটির দাবি, তাদের ভ্যাকসিন বর্তমানে বহুল প্রচলিত পরিবহন ও সংরক্ষণ অবকাঠামোতে বিতরণ করা যাবে।

যে কোনও ভ্যাকসিনের মতোই অক্সফোর্ডের উদ্ভাবিত টিকাও ভ্যাকসিন কেন্দ্রে রেফ্রিজারেটর ভ্যান বা কুল বক্সে করে পাঠাতে হবে। এগুলো সংরক্ষণ করতে বিশেষ ভ্যাকসিন ফ্রিজে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং আলো থেকে দূরে রাখতে হবে।

তিনটি ভ্যাকসিনের দামেও পার্থক্য রয়েছে। যদিও যুক্তরাজ্যের এনএইচএস’র সেবাগ্রহীতা ভ্যাকসিনটি সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে পাবেন। সবচেয়ে দামি হলো মডার্নার ভ্যাকসিন। গ্রীষ্মে একটি ডোজের দাম ৩৮ ডলার। আর ফাইজারের একটি ডোজের দাম ২০ ডলার।

মডার্না ও ফাইজারের চেয়ে দামে সস্তা অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার দাবি, একটি ডোজের জন্য সরকারকে এক কাপ কফির দাম পরিশোধ করতে হবে। ধারণা হচ্ছে, একটি ডোজের দাম পড়বে ৩ ডলারের কম। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনটি মুনাফার জন্য বিক্রি করবে না, যাতে করে যে কোনও আকারের অর্থনীতির দেশেও তা পাওয়া যায়।

 

646 ভিউ

Posted ১১:৫৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২১

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com