কক্সবাংলা ডটকম(৩ এপ্রিল) :: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গর্বের মিশন শক্তি৷ ভোটের আগে বিজেপির পালে হাওয়া লাগানো মিশন শক্তি আপাতত কিছুটা বেকায়দায়৷ নাসা জানাচ্ছে ভারতের মিশন শক্তি মহাকাশে প্রচুর আবর্জনা উৎপন্ন করেছে৷ এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০০টি আবর্জনা কক্ষপথে ফেলেছে মিশন শক্তি মিসাইল৷
ডিআরডিও চেয়ারম্যান জানিয়ে ছিলেন, গত ৬ মাস ধরে চলছিল ‘মিশন মোড’। অর্থাৎ তৎপরতার সঙ্গে কাজ চলছিল। নির্ধারিত দিনে মিসাইলটি পরীক্ষা করতে ১০০ জন বিজ্ঞানী দিন-রাত কাজ করছিলেন বলে জানিয়ে ছিলেন সতীশ রেড্ডি। সকাল ১১টা ১৬ মিনিটে ওড়িশার বালাসোর থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ওই মিসাইল। মাটি থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে একটি অকেজো হয়ে যাওয়া স্যাটেলাইটে আঘাত করে সেটি৷
ভারতের এই পরীক্ষাকেই ‘ভয়ঙ্কর ব্যাপার’ বা টেরিবল থিং বলে ব্যাখ্যা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ কারণ মহাকাশচারীদের জন্য এই মিসাইলটি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ প্রায় ৪০০টি আবর্জনা ঘুরে বেড়াচ্ছে মহাকাশে, যা তৈরি করেছে এই মিশন শক্তি৷ এর জন্য সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মহাকাশচারিদের৷
নাসা জানাচ্ছে, এই আবর্জনার কোনটিই আকারে খুব একটা বড় নয়৷ বেশিরভাগকেই চিহ্নিত করা যায়নি৷ তারই মধ্যে ৬০টিকে মিশন শক্তি দ্বারা উৎপাদিত আবর্জনা হিসেবে চিহ্নিত করা গিয়েছে৷ যেগুলি কোনটিই ১০ সেন্টিমিটারের বেশি বড় নয়৷
এদিকে ভারতের উপগ্রহঘাতী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় কোনও বিপদ হবে না আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের। মার্কিন আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা গবেষণা কেন্দ্রের প্রাক্তন প্রধান ভিকে সারস্বত। তিনি বলেন, ভারতের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে এসব বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সংবাদমাধ্যমকে সারস্বত বলেন, ভারত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে ভূপৃষ্ঠের অপেক্ষাকৃত কাছাকাছি কক্ষে থাকা নিজেরই উপগ্রহ ধ্বংস করেছে। এই অভিঘাতের ফলে যে টুকরোগুলি তৈরি হয়েছে তার বেগ খুব কম। তাই ৪৫ দিনের মধ্যেই সেই টুকরোগুলি পৃথিবীর আবহমণ্ডলে প্রবেশ করে ধ্বংস হয়ে যাবে। এতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। DRDO-র প্রাক্তন প্রধান স্পষ্ট করেছেন, মার্কিন আশঙ্কা অমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
Posted ৪:১৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta