কক্সবাংলা ডটকম(১১ জানুয়ারি ) :: ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস৷ সব কিছু ঠিক থাকলে ওই বছর ওই মাসে গগনযানে করে মহাকাশে পাড়ি দেবেন ভারতীয় নভোশ্চররা৷ ঘোষণা ইন্ডিয়ান স্পেশ রিসার্চ অগানাইজেশন বা ইসরো চিফ কে সিভানের৷ ফলে রাকেশ শর্মার পর আরও এক ভারতীয়ের কাছে মহাকাশচারী হওয়ার স্বপ্ন হাতছানি দিচ্ছে৷ সবচেয়ে বড় ঘোষণা, মহাকাশে যে টিম পাঠানো হবে তার মধ্যে মহিলা মহাকাশচারীও থাকবেন বলে জানা গিয়েছে৷ সাত দিনের জন্য মহাশূন্যে যাবেন ভারতীয় মহাকাশচারীদের একটি দল।
হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট’ নির্মাণ করতে এ পর্যন্ত ১৭৩ কোটি টাকা খরচ করে ভারত। মহাকাশ অভিযান নিয়ে এখন বিস্তারিত আলোচনা হলে বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০০৮ সালে। কিন্তু আর্থিক মন্দা এবং আরও কয়েকটি কারণে অভিযান এত বছর পিছিয়ে গিয়েছে।
এর আগে রাকেশ শর্মার নামে এক ভারতীয় মহাকাশ সফর করেছেন।আর এবারের দলে প্রথমবারের মতো একজন নারীও মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে বলে জানান ইসরো প্রধান। এই অভিযান যাতে সফল হয় তার জন্য ফ্রান্স ওই রাশিয়া ভারতকে সাহায্য করবে বলে জানা গিয়েছে।২০১৪ সাল থেকে আধুনিক মহাকাশ যান তৈরির কাজ শুরু করেছে ইসরো।
তবে মহাকাশে ভারতের মানব অভিযানের আগে পরীক্ষামূলকভাবে আরও দুটি মহাকাশযান পাঠাবে ইসরো৷ একটি পাঠানো হবে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে৷ দ্বিতীয় মহাকাশযান পাঠানো হবে ২০২১ সালের জুলাই মাসে৷ ইসরো প্রধান জানান, মিশনকে সফল করার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে৷ গগনযানকেও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে৷ সেটি হবে ভারতেই৷ এরপর পরবর্তী পর্যায়ের প্রশিক্ষণ হবে রাশিয়াতে৷ টিমে মহিলা মহাকাশচারীও থাকবে৷ এটাই ইসরোর লক্ষ্য৷
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, ২০২২ সালে কোনও ভারতীয় পুরুষ বা মহিলা ‘গগনযান’-এ মহাকাশে পাড়ি দেবেন। ভারতের জাতীয় পতাকা মহাকাশে উড়বে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আর সেই প্রজেক্টের জন্য ১০,০০০ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেই প্রজেক্টের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আনলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চাইছে। তবে, মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করলেই মহাকাশযানগুলি বায়ুর সঙ্গে ঘর্ষণে প্রবল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই তাপকে সহ্য করার মতো প্রযুক্তি তৈরিই মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
২০০৭ সালেই ভারত ‘রি-এন্ট্রি’ প্রযুক্তির প্রথম পরীক্ষাটি করেছিল। ৫৫০ কেজি ওজনের একটি উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠিয়ে ১২ দিন পর আবার তাকে সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। এই বাধা টপকানোর পরই দ্রুত এগিয়েছে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর কাজ।
Posted ৫:০২ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১১ জানুয়ারি ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta