কক্সবাংলা ডটকম(৪ মার্চ) :: ভিনগ্রহী উন্নত প্রাণীরা বরাবরই আমাদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে পাঠানো সেই বার্তা বোঝার মতো ক্ষমতা এখনো হয়নি মানুষের। তাই বার্তা পেলেও তা আমরা বুঝতে পারছি না। মহাকাশে ভিনগ্রহ থেকে আসা সংকেত নিয়ে যারা কাজ করছেন, তারাই এখন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
মহাজাগতিক বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে কাজ করা এসইটিআই প্রকল্পের গবেষকরা সম্প্রতি বলেছেন, মহাজাগতিক সংকেত ধারণে বর্তমানে আমরা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছি তা প্রচুর শব্দ উৎপন্ন করে। ফলে মহাকাশের দূরতম স্থান থেকে আসা শব্দ গ্রহণ করলেও তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না।
এক্সপ্রেস ইউকের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার ৪ মার্চ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিনগ্রহের প্রাণীদের কাছে উন্নত প্রযুক্তি থাকার সম্ভাবনাই বেশি। আর এ কারণেই তাদের সঙ্গে আমাদের প্রযুক্তি মিলছে না।
গবেষকরা বলছেন, তারা যদি আমাদেরকে ফোন কলও দেয় আমাদের পক্ষে তা বুঝে রিসিভ করা সম্ভব হবে না। ফলে কোনো তথ্য যদি তারা দিয়েও থাকে তা বোঝার ক্ষমতা সত্যিই আমাদের নেই।
তবে গবেষকরা আশাবাদী, ভবিষ্যতে মহাকাশের উন্নত মানুষের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ স্থাপন করার মতো প্রযুক্তি নিশ্চয় আবিষ্কার হবে। অবশ্য একদল বিশ্বাস করে যে মহাকাশের বুদ্ধিমান প্রাণীরা নিয়মিতই আমাদেরকে সংকেত পাঠাচ্ছে। কখনো কখনো তা আমাদের প্রযুক্তিতে ধরাও পড়ছে। কিন্তু সে সম্পর্কে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো মুখ খুলছে না।
তারা এটাও দাবি করছে যে, আমাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মতো যন্ত্র দিয়েই হয়তো বা তারা যোগাযোগ করে যাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তার ভাবার্থ বোঝা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছে না। বা যারা বুঝতে পারছে তারা মুখ খুলছে না। উদাহরণ হিসেবে তারা রেডিও এবং আলোক সংকেতের কথা বলছেন।
বিশ্বের অনেক স্থানেই মানুষের মনে এলিয়েন সম্পর্কে বিশ্বাস রয়েছে। শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই অর্ধেক মানুষ ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণী থাকার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করে।
এর আগে ২০০১ সালে এক সমীক্ষায় জানা যায়, আমেরিকার ৩৩ ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে যে এলিয়েন পৃথিবীতে ভ্রমণ করেছিল। মানুষের আগের সভ্যতাতে যার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে।
গেল বছরের অক্টোবর থেকে তো ভিনগ্রহের প্রাণী পৃথিবীতে আসছে বলে আতঙ্কও ছড়িয়ে গেছে। যখন বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন, পৃথিবীর দিকে একটি বিশাল লম্বাকৃতির গ্রহাণু ধেয়ে আসছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এর সত্যতা নিশ্চিতে পর অনেকেই ভাবছেন, সেই গ্রহাণুতে এলিয়েন থাকতেও পারে।
এরই মধ্যে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একাংশ আশঙ্কা করছেন, অউমুয়ামুয়া নামের যে গ্রহাণুটি পৃথিবীর পথে রয়েছে তা মহাকাশযান হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিদ আব্রাহাম লোয়েব দাবি করেছেন, এই মহাকাশযানে যারা আছেন তারা সম্ভবত অতীতেও পৃথিবীতে পা দিয়েছিলেন। এবং তারা যে আসছেন, এ বিষয়টি জানাতে সংকেতও পাঠিয়ে যাচ্ছেন।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনটাই দাবি উঠেছে। গবেষকরা বলছেন, দূর নক্ষত্রম-ল থেকে অউমুয়ামুয়া পৃথিবী লক্ষ্য করেই এগিয়ে আসছে, যা নিকট অতীতে বিজ্ঞানীরা কোনো গ্রহাণুর মধ্যেই এমন আচরণ দেখতে পাননি।
Posted ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৫ মার্চ ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta