কক্সবাংলা ডটকম(১৮ মে) :: ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েন বলতে মূলত পৃথিবী-ভিন্ন মহাকাশের অন্য কোন স্থানের প্রাণীকে বোঝায়।
অনেকের কাছেই এলিয়েন ধারণাটা নেহায়েত কল্পনা আবার অনেক বিজ্ঞানীর মতে, পৃথিবীর বাইরেও থাকতে পারে অন্য কোন বুদ্ধিমান প্রাণী। দ্বিতীয় দলটির যুক্তি, এই মহাবিশ্বের রয়েছে বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি বা তারকামন্ডল।
আমাদের গ্যালাক্সিতেই রয়েছে ২০ হাজার কোটি নক্ষত্র যার মধ্যে আমাদের সূর্যও একটি। তাই এই বিশাল মহাবিশ্বে কোথাও না কোথাও এলিয়েন বা কোন বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব থাকাটা অমূলক কোন বিষয় নয়। এলিয়েনের থাকার ধারণাটিকে জোরালো করতে ‘ডার্ক এনার্জি’ তত্ত্ব তুলে ধরেছেন একদল বিজ্ঞানী।
ঐ বিজ্ঞানীদের যুক্তি, আমাদের পৃথিবীতে অদভুত এক শক্তি রয়েছে যার কারণেই এই পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা হয়েছিল। অদভুত এই শক্তিকে তারা অভিহিত করেছেন ‘ডার্ক এনার্জি’ বা অন্ধকার শক্তি হিসেবে।
এর আগেও তারা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, পৃথিবীতে উপযুক্ত মাত্রার ডার্ক এনার্জির উপস্থিতির কারণেই এখানে তা মধ্যাকর্ষণের বিপরীতে কাজ করতে পারে। এর ফলে মহাজাগতিক প্রসারণকে এমন একটি দ্রুততর গতিতে নিতে সক্ষম হয় যে তা প্রাণ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আগে মনে করা হতো, অন্য কোন গ্রহ বা নক্ষত্রের এমন ধরনের মহাজাগতিক প্রসারণ গতি থাকার সম্ভাবনা কম। কিন্তু এই বিজ্ঞানীরা তাদের সর্বশেষ গবেষণায় প্রমাণ করতে পেরেছেন যে প্রাণ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় ডার্ক এনার্জি অন্য গ্রহে বা অন্য নক্ষত্রেও থাকতে পারে। সেটি হলে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকাটাও অসম্ভব কিছু নয়।
আশির দশকে একদল বিজ্ঞানীদের ধারণা দিয়ে দিয়েছিলেন যে পৃথিবীতে খুব কম মাত্রার ডার্ক এনার্জি রয়েছে।
কিন্তু ডুরহাম ইউনিভার্সিটির এই গবেষকদের দাবি, আগে যে মাত্রার ডার্ক এনার্জির কথা বলা হতো আসলে পৃথিবীতে তার চেয়েও ১০০ গুন বেশি ডার্ক এনার্জি রয়েছে।
নিউইয়র্ক পোস্ট
Posted ২:৫৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৯ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta