কক্সবাংলা ডটকম(২ মার্চ) :: মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও বেসরকারি সংস্থা স্পেস-এক্স শনিবার একটি নভোচারী পরিবহনকারী ক্যাপসুল ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে (আইএসএস) পাঠিয়েছে। এক সপ্তাহের এই অভিযানে নভোযানটি আইএসএসে অবস্থানের পর আবারও পৃথিবীতে ফিরে আসবে।
নাসা ও স্পেস-এক্সের এই অভিযান সফল হলে আট বছর বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্র আবারও মহাকাশ অভিযানে মানুষ পাঠানো শুরু করবে। ২০১১ সালের যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর কক্ষপথে কোনও মানুষ পাঠাতে সক্ষম হয়নি বলে জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
এবারের পরীক্ষামূলক অভিযানে স্পেস-এক্সের ‘ক্রু ড্রাগন’ ক্যাপসুল বা নভোযানে রয়েছে রিপ্লি নামের একটি ডামি বা পুতুল।
কাতারের গণমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, শনিবারের পরীক্ষামূলক অভিযান সফল হলে, নাসা এবছরের শেষে এই ক্রু ড্রাগনে দু’জন নভোচারী মহাকাশে প্রেরণ করবে।
উদ্ভাবক ও ধনকুবের ইলন মাস্ক পরিচালিত সংস্থা স্পেস-এক্সের তৈরি একটি রকেটে করে ফ্লোরিডার কেপ কানাভেরাল থেকে নতুন ক্যাপসুলটি প্রেরণ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ জয়ের অভিযান শুরু হয়েছিল এখান থেকেই। এটি আইএসএসে গিয়ে পৌঁছাবে রোববার। পৃথিবীতে পৃথিবীতে ফিরে আসবে আগামী শুক্রবার।
‘এটা মার্কিন ইতিহাসের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা,’ বলেন মার্কিন মহাকাশ সংস্থাটির প্রধান জিম ব্রিডেন্সটাইন, ‘আমরা ২০১১ সালের পর আবারও আমেরিকান রকেটে করে আমেরিকার মাটি থেকে আমেরিকার নভোচারী প্রেরণ করা শুরু করতে যাচ্ছি।’
ত্রিশ বছর চালু থাকার পর জুলাই ২০১১ তে বন্ধ হয়ে যায় নাসার স্পেস শাটল প্রোগ্রাম। এরপর নাসা তাদের মহাকাশ অভিযানের জন্য অন্যদেশের সহায়তা নেয়া শুরু করে।
পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা আইএসএসের গবেষণাগারে একজন নভোচারী আনা-নেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে রাশিয়াকে ৮২ মিলিয়ন ডলার দেয়।
Posted ১২:২৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ মার্চ ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta