হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী(১ আগষ্ট) :: রামুর বাঁকখালী নদীর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের নাপিতেরচরস্থ পয়েন্টে গোসল করতে গিয়ে-নিখোঁজ হওয়া দুই ছাত্রীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে মঙ্গলবার (১ আগষ্ট) রাত আটটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের উদ্ধারে, আলো জ্বালিয়ে তৎপরতা পরিচালনা করছে ডুবুরি দল।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৩টায় নাপিতেরচর গ্রামের জহির আলমের মেয়ে রোজিনা আক্তার (১০) ও গর্জনিয়া ইউনিয়নের মিয়াজিরপাড়া এলাকার আবদুল আজিজের মেয়ে শারমিন আক্তার (৯) নিখোঁজ হন। রোজিনা ফাক্রিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণি এবং শারমিন নাপিতেরচর কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
এদিকে নিখোঁজ হওয়া দুই ছাত্রীর বাবা-মাকে সান্তনা দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান-রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি উদ্ধার তৎপরতা তদারকি করেন। এসময় গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) কাজি আরিফ উদ্দিন’সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। নদীর দুপাড়ে ছিলো হাজারো উৎসুক নারী-পুরুষের ঢল।
নাপিতেরচর কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনার পর থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের আন্তরিক প্রচেষ্টায়- দুই শিশুর সন্ধানে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের সাত থেকে আটজন সদস্য এবং চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি থেকে আসা চার ডুবুরি তৎপরতা চালাচ্ছেন।
ডুবুরি দলের অধিনায়ক জমির উদ্দিন বলেন, নদীতে অনেক ¯্রােত রয়েছে। যে স্থানে শিশু দুটি নিখোঁজ হয়েছে-তা অনেক গভীর। এ জন্য তাদের খুঁজে পেতে একটু কষ্ট হচ্ছে। নিখোঁজ দুজনের সন্ধান বের করতে-দেশ সেরা ডুবুরি সাইফুলকে আনা হয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলমের চেষ্টায়। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
Posted ১২:০২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০২ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta