কক্সবাংলা ডটকম(৫ ডিসেম্বর) :: মিয়ানমার মঙ্গলবার জাতিসংঘকে জানিয়েছে, দুই মাসের মধ্যে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় ফেরত নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের শর্তগুলো চূড়ান্ত করতে কাজ করছে তার দেশ।
রয়টার্স অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নির্যাতন-নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় সাড়ে ৬ লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসান প্রক্রিয়া নির্ধারণ করার জন্য ২ অক্টোবর মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফরের সময় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সম্মত হয় দুই দেশ।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হতিন লিন মঙ্গলবার জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের এক বিশেষ সভায় বলেন, উদ্বাস্তুদের নিরাপদে, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে তার সরকার প্রস্তুত। উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা শব্দ উচ্চারণ না করে তাদের উদ্বাস্তু হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘কোনো আশ্রয়শিবির থাকবে না।’ অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা হবে, আশ্রয়শিবিরে রাখা হবে না।
নভেম্বর মাসের মধ্যেই জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করার কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি। মঙ্গলবার মিয়ানমার জানালো, গ্রুপ গঠনের শর্তগুলো চূড়ান্ত করার কাজ এখনো চলছে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর মিয়ানমার সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সময়ও বলা হয়েছিল, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ দুই মাসের মধ্যে শুরু হবে।
Posted ৯:০২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta