কক্সবাংলা রিপোর্ট(১১ মার্চ) :: বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের খাবার ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দিতে এই বছর প্রায় একশ কোটি ডলার দরকার হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
রবিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত সংস্থাটির আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপো জানিয়েছেন, জেনেভায় সংবাদ সম্মেলন করে দাতাগোষ্ঠীর কাছে এই সাহায্য চাওয়া হবে। আর এই অর্থের এক চতুর্থাংশ ব্যয় করা হবে কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।হত্যা-ধর্ষণ,অগ্নিসংযোগ সহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে সহিংসতার কারণে বাংলাদেশ পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা আরও কয়েক লাখ।
এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা। গত বছরের অক্টোবরে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার প্রয়োজন হবে। সে সময় তারা ৩৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাওয়ার প্রতিশ্রুতিও পেয়েছিল।
মিয়া সেপো বলেন, বিশাল এই সংকট মোকাবিলায় ৯৫ কোটি ডলার খুবই যুক্তিসঙ্গত। এই সপ্তাহে জেনেভায় সংবাদ সম্মেলন করে দাতাগোষ্ঠীর কাছে এই সাহায্যের আবেদন জানানো হবে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নতুন ও বাড়তে থাকা একটি সমস্যা। এখানকার চাহিদা বিশাল। এই মানুষগুলো কিছুই নিয়ে আসেনি। আশা করি তাদের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
মিয়া সোপে আরও বলেন, সামনে বর্ষা মৌসুম আসতে থাকায় রোহিঙ্গারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বন্যা ও ভূমিধস থেকে বাঁচাতে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে মৌসুম শুরুর আগেই অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে।
জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রস্তাবিত ৯৫ কোটি ডলারের এক চতুর্থাংশ কক্সবাজারের বাংলাদেশিদের জন্য ব্যয় করা হবে। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় তারাও মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছেন। সেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি কাজ আর সম্পদের জন্য প্রতিযোগিতাও বেড়েছে।
Posted ১:৪৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১২ মার্চ ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta