সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের যত জটিল সমীকরণ

বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০১৯
217 ভিউ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের যত জটিল সমীকরণ

কক্সবাংলা ডটকম(২৯ আগস্ট) :: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তারিখ নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে দৃশ্যমানভাবে সামনে ছিল জাতিসংঘ। বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ সচিব আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিলেন, নেপথ্যে থেকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে চীন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলার আগেও তা অজানা ছিল না। জাতিসংঘ ও চীনের কর্তাব্যক্তিরা কক্সবাজারে পৌঁছেছিলেন আগেই।

যে বাসে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ঘুমধুম সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হবে, তা প্রস্তুত ছিল। প্রস্তুত ছিল নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলো না। সত্যি শুরু হওয়ার কথা ছিল? রোহিঙ্গারা যে স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে চাইবে না, তা কী কারো অজানা ছিল? রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোটা উদ্দেশ্য ছিল, না প্রত্যাবাসনের একটি নাটক মঞ্চস্থ করা মুখ্য ছিল? প্রমাণ করা কী জরুরি ছিল যে, চীন মিয়ানমারকে চাপ দিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি করিয়েছিল, কিন্তু রোহিঙ্গারা যেতে না চাওয়ায়, তা সম্ভব হলো না? এমন একটি প্রসঙ্গের অবতারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার কী তা জানত না?

গত ২২ আগস্টের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু কথ

১. মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় বন্ধু চীন। ঘটনাক্রম বিশ্লেষণ করলে একথা বুঝতে সমস্যা হয় না যে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সঙ্কট থেকে সেদিনই পরিত্রাণ পাবে, যদি কোনোদিন চীন আন্তরিকভাবে চায়। চীন চাইলে, রাশিয়াও চাইবে। জাপান বা ভারতের অবস্থান প্রভাব ফেলতে পারবে না। একটি বিষয় খুব পরিষ্কার হলেও, আমরা কেন যেন তা বুঝতে চাইছি না। সেটা হলো চীন সব সময় বাংলাদেশকে বলছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে চীন রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের নীতিকে সমর্থনের কথা বলেছে। গোপনে নয়, প্রকাশ্যে। ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া চলছিল কক্সবাজারে। সেদিনই মিয়ানমারে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মিয়ানমার সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের নীতিকে সমর্থন করেছেন। মিয়ানমারের নীতি কী? মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের গণহত্যা চালিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। রাখাইনসহ রোহিঙ্গাদের বসবাস অঞ্চলের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। সেখানে চীন বাণিজ্য আধিপত্য বিস্তারের জন্যে অবকাঠামো নির্মাণ করছে।

এখন রোহিঙ্গারা ফিরে কোথায় যাবেন? যুক্তি আসতে পারে, তা দেখার দায়িত্ব বাংলাদেশের নয়। কিন্তু এমন যুক্তি দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ যে, জোর করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে না। ফলে রোহিঙ্গারা কোথায় ফিরবেন, তা দেখার দায়িত্ব বাংলাদেশ নিজেই কাঁধে নিয়ে নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের ঘর নেই, জমি সেনা ও চীনের দখলে। নেই নাগরিকত্ব। এই অবস্থায় রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় বলবেন যে, আমরা রাখাইনে ফিরে যাব? আমরা মানে বাংলাদেশ এমন কিছু বিশ্বাস করেছিল?

২. জাতিসংঘ, চীন প্রত্যাবাসনের তারিখ ঠিক করার আগে মিয়ানমারকে বলেনি যে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ঘর তৈরি করে দিতে হবে, দখলকৃত জমি ফিরিয়ে দিতে হবে। কফি আনান কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী দিতে হবে নাগরিকত্বের অধিকার। জাতিগত নিধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যাদের বিতাড়িত করা হলো, কোনো রকম নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে তাদের ফেরানোর তারিখ নির্ধারণ করা হলো। চীন বলছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্যে তারা ঘর তৈরি করেছে, ভারতও একই কথা বলছে। জেলখানার মত কিছু খুপরি ছাড়া, বসবাসের উপযোগী কোনো ঘরবাড়ির ছবি কোনো গণমাধ্যমে দেখা যায়নি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বা রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের তা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়নি। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে তাদের হারানো ঘর-জমি ফিরে পাবেন-কোথায় থাকবেন, জাতিসংঘ-চীন বা বাংলাদেশকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়নি।

৩. দীর্ঘ বছর ধরে মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের ক্ষমতার উৎস চীন। চীনই বিশ্ব মতামত উপেক্ষা করে তাদের টিকিয়ে রেখেছে। মিয়ানমার একচ্ছত্রভাবে চীনের নিয়ন্ত্রণে। সামরিক বিবেচনায় চীনের জন্যে মিয়ানমারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। অর্থনৈতিক কারণেও জরুরি। শাসকদের মত মিয়ানমারের বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদও চীনের নিয়ন্ত্রণে। চীন কী পরিমাণ অর্থ মিয়ানমারে বিনিয়োগ করেছে, তার সঠিক তথ্য জানা যায় না। বলা হয় ১৮ বিলিয়ন ডলারের কথা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা পরিমাণ আরও অনেক বেশি।

বিশ্ব গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, জাপান কমপক্ষে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে মিয়ানমারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন জাপান সফর করছিলেন, সেই সময় মিয়ানমারে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপান মিয়ানমারের অবস্থান সমর্থন করে।” অথচ সরকারের মন্ত্রীরা বারবার বলছেন, জাপান রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে আছে!

রাশিয়া মিয়ানমারের অস্ত্রের বাজার দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। নজর আছে খনিজসম্পদের দিকেও। ইতিমধ্যে রাশিয়ার তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘গ্যাসপম’ মিয়ানমারে অফিস খুলেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করছে মিয়ানমার। সামরিক ও অর্থনৈতিক কারণে ভারতের অবস্থানও মিয়ানমারের পক্ষে।

সবাই তার নিজের স্বার্থে, মিয়ানমারকে রক্ষা করতে চাইছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেওয়ার মিয়ানমারের যে নীতি, সেই নীতি পরিবর্তনে চীনসহ কেউই চেষ্টা করছে না। চীনের মিত্র রাশিয়াও ‘মিয়ানমার-চীন’ নীতির সঙ্গে আছে। এতদিন জাপান চুপ ছিল। এখন কিছুটা সরব হয়েছে। চীন-জাপান-রাশিয়ার অভিন্ন নীতি- আন্তর্জাতিকভাবে নয়, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করে সমাধান করুক। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘ বা আইসিসিতে যাক, তা চায় না চীন-জাপান-রাশিয়া।

৪. জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিশ্ব যখন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সোচ্চার ছিল, তখন চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারের সঙ্গে এক অসম ‘সম্মতিপত্র’ স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। যার ফলে আন্তর্জাতিক চাপের প্রথম ধাক্কা থেকে রক্ষা পেয়েছে মিয়ানমার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাওয়ার আগে বলা হচ্ছিল, আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে রোহিঙ্গা ইস্যু। চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি আলোচনা করেছেন। চীন এবং বাংলাদেশ উভয় পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, চীন রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে শুরু থেকে যেভাবে সহায়তা করছে, তা অব্যাহত রাখবে।

‘শুরু থেকে’ চীন কীভাবে সহায়তা করছে?

কিছু ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের জন্যে।

আর কী সহায়তা করেছে?

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দুইবার দুটি প্রস্তাব এনেছিল। চীন ও রাশিয়া ভেটো দিয়ে তা বাতিল করে দিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদ আরেকবার শুধু আলোচনা করেছে। চীনের বিরোধিতায় প্রস্তাব আনতে পারেনি। বহুপাক্ষিক সমাধানের পথ থেকে বাংলাদেশকে অনেকটাই সরিয়ে এনেছে চীন। রোহিঙ্গা এসেছে ৭ থেকে ১০ লাখ। পূর্বের আছে ৫ থেকে ৬ লাখ। মিয়ানমারকে ২২ হাজারের তালিকা দেওয়া হয়েছিল, মিয়ানমার ফেরত নিতে রাজি হয়েছিল সাড়ে ৩ হাজার! লোক মিয়ানমারের, দেশে ফেরত নিয়ে তালিকা-যাচাই-বাছাই-নাগরিকত্ব-যা করার করবে, একথা বাংলাদেশসহ কেউ বলছে না।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন খেলায় মিয়ানমারের পক্ষে চীন মূল খেলোয়াড়। রাশিয়া স্ট্যান্ডবাই, ডাক পড়লেই মাঠে এসে চীনের শক্তি বৃদ্ধি করবে। দ্বিতীয় বিভাগের দল জাপান-ভারত, প্রথম বিভাগে ওঠার প্রতিযোগিতায় আছে। খেলার মাঠ বাংলাদেশ। রোহিঙ্গারা ফুটবল। জাতিসংঘ-আমেরিকা-ইউরোপ রেফারি হতে চেয়েছিল। চীন তাদের মাঠের কাছাকাছিও আসতে দেয়নি। দূর থেকে বিরক্ত ও বিরক্তিকর দর্শক হয়ে তারা চীনের খেলা দেখছেন।

মূল খেলোয়াড় চীন এটা প্রমাণ করতে সক্ষম হলো যে, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চায়, কিন্তু রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে চায় না। বর্তমান পৃথিবীতে ‘চায়না ফাঁদ’ বলে একটি কথা প্রচলিত আছে। পাশের শ্রীলঙ্কাসহ আফ্রিকার বহু দেশ চীন থেকে ঋণ নিয়ে ‘ফাঁদে’ আটকা পড়েছে। বাংলাদেশেও চীনের ঋণ আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কার করে বলেছেন, বাংলাদেশ চীনের ‘ঋণ ফাঁদে’ আটকা পড়েনি, পড়বেও না। কিন্তু চীনের ঋণের ফাঁদে আটকা না পড়লেও, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে ‘চায়না ফাঁদে’ আটকে গেছে।

৫. রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল মোমেন বেশ ক্ষুদ্ধ। বলেছেন, রোহিঙ্গারা বেশিদিন আরামে থাকতে পারবে না। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ার জন্যে অভিযুক্ত করছেন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে। বলেছেন, যারা রোহিঙ্গাদের ফিরে না যাওয়ার জন্যে উৎসাহিত করেছে, প্রত্যাবাসন নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রত্যাবাসন বিরোধী পোস্টার লাগিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কয়েকটি প্রশ্ন:

ক. প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর মাত্র দুইদিন আগে ইউএনএইচসিআরকে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নিতে বলা হলো কেন? প্রত্যাবাসন তারিখ ঠিক করার আগে কেন রোহিঙ্গাদের মতামত জানা হলো না?

খ. সাক্ষাৎকারে ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের কাছে প্রশ্ন ছিল, তারা স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে চায় কী না? উত্তর হ্যাঁ হলে, ২২ আগস্ট না তার পরে ফিরতে চায়? প্রশ্ন দুটি তো সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হয়েছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কী আশা করেছিলেন রোহিঙ্গারা ‘হ্যাঁ’ বলবেন এবং ২২ আগস্টেই ফিরে যেতে রাজি হবেন?

গ. রোহিঙ্গাদের কারা ফিরে যেতে নিরুৎসাহিত করল, পোস্টার কারা লাগাল? সরকার বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা কখন জানলেন? যখন নিরুৎসাহিত করা হচ্ছিল, পোস্টার লাগানো হচ্ছিল, তখনই ব্যবস্থা নিলেন না কেন? প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ার পর কেন এসব কথা বলছেন?

সরকারের বহু সংস্থার লোকজন আছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে। তাদের অগোচরে প্রচারণা চালানো বা পোস্টার লাগাতে পারার কথা নয়। কেউ ধরা পড়ল না কেন?

ঘ. আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চায় না, ধরে নিলাম সরকারের এই অভিযোগ আংশিক বা সম্পূর্ণ সত্যি। এখন যদি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আন্তরিকভাবে চায় রোহিঙ্গারা ফেরত যাক, তাহলে প্রত্যাবাসন শুরু হবে? মিয়ানমার ও চীনের বর্তমান ভূমিকা অক্ষুণ্ণ থাকলে, রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে রাজি হবেন?

ঙ. পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সচিব সবাই বলেন চীন-রাশিয়া বাংলাদেশের বন্ধু। তো বন্ধুরা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব, ভেটো দিয়ে বাতিল করে দেয় কেন? বন্ধু ভারত কেন বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে? শ্রীলঙ্কা, নেপালও কেন বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দেয় না?

চ.  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকার কৌশলগত অবস্থান নিয়েছে। প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ার বিষয়টি যদি সরকারের কৌশল হয়, তাহলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাদের দায়ী করছেন?

ছ. রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে, এটাই তো বাংলাদেশের অবস্থান। তাহলে ভাসানচরে আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ করে রোহিঙ্গাদের জন্যে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করা হলো কেন?

৬. আঞ্চলিক শক্তির সমর্থন অক্ষুণ্ণ রেখে, দেশীয় রাজনীতিতে ভাবমূর্তি ঠিক রাখার জটিল সমীকরণ মেলাতে গিয়ে বাংলাদেশ সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারছে কী না, প্রশ্ন উঠছে বারবার। আশ্রয় দিয়ে ‘প্রশংসা’ ছাড়া সঙ্কট থেকে উত্তরণের দিক নির্দেশনার দেখা মিলছে না।

লেখক : গোলাম মোর্তোজা s.mortoza@gmail.com

 

 

217 ভিউ

Posted ১০:৫৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০১৯

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com