কক্সবাংলা ডটকম(৬ ফেব্রুয়ারী) :: রোহিঙ্গা সংকটের মূল মিয়ানমারে এবং এর সমাধান সেখানেই খুঁজে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে সংকটের দ্রুত সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে সুইজারল্যান্ডসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার নিজ কার্যালয়ে ঢাকা সফররত সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বেয়ারসেটের সাথে বৈঠকের পর দেয়া যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ আমাদের ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক আলাপের সময় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি জানিয়েছি যে রোহিঙ্গা সংকটের মূল রয়েছে মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও সেখানে খুঁজতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি কফি আনান কমিশনের পরামর্শগুলো তাৎক্ষণিকভাবে পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছি। কারণ রোহিঙ্গা জনগণের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও সম্মানের সাথে স্থায়ীভাবে ফিরে যাওয়া জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব নির্মাণে ‘২০৩০ এজেন্ডা’ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘২০৩০ এজেন্ডা’ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা তৈরির জন্য সমঝোতা স্মারক সই করতে দুই দেশ একমত হয়েছে।
বাংলাদেশে সরকারিভাবে প্রথম ঐতিহাসিক সফরে আসায় অ্যালেন বেয়ারসেটকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দু’দেশের মধ্যকার ৪৫ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
২০০০ সালে তৎকালীন সুইস প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে নিজের সুইজারল্যান্ড সফরের কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ব্যাপক অর্থনৈতিক সাফল্য, অনুপম পররাষ্ট্র নীতি, বন্ধুত্ব ও নিরপেক্ষতার জন্য সুইজারল্যান্ড নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুগ্ধতা ছিল। তিনি সুইজারল্যান্ডকে রোল মডেল হিসেবে দেখতেন এবং বাংলাদেশকে ‘প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেয়া (১৯৭২ সালের ১৩ মার্চ) পশ্চিম ইউরোপীয় কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি ছিল সুইজারল্যান্ড। তখন থেকেই সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নের অংশীদার ও পরীক্ষিত বন্ধুতে পরিণত হয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সুইজারল্যান্ডের ভূমিকার প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা।
সুইস কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ব্যবসার সুযোগ খুঁজে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সাথে তিনি কোম্পানিগুলোকে তেল ও গ্যাস উত্তোলন, নবায়নযোগ্য শক্তিসহ জ্বালানি শক্তি, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও বীমা এবং ওষুধ শিল্পে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আমন্ত্রণ জানান।
Posted ২:১৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta