বুধবার ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

বুধবার ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

শেখ হাসিনাকেই বাংলাদেশের শাসক হিসেবে দেখতে চাইছে আন্তর্জাতিক মহল

শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮
279 ভিউ
শেখ হাসিনাকেই বাংলাদেশের শাসক হিসেবে দেখতে চাইছে আন্তর্জাতিক মহল

কক্সবাংলা ডটকম(২৮ সেপ্টেম্বর) :: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই দেশটির ভবিষ্যৎ শাসক হিসেবে দেখতে চাইছে আন্তর্জাতিক মহল৷ রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন হাসিনা৷

সেখানে একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান জানিয়েছেন, আগামী সময়ে সরকারে গড়বেন বঙ্গবন্ধু কন্যা৷

বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মহম্মদ শহিদুল হক বলেছেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার জন্য আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জয়ী হয়ে আবারও সরকার গঠন করবেন বলে আশা করছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা।

রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে তাঁরা পৃথকভাবে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এমন বার্তা দেন৷

শহিদুল হক বলেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, রোহিঙ্গা ইস্যু ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার কথা বিবেচনা করে, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা সবাই আশা প্রকাশ করেছেন যে তাঁর সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে এবং তিনি বাংলাদেশের নেতৃত্বে থাকবেন। অর্থনৈতিক ও উন্নয়নের অগ্রগতিও বজায় থাকবে।

বুধবার রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে শেখ হাসিনার সঙ্গে এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্স্টি কালজুলাইদ, রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী সংস্থার (UNHCR) হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েত্তা ফোর বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব বৈঠক করেন৷

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে চোখ রাখছেন কূটনীতিকরা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের রাজনীতির দিকে চোখ রাখছেন কূটনীতিকরা। নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দলটি তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো কতটুকু বাস্তবায়ন করে, তার দিকে নজর রাখছেন তারা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিও বিশ্লেষণ করছেন পশ্চিমা কূটনীতিকরা।

ঢাকায় বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশন সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন কূটনীতিকরা। বিশেষ করে পশ্চিমা কূটনীতিকরা নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগের প্রতিটি পদক্ষেপের দিকে চোখ রাখছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন দেখতে চাইছে। আর এজন্য আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের বিষয়টিতে নিশ্চয়তা খুঁজছেন কূটনীতিকরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পশ্চিমা এক কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশে মূলত অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় বিদেশীরা, যেখানে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। এর মাধ্যমে দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা ফিরে আসবে। এক্ষেত্রে কূটনীতিকরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি বেশি পর্যবেক্ষণ করছেন। কারণ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী ও দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে বেশ স্পষ্ট করেই বলেছিলেন, ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন বাংলাদেশে আর হবে না। তার এমন প্রতিশ্রুতির ওপর ভরসা রাখতে চান কূটনীতিকরা।

তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আশঙ্কার জায়গা তৈরি হয়েছে বলেও জানান এ কূটনীতিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের আগে সহিংসতা লক্ষ্য করা গেছে। একাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে এখনো কোনো ধরনের সহিংসতা হয়নি, যা খুবই ইতিবাচক। তবে রাজনৈতিকভাবে বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী দল আওয়ামী লীগ যদি বিরোধী দলগুলোকে ন্যূনতম রাজনৈতিক পরিবেশ প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে।

এদিকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার পিছপা হবে না বলে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। একই অনুষ্ঠানে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য জরুরি বলে মন্তব্য করেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট। আর ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেক বলেন, বাংলাদেশে সহনশীল রাজনৈতিক অনুশীলন ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ চান তারা।

সূত্র জানায়, সব দলের অংশগ্রহণে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন চান কূটনীতিক ও অংশীদাররা। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কিংবা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন দেখতে চান না তারা।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্য দেশগুলো ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এখনো তাদের সেই অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। এ অবস্থায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে ইসিকেই শক্তিশালী ভূমিকায় দেখতে চায় তারা।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কূটনীতিক বলেন, একটি দেশের সুনাম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অন্য বিষয়গুলোর পাশাপাশি অবাধ এবং স্বচ্ছ জাতীয় নির্বাচনের ওপর নির্ভর করে। অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করার প্রথম পদক্ষেপ হলো, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও সব দলের অংশগ্রহণ। যদি তা নিশ্চিত করা না যায়, তবে আগের মতো সহিংসতা বাংলাদেশে জেঁকে বসবে। আবারো এ সহিংসতা শুরু হলে তা এদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা হতে হবে স্বাধীন। সেই সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক চাপ মোকাবেলা করার ক্ষমতা এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকা প্রয়োজন।

279 ভিউ

Posted ৩:০৪ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com