কক্সবংলা ডটকম(১৮ জানুয়ারি) :: সাময়িক সময়ের কথা বলে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দরের ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দেরিতে হলেও শেয়ারবাজারের সেই বহুল প্রত্যাশিত ফ্লোর প্রাইস (নিম্নসীমা) অবশেষে তুলে নিলো বিএসইসি ।
তবে বড় মূলধনের ৩৫ কোম্পানিতে ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকবে। এর ফলে বর্তমানে তালিকাভুক্ত ৩৫৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩২০টি কোম্পানির শেয়ারের মূল্য স্বাভাবিকভাবে উঠা নামা করতে কোনো বাধা থাকলো না।
বৃহস্পতিবার জারি করা আদেশে সংস্থাটি বলেছে, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত শুধু ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের ক্ষেত্রে আগের আদেশ বহাল থাকবে। বাকি সব শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে নিয়মিত সার্কিট ব্রেকার, অর্থাৎ আগের দিনের বাজারদরের ভিত্তিতে পৌনে ৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত দর ওঠানামার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ সীমা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
রোববার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এদিকে শেয়ারের দরে ফ্লোর প্রাইস (লেনদেনে সর্বনিম্ন মূল্যসীমা) তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পুঁজিবাজার স্টক ব্রোকারদের একমাত্র সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার ব্যাপারে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশন আশা করছে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বাজারে গতি ফিরবে।
প্রসঙ্গত, ফ্লোর প্রাইস হলো শেয়ারের দাম কমার নিম্নসীমা। করোনার সময় অস্থিরতা ঠেকাতে নতুন নিয়ম চালু করে বিএসইসি। এক্ষেত্রে কোনো শেয়ারের দামের ভিত্তি হবে আগের ৫ দিনের সর্বশেষ লেনদেনের (ক্লোজিং প্রাইস) গড় দর।
কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারবে না। কিন্তু দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রথমবার ২০২০ সালে মার্চে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করলেও ২০২১ সালের জুলাইয়ে তুলে নেওয়া হয়।
তবে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দরপতন ঠেকাতে গত বছরের ২৮ জুলাই পুঁজিবাজারে দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস দেয় বিএসইসি। এখনও সেটি বহাল আছে। এর ফলে বিশাল সংখ্যক কোম্পানি বিপদে রয়েছে। যারা ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন, তারা সবচেয়ে বেশি বিপদে।
এরপর শেয়ার লেনদেন ব্যাপক কমে গেলে সমালোচনায় পড়ে নিয়ন্ত্রকসংস্থা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ বিষয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে নিয়ন্ত্রকসংস্থা। এ অবস্থায় শনিবার থেকে এসব কোম্পানির শেয়ারের উপর ফ্লোরপ্রাইস থাকবে না। তবে বড় ধরনের পতনের আশঙ্কা বিবেচনা করে কমিশন ৩৫ প্রতিষ্ঠান বাদে বাকিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়েছে।
ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে। অর্থাৎ একদিনে ওই সব কোম্পানির শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ বাড়তে কিংবা কমতে পারবে। আর ৩৫ কোম্পানির ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত আসবে।
ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকা ৩৫ কোম্পানিগুলো হলো-
আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বারাকা পাওয়ার, বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বেক্সিমকো লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ডিবিএইচ, ডোরিন পাওয়ার, এনভয় টেক্সটাইল, গ্রামীণফোন, এইচআর টেক্সটাইল, আইডিএলসি, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, ইসলামী ব্যাংক, কেডিএস লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল), কাট্টালি টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল পলিমার, ওরিয়ন ফার্মা, পদ্মা অয়েল, রেনাটা, রবি, সাইহাম কটন, শাশা ডেনিমস, সোনালী পেপার, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, শাইনপুকুর সিরামিকস, শাহজিবাজার পাওয়ার, সামিট পাওয়ার ও ইউনাইটেড পাওয়ার।
উল্লেখিত ৩৫ কোম্পানির মধ্যে ন্যাশনাল পলিমার ছাড়া বাকি ৩৪টি বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষেও ফ্লোর প্রাইসে আটকে ছিল। শুধু ন্যাশনাল পলিমারের শেয়ার গতকালই ১ টাকা ১০ পয়সা বা ২ শতাংশ দর বেড়ে ৫২ টাকা ১০ পয়সায় কেনাবেচা হয়। ৩৫টি কোম্পানিতে ফ্লোর প্রাইস কেন রাখা হলো, তা নিয়ে বাজারে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
বিএসইসির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ডিএসইর ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, তারা আশা করছেন, আগামী এক বা দুই মাসের মধ্যে শেয়ারবাজার পুরোপুরি স্বাভাবিক ধারায় ফিরবে। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যাতে কোনোভাবেই ভীতি না ছড়ায়, তার জন্য সব ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন ডিবিএ সভাপতি।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির আছে ৩৫৫টি এবং তালিকাভুক্ত মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড ৩৭টি। এর মধ্যে ২১৮টি গতকাল দিনের লেনদেন শেষেও ফ্লোর প্রাইসে আটকে ছিল। ফ্লোর প্রাইসের ওপরে কেনাবেচা হওয়া বাকি ১৭৪ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৪টি ফ্লোর প্রাইসের থেকে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ এবং ২১টি ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে কেনাবেচা হয়েছে। বাকি ১১৯ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ফ্লোর প্রাইস থেকে ১০ শতাংশের ওপর কেনাবেচা হয়।
যে কারণে কিছু শেয়ারে ফ্লোর উঠল না:
যে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারদরের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হলো না, সেগুলো কীসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে– এমন প্রশ্নে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, কোম্পানি গুলোর ফ্রি-ফ্লোট শেয়ারের ভিত্তিতে বাজার মূল্যসূচকে অবদান, মার্জিনযোগ্য শেয়ারগুলোর মধ্যে বিক্রির চাপ বেশি, মূল্য-আয় অনুপাত বেশি– এমন বেশ কিছু দিক বিবেচনায় নিয়ে তালিকাটি করা হয়েছে।
বিএসইসির মুখপাত্র বলেন, এই মুহূর্তে এই ৩৫ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে নিলে যদি দরপতন হয়, তাহলে এগুলোর শেয়ারহোল্ডাররা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাছাড়া বাজার মূল্যসূচকে এসব শেয়ারের অবদান বেশি বিধায় দরপতন হলে সূচকে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে পারে। এমন পরিস্থিতি এড়াতে কিছু শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে এসব শেয়ারের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে বিএসইসি।
তবে পর্যালোচনায় দেখা গেছে, যে ৩৫ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়নি, কমিশন যে ভিত্তিতে এগুলোকে আলাদা করেছে বলে দাবি করেছে, তার সঙ্গে মিল নেই।
বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা শেয়ারের লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, লেনদেনের প্রথমার্ধে এসব শেয়ারের বিক্রেতাশূন্য অবস্থার বিপরীতে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪৫টি আদেশের বিপরীতে ১ হাজার ১১২ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রির আদেশ ছিল।
এর মধ্যে শুধু ফ্লোর প্রাইসেই শেয়ার বিক্রির আদেশ ছিল ১ হাজার ৫২ কোটি টাকার। এককভাবে ১ হাজার ৪৩৭ বিনিয়োগকারীর থেকে সর্বোচ্চ ১২৪ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রির আদেশ ছিল বেক্সিমকো লিমিটেডের।
বিএটির ৭০৮ বিনিয়োগকারীর থেকে পৌনে ২৮ কোটি টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৬৪২ বিনিয়োগকারীর ২৬ কোটি টাকার, ফরচুনের ৬১৪ বিনিয়োগকারীর ২৬ কোটি টাকার, সোনালী পেপারের ৪০০ বিনিয়োগকারীর ২৫ কোটি টাকার, গ্রামীণফোনের ৩২৯ বিনিয়োগকারীর সাড়ে ২৩ কোটি টাকার এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস কোম্পানির ২২১ বিনিয়োগকারীর প্রায় ২৩ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রির আদেশ ছিল।
যে ৩৫ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা হয়েছে, সূচকে তাদের অবদান ২৭ শতাংশ। এর মধ্যে শীর্ষ ১৫টির অবদান সাড়ে ২৩ শতাংশ। কাট্টলী টেক্সটাইল, ন্যাশনাল পলিমার, ইনডেক্স এগ্রোসহ বাকি ২০ শেয়ারের সূচকে অংশ মাত্র পৌনে ৪ শতাংশ।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত রোববারের শেয়ারদরের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০টি বাজার মূলধনি কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্রামীণফোন লিমিটেড, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটিবিসি), রবি আজিয়াটা লিমিটেড, রেনাটা লিমিটেড, ইনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ইউপিজিডিসিএল) ও বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেডের শেয়ারদর এক বছরের বেশি সময় ধরে ফ্লোর প্রাইসে রয়েছে।
শীর্ষ বাজার মূলধনি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এক বছরের মধ্যে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারদর মাঝে মধ্যে ফ্লোর প্রাইস থেকে ওপরে উঠে কিছু উঁকিঝুকি দেয়। তবে খুব দুর যেতে পারে না।
শীর্ষ বাজার মূলধনী কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৮ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা বাজার মূলধনের ভিত্তিতে শীর্ষে রয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোন। এক বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সায় স্থির রয়েছে।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের বাজার মূলধন ৩১ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। কোম্পানিটির শেয়ারদর এক বছরের বেশি সময় ধরে ১ হাজার ৪৭ টাকা ৭০ পয়সায় স্থির রয়েছে।
তামাক খাতের বহুজাতিক জায়ান্ট বিএটিবিসির বাজার মূলধন ২৮ হাজার ৯ কোটি টাকা। এক বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫১৮ টাকা ৭০ পয়সা।
টেলিযোগাযোগ খাতের বহুজাতিক কোম্পানি রবি আজিয়াটার বাজার মূলধন ১৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। এক বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩০ টাকা।
ওষুধ খাতের কোম্পানি রেনাটার বাজার মূলধন ১৩ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা। কোম্পানিটির শেয়ারদর এক বছরের বেশি সময় ধরে ১ হাজার ২১৭ টাকা ৯০ পয়সায় স্থির রয়েছে।
বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ারের বাজার মূলধন ১৩ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা। এক বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৩৩ টাকা ৭০ পয়সা।
বেক্সিমকো গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের বাজার মূলধন ১০ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। এক বছর ধরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১১৫ টাকা ৬০ পয়সায় স্থির রয়েছে।
এদিকে, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বাজার মূলধন ১৮ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২১৩ টাকা ৩০ থেকে ২০৯ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে যৎসামান্য ওঠানামা করেছে।
অন্যদিকে, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের বাজার মূলধন ৮ হাজার ৪৯ কোটি টাকা। এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ হাজার ৯০৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১ হাজার ৭১২ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
অপরদিকে, সিমেন্ট খাতের বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের বাজার মূলধন ৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৭২ টাকা থেকে ৬৪ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
কমিশন সভার সিদ্ধান্ত নয়
তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারদরে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সংস্থাটির কমিশন সভায় হয়নি। সংস্থার শীর্ষ ও ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, ফ্লোর প্রাইস আরোপের সময়ও কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনকি প্রত্যাহারের বিষয়ে কমিশন সভায় কোনো আলোচনা হয়নি।
কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিলেন। প্রত্যাহারও করেছেন তিনি। আইনে কমিশনের চেয়ারম্যানকে কিছু ক্ষমতা দেওয়া হলেও বিএসইসির প্রতিষ্ঠা ও কার্যক্রম-সংক্রান্ত ১৯৬৯ সালের অধ্যাদেশ এবং ১৯৯৩ সালের আইনে কমিশন সভা ছাড়া কোনো প্রকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয়নি।
Posted ১১:০১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta