কক্সবাংলা ডটকম(১৪ সেপ্টেম্বর) :: গ্রুপ পর্বে মালদ্বীপকে সহজে হারালেও ফাইনালে দলটিকে নিয়ে সতর্ক ভারতীয় কোচ স্টিফেন কনস্টেইনটাইন। প্রতিপক্ষ দলের প্রতি সমীহ দেখালেও শিরোপা জয়ে আশাবাদী এ ইংলিশ কোচ। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় সাফ ফুটবলে শিরোপার লড়াইয়ে নামছে দুই দল।
লড়াইয়ের আগে ‘এ’ গ্রুপে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ওই দেখায় মালদ্বীপকে ২-০ গোলে হারায় ভারত। পরবর্তীতে শ্রীলংকাকে একই ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হিসেবে সেমিফাইনালে আসে এ অঞ্চলের পরাশক্তিরা। সেমিতে পাকিস্তানকে ৩-১ গোলে হারায় ভারত।
অন্যদিকে ভারতের কাছে হারের পর গ্রুপ ম্যাচে শ্রীলংকার সঙ্গে ড্র করে মালদ্বীপ। শ্রীলংকা ও মালদ্বীপের পয়েন্ট, মুখোমুখি লড়াই ও গোলগড় সমান ছিল। শেষ পর্যন্ত টস জিতে সেমিফাইনালে আসে দ্বীপ দেশটি। সেমিতে নেপালকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে মালদ্বীপ।
নেপালের বিপক্ষে দেশটির উজ্জীবিত নৈপুণ্যের কারণে মালদ্বীপের প্রতি সমীহ কনস্টেইনটাইনের কণ্ঠে, ‘নেপালের বিপক্ষে মালদ্বীপের নৈপুণ্যকে শ্রদ্ধা না করাটা হবে বড় ভুল। ম্যাচে দলটি ছিল দুর্দান্ত। চাপের মুখে তারা নেপালকে হারিয়েছে। পাল্টা আক্রমণ থেকে প্রথম গোল, পরে আরো দুই গোল করে প্রতিপক্ষকে ছিটকে দেয় মালদ্বীপ।’
সাফ ফাইনালে এটি হতে যাচ্ছে ভারত-মালদ্বীপের চতুর্থ মোকাবেলা। আগের তিন সাক্ষাতে দুবার জিতেছে ভারত। ২০০৮ সালে ভারতকে হারিয়ে একমাত্র শিরোপা জিতেছে দ্বীপ দেশটি। ২০০৯ সালে সাফ ফাইনালে দুই দেশের সর্বশেষ মোকাবেলায় নির্ধারিত সময় ছিল গোলশূন্য। পরবর্তীতে শুটআউটে মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে হারায় ভারত।
প্রতিযোগিতার দ্বাদশ সংস্করণে এটি ভারতের একাদশ ফাইনাল। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের একমাত্র শিরোপা জয়ের আসরেই ফাইনাল খেলা হয়নি দেশটির। আগের ১০ ফাইনালের সাতটি জিতেছে ভারত। তিনটি হার যথাক্রমে শ্রীলংকা, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
ফাইনালের আগে অতীত হিসাব তো নয়ই, এবারের আসরের গ্রুপ পর্বের জয়ও মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলছেন কনস্টেইনটাইন, ‘আমরা তাদের গ্রুপ ম্যাচে হারিয়েছি। কিন্তু এটা ফাইনাল। এখানে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। তারা কঠোর পরিশ্রম করছে, আমরাও পরিশ্রম করছি। আশা করছি, ম্যাচে আমরাই জিতব।’
ফাইনালের আগে সেমিতে নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে উজ্জীবিত মালদ্বীপ কোচ পিটার সেগাট বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দলে সমন্বয়টা দুর্দান্ত। এ নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আগের ম্যাচের নৈপুণ্য ছিল অবিশ্বাস্য। নয় বছর পর আমরা ফাইনালে এসেছি। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। কিন্তু এখানে ১১ জনের বিপক্ষে ১১ জনের লড়াই। তাই দুই দলের সামনেই সমান সুযোগ রয়েছে। আমরা সে সুযোগ নিতে চাই।’
এটি মালদ্বীপের পঞ্চম ফাইনাল। আগের চার প্রচেষ্টায় ২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় দেশটি। বাকি তিন আসরে দুবার ভারতের কাছে হারতে হয়েছে। ২০০৩ সালে তাদের হারিয়েই একমাত্র ট্রফি জয় করে বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের পর সবচেয়ে সফল দল মালদ্বীপ।
নয় বছর পর ফাইনালে এসে সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না মালদ্বীপ অধিনায়ক একরাম আবদুল ঘানি, ‘নয় বছরের মধ্যে এটা আমাদের সেরা সুযোগ। গ্রুপ পর্বে আমাদের সংগ্রাম করতে হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফাইনালে উঠে এসেছি। দেশের জন্য, জনগণের জন্য লড়াই করব।’
Posted ৪:১৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta