কক্সবাংলা ডটকম(২৫ জুলাই) :: খাবারকে শুধু পথ্য ভাবার দিন শেষ। চিকিত্সা বিজ্ঞান এখন ওষুধ হিসেবে খাবারের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে, যার ধারাবাহিকতায় উঠে আসছে নানা চমকপ্রদ তথ্য। সে রকমই এক তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসভিত্তিক ব্রিগহ্যাম অ্যান্ড উইমেন হসপিটাল ও হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের বিশেষজ্ঞদের পরিচালিত এক যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসে (গেঁটেবাত) আক্রান্তদের শরীরে এ রোগসৃষ্ট প্রদাহ কমিয়ে আনে মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক খাবার। খবর হেলথ নিউজ।
যারা রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা গেঁটেবাতে ভুগছেন, তারাই জানেন এর ফলে কতটা যন্ত্রণা পোহাতে হয়। এতে আক্রান্ত রোগীদের শরীরের গিঁটে গিঁটে প্রচণ্ড ব্যথা হয় ও ফুলে যায়। বিকৃত অথবা অবশ হয়ে পড়তে পারে দেহের আক্রান্ত অংশ। সাধারণত আঙুল, কবজি, পা ও গোড়ালিতে এ রোগের আক্রমণ হয় বেশি।
রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস বাতের একটি অটোইমিউন রূপ (শরীরে স্বাভাবিকভাবে অবস্থিত পদার্থগুলোর বিপরীত অ্যান্টিবডি বা শ্বেতকণিকা তৈরি হওয়ার ফলে সৃষ্ট রোগ), যার লক্ষণ প্রকাশ পায় যন্ত্রণাদায়ক প্রদাহের মধ্য দিয়ে। এ কারণে গেঁটেবাতে আক্রান্তদের শরীরের প্রদাহ কমানোকেই রোগটির কুপ্রভাব হ্রাসের উপায় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আলোচ্য গবেষণায় উঠে আসা ফল প্রকাশ হয়েছে আর্থ্রাইটিস কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ মেডিকেল জার্নালে। গবেষণাটির উদ্দেশ্যই ছিল মত্স্যভোজনে রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তদের কোনো উপকার হয় কিনা, তা চিহ্নিত করা।
গবেষণাটির বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অন্যতম ব্রিগহ্যাম অ্যান্ড উইমেন হসপিটালের বিশেষজ্ঞ ডা. সারাহ তেদেশি বলেন, ‘যদি আমাদের গবেষণায় উঠে আসা ফল অন্যান্য পর্যবেক্ষণে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়, তাহলে দেখা যাবে, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসসৃষ্ট প্রদাহ কমিয়ে আনতে পারে মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক খাবার। বিশেষ করে মত্স্যভোজনের নানা স্বাস্থ্যগুণ এরই মধ্যে প্রমাণিত। রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তদের মত্স্যভোজনের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য উত্সাহব্যঞ্জক হয়ে উঠতে পারে আমাদের গবেষণার ফল।
ডা. সারাহ তেদেশি ও তার সহকর্মীরা রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত ১৭৬ জন রোগীর ওপর পর্যবেক্ষণ চালানোর ভিত্তিতে এ গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
Posted ২:৫৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta