কক্সবাংলা রিপোর্ট(২৮ সেপ্টেম্বর) :: ভারতে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে অবস্থানরত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টে বিচারাধীন মামলার রায় আবারও পেছালো।
শিলংয়ের একটি আদালতে শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে।
আগামী ১৫ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত।
এভাবে বারবার রায় পিছিয়ে যাওয়ায় সালাউদ্দিন আহমেদ যথারীতি হতাশ হয়ে পড়েছেন। শুক্রবার বিকালে রায়ের ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি জানালেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু এটাই সত্যি যে রায় ঘোষণা আবারও পেছালো।’
কিছু দিন আগে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার চোখে এই কেসটা খুব সহজ। সমুদ্রে ঝড়ে পড়লে কোনও জাহাজ যদি দিকভ্রষ্ট হয়ে অন্য দেশের জলসীমার ভেতর ঢুকে পড়ে, তাহলে কি তাদের বেআইনি অনুপ্রবেশের জন্য দোষী করা যায়? আমার ভারতে ঢুকে পড়ার বিষয়টাও অনেকটা সে রকমই মনে করি।’
ফরেনার্স অ্যাক্টের যে ধারায় সালাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে, তাতে তার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ভারতে ঢোকার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় তার আইনজীবীরাও এই যুক্তিই দিয়েছেন—মি. আহমেদ নিজের ইচ্ছায় ভারতে ঢোকেননি।
এই ধরনের একটি মামলায় কেন প্রায় সাড়ে তিন বছর সময় লাগার পরও রায় আসছে না, তাতে আইনজীবীরাও অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করছেন। তাদের অনেকের মতে, এত সময় লাগাটা ‘বেশ অস্বাভাবিক’।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের মার্চে ঢাকার উত্তরা থেকে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দুই মাস পর, মে মাসে ভারতে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের একটি রাস্তায় তাকে উদভ্রান্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
তবে কে বা কারা তাকে ওখানে নিয়ে এসেছিল, বা কীভাবে তিনি ঢাকা থেকে শিলংয়ে এসে উপস্থিত হলেন, সে ব্যাপারে সালাউদ্দিন আহমেদ কিছুই জানাতে পারেননি।
মামলায় কিছু দিনের মধ্যেই অবশ্য জামিন মেলে তার। তখন থেকে আজ অবধি শিলংয়ের একটি বেসরকারি গেস্ট হাউসই তার ঠিকানা। অসুস্থতার জন্য তার চিকিৎসাও চলছে ওই শহরেই। মাঝে মাঝে বাংলাদেশ থেকে স্ত্রী-সন্তান ও বন্ধুবান্ধবরা এসে সেখানে দেখা করে যান।
কিন্তু ভারতে ঢুকে পড়ার ‘অপরাধে’ তাকে জেল খাটতে হবে, নাকি তিনি বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন– সেটা জানার জন্য সালাউদ্দিন আহমেদকে আরও অন্তত মাস দেড়েক অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
Posted ৮:৪১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta