কক্সবাংলা ডটকম(২৭ ডিসেম্বর) :: বেশ কিছুদিন ধরেই মাইলস ব্যান্ড নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। নিজেদের ভেতরকার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এনেছেন দলের প্রধান দুই কাণ্ডারি শাফিন ও হামিন আহমেদ।
এ রকম একটা পরিস্থিতির মধ্যেই শাফিন আহমেদ হাজির হলেন রাজনীতির দুনিয়ায়। আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী হয়েছেন তিনি।
এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) থেকে তাকে এ পদের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। শাফিন দলটির উচ্চ পরিষদের সদস্যও। টকিজের মুখোমুখি হয়ে রাজনীতিতে নিজের নাম লেখানোর কারণ ব্যাখ্যা করলেন শাফিন—
শেষ পর্যন্ত রাজনীতির মাঠে নামলেন—
আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) থেকে আমি মনোনয়ন পেয়েছি। এজন্য আমি ভীষণ আনন্দিত। দ্বিতীয়ত. দল আমাকে যে গুরুদায়িত্ব দেবে, তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। একই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, আমার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের প্রতি, যারা আমার কথা চিন্তা করেছেন এ পদের জন্য।
সংগীতশিল্পী পরিচয়কে পাশে রেখে রাজনৈতিক মঞ্চে দেখা যাবে— এমনটা আগে কি কখনো আপনার ভাবনায় ছিল?
বেশ কয়েক বছর ধরে রাজনীতিতে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা আমার মাথায় ছিল। কারণ আমি তো এ দেশের ছেলে। আমি সংগীত বা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যেভাবে এগিয়েছি এবং মানুষের যে শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছি, তা আমার জীবনে খুব বড় একটা জায়গায় অবস্থান করে। মানুষ যে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে এত বছর ধরে আমার প্রতি সমর্থন দিয়েছেন, পাশে থেকেছেন, এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আর চলতে চলতে মনে হয়েছে, দেশের জন্য কিছু তো করতে পারি; এ ইচ্ছা আমার বেশ আগেই ছিল। শুধু সুযোগ এবং সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম। কারণ যে মানুষগুলোর জন্য জীবনে এত কিছু পেয়েছি, সে মানুষগুলোর জন্য কিছু একটা তো করতে হবে।
এ মুহূর্তে আপনাদের ব্যান্ড মাইলস নিয়ে নানা সংকট চলছে। ঠিক তখনই প্রকাশ্যে রাজনীতির সঙ্গে জড়ালেন। ব্যান্ড ও রাজনীতি— এ দুই জায়গাকে একসঙ্গে সামাল দেয়া কতটা চ্যালেঞ্জের হতে পারে আপনার জন্য?
শুরুতেই বলতে চাই, একদমই চাপ অনুভব করছি না। বরঞ্চ মনে হচ্ছে, যত বড় দায়িত্ব পাব, তা পালনে নিজেকে আরো কঠোরভাবে প্রস্তুত করতে পারব এবং সুষ্ঠুভাবে কাজগুলো করব। যাহোক, এ মুহূর্তে রাজনীতির এ আলোচনার মধ্যে মাইলসকে নিয়ে কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না। আমার মনে হয়, এ নিয়ে অনেক কথা বলে ফেলেছি। ব্যান্ড নিয়ে আমার অবস্থান যেহেতু পরিষ্কার, সেহেতু এ আলোচনায় সে প্রসঙ্গ না আনাই শ্রেয়। আর আমি যে রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়াব, হতে পারে এ ঘোষণাটা নতুন। কিন্তু মানসিকভাবে অনেক আগে থেকেই বেশ প্রস্তুত ছিলাম।
মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হলে কেমন ঢাকা উপহার দিতে চান?
প্রথমত. আমাদের সদ্য প্রয়াত মেয়র আনিসুল হককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং তিনি যে অবদান রেখে গেছেন নগরবাসীর প্রতি, সেগুলোকে আনন্দের সঙ্গে স্বীকৃতি জানাই। এ মুহূর্তে ঢাকা শহরকে নাগরিকের শহরে পরিণত করতে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছি। দিনকয়েকের মধ্যেই সবার সামনে তা নিয়ে হাজির হতে পারব বলে আশা করি।
Posted ৬:৪৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta