কক্সবাংলা ডটকম(২৮ ডিসেম্বর) :: নারীপ্রধান চলচ্চিত্র মানেই ব্যবসায়িকভাবে অসফল— এতদিন ধরে এ মিথই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচলিত। কিন্তু এ ধারণাকে ভ্রান্ত প্রমাণ করেছে নতুন এক গবেষণা।
সম্প্রতি প্রকাশিত এ গবেষণায় দেখা গেছে, নারীপ্রধান চলচ্চিত্র বক্স অফিসে পুরুষকেন্দ্রিক চলচ্চিত্রের চেয়ে বেশি সফল। ক্রিয়েটিভ আর্টিস্টস এজেন্সি ও প্রযুক্তি কোম্পানি শিফট৭ যৌথভাবে গবেষণাটি চালিয়েছে।
২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিপ্রাপ্ত ৩৫০টি সেরা আয়ের ছবিকে নমুনা ধরে এ গবেষণা চালানো হয়। এতেই প্রমাণ মিলেছে, যে ছবির প্রধান চরিত্রে নারী শিল্পী অভিনয় করেছেন, সে ছবিই বেশি অর্থ রোজগার করেছে এবং সফলতা পেয়েছে।
গবেষণার এ ফল প্রকাশের পর এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন ক্রিয়েটিভ আর্টিস্টস এজেন্সি বা সিএএর অন্যতম প্রণেতা ক্রিস্টি হুবেগার। তিনি বলেছেন, ‘বক্স অফিসে নারীদের অবদান থাকা সত্ত্বেও এতদিন এ ইন্ডাস্ট্রিতে ধরে নেয়া হতো, নারীপ্রধান চলচ্চিত্র সাধারণত অসফল হয়।’
মূলত হলিউডে যৌন নিপীড়ন ও অসমতার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা টাইমস আপ মুভমেন্টের সূত্র ধরে যৌথভাবে এ গবেষণা প্রকাশের বিষয়টি সামনে আসে। গবেষণাটিতে উল্লিখিত সময়ের ছবিগুলোর বাজেট ও বিভিন্ন তথ্য হিসেবে সফটওয়্যার কোম্পানি ‘গ্রেসনোট’ প্রদত্ত তথ্যাদি ব্যবহার করা হয়েছে।
এ প্রতিষ্ঠান বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে। গবেষণাটি পরিচালনার জন্য ১০ মিলিয়ন ডলারের কম থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি পরিমাণ বাজেটে নির্মিত ছবিগুলোকে নমুনা হিসেবে চয়ন করা হয়েছে।
এ হিসাবে যে ৩৫০টি ছবিকে নমুনা হিসেবে বাছাই করা হয়েছে, তার মধ্যে ১০৫টি ছবির প্রধান চরিত্রে নারী আর বাকি ২৪৫টি ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন পুরুষ অভিনেতা।
মোয়ানা, ট্রলস, বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট, টিনএজ মিউট্যান্ট নিনজা টারটলস ও ওয়ান্ডার ওম্যানের মতো নারীপ্রধান ছবি রয়েছে এ তালিকায়। এগুলো সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবির তকমা অর্জন করেছে।
গবেষণায় নারীপ্রধান ছবির সফলতার এ প্রমাণ নিয়ে সনি পিকচার্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট অ্যামি প্যাসকেল বলেন, ‘এটা শক্তিশালী প্রমাণ যে, পর্দায় অডিয়েন্স প্রত্যেকেরই অংশগ্রহণ দেখতে চায়।’
‘হলিউডের সিদ্ধান্ত প্রণেতাদের এ বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া জরুরি’ বলেও সনির সাবেক এ কর্তাব্যক্তি মনে করেন।
অন্যদিকে টাইমস আপের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিসা বর্ডারস প্রসঙ্গক্রমে বলেছেন, ‘যেকোনো প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য ইতিবাচক প্রভাব রাখে।’
সূত্র: হাফিংটন পোস্ট ও ইনডিপেনডেন্ট
Posted ২:৫৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta