কক্সবাংলা ডটকম(১৬ ডিসেম্বর) :: চলতি বছর রেকর্ডসংখ্যক সাংবাদিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। করোনা মহামারীর সংবাদ কিংবা গণবিক্ষোভ নিয়ে প্রতিবেদন করায় এসব সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর রয়টার্স।
সিপিজে বলছে, ১ ডিসেম্বর নাগাদ অন্তত ২৭৪ জন সাংবাদিক কারাগারে আটক রয়েছেন।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংগঠনটি ১৯৯০ সাল থেকে উপাত্ত সংগ্রহের পর এটাই সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যা। গত বছর কারাবন্দি ছিলেন অন্তত ২৫০ জন সাংবাদিক।
বিক্ষোভ ও রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে অধিকাংশ সাংবাদিক গ্রেফতারের শিকার হয়েছেন। তাদের অধিকাংশ চীন, তুরস্ক, মিসর ও সৌদি আরবের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারীর মধ্যে কর্তৃত্ববাদী শাসকরা সংবাদ প্রকাশ নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিকদের গ্রেফতার করেছে। অন্তত দুজন সাংবাদিক কারাগারে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন।
সিপিজের নির্বাহী পরিচালক জোয়েল সিমন এক বিবৃতিতে জানান, এটা বেদনাদায়ক ও আতঙ্কজনক যে আমরা বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যে রেকর্ডসংখ্যক সাংবাদিককে কারারুদ্ধ হতে দেখেছি।
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ লালনে বৈশ্বিক নেতৃত্বের অভাব এবং গণমাধ্যমের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আঘাত এতে প্রভাব ফেলেছে। স্বৈরাচারী সরকারগুলো ট্রাম্পের আচরণে আসকারা পেয়েছে।
২০২০ সালে ‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রচারের অভিযোগে ৩৪ জন সাংবাদিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত বছর সেখানে ৩১ জনকে পাঠানো হয়েছিল।
১ ডিসেম্বর নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সাংবাদিক কারাগারে না থাকলেও বর্ণবাদবিরোধী ও পুলিশি নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় ১১০ জনকে আটক করা হয়েছিল।
যে দেশগুলোতে অধিক সাংবাদিক কারাগারে গিয়েছেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বেলারুশ। বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ফলাফল বাতিলে এবং প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগের দাবিতে যে আন্দোলন হয়, তার কাভারেজ দিতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক আটক হয়েছেন। আরেকটি দেশ হচ্ছে হর্ন অব আফ্রিকা ইথিওপিয়া। সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে বিদ্রোহী ও সরকারি সেনাদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ বাধে।
সিপিজের প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগারে পাঠানো দুই-তৃতীয়াংশ সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসবাদে সহায়তা বা নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার মতো রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রায় ২০ শতাংশ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি।
