সোমবার ৩রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

সোমবার ৩রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

২০২৪ সালের সেরা ব্যাংকগুলোর তালিকা প্রকাশ : শীর্ষে ব্র্যাক, সিটি ও প্রাইম

রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
118 ভিউ
২০২৪ সালের সেরা ব্যাংকগুলোর তালিকা প্রকাশ : শীর্ষে ব্র্যাক, সিটি ও প্রাইম

কক্সবাংলা ডটকম :: দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংক নিয়ে এক যুগ আগে ২০১৩ সালে প্রথমবার সেরা ব্যাংক নির্বাচন করা হয়েছে। ব্যাংকগুলোর নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতি বছরই এ র‍্যাংকিং প্রকাশ করা হচ্ছে।

সাধারণত প্রতি বছর জুন-জুলাইয়ে দেশের ব্যাংকগুলোর এ মূল্যায়ন প্রকাশ করা হয়। তবে কয়েকটি ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত হতে দেরি হওয়ায় এ বছর র‍্যাংকিংয়ের প্রস্তুতিও পিছিয়েছে। দেশের ব্যাংকগুলোর ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবার দ্বাদশ র‍্যাংকিং প্রস্তুত করা হয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের ২০২৪ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনার ফলাফল বলছে, দেশসেরা ব্যাংক ব্র্যাক; দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে সিটি ও প্রাইম। প্রাপ্ত স্কোরে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে ইস্টার্ন ও পূবালী ব্যাংক। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অবস্থান ষষ্ঠ।

এবারের র‍্যাংকিংয়ে ৪০-এর বেশি স্কোর পেয়েছে তিনটি ব্যাংক। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৭ দশমিক শূন্য ৮ স্কোর ব্র্যাক ব্যাংকের। সিটি ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংক স্কোর করেছে যথাক্রমে ৪৪ দশমিক ৯৪ ও ৪০ দশমিক ৮১।

অন্যদিকে ১০-এর নিচে স্কোর পাওয়া ব্যাংকের সংখ্যা পাঁচটি। এবার প্রথমবারের মতো ১ হাজার কোটি টাকার বেশি নিট মুনাফা করে ব্র্যাক ও সিটি ব্যাংক এ সূচকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। এবারের র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ দশের সপ্তম থেকে দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে উত্তরা, ট্রাস্ট, মিউচুয়াল ট্রাস্ট (এমটিবি) ও ব্যাংক এশিয়া।

বিভিন্ন ব্যাংকের ২০২৩ সালের আর্থিক প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এবং জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে সেগুলোর আর্থিক কেলেংকারির নানা ঘটনা সামনে আসায় সে বছরের র‍্যাংকিং তৈরি থেকে বিরত থাকে।

এ কারণে ২০২৩ সালের সঙ্গে বর্তমান র‍্যাংকিংয়ে কোনো তুলনা টানা হয়নি। ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবার দ্বাদশ র‍্যাংকিং প্রস্তুত করা হয়েছে। বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুসরণ করে সাতটি নির্দেশকে স্কোরিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর আর্থিক পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হয়েছে।

banksss

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে এবারের র‍্যাংকিং তৈরিতে ৩১টিকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকায় এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংককে র‍্যাংকিং থেকে বাদ রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে প্রথমবারের মতো এবার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এনআরবি ব্যাংক পিএলসি। বরাবরের মতো এবারের র‍্যাংকিং তৈরিতে বিভিন্ন করপোরেট রিসার্চ টিমের সহায়তা নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড।

সারা বিশ্বে কোনো ব্যাংকের সক্ষমতা, পারফরম্যান্স ও প্রকৃত পরিস্থিতির চিত্র বিশ্লেষণে নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড বা নির্দেশক ব্যবহার করা হয়। এগুলো হচ্ছে সম্পদের বিপরীতে আয় (রিটার্ন অন অ্যাসেট বা আরওএ), শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানার বিপরীতে আয় (রিটার্ন অন ইকুইটি বা আরওই), খেলাপি ঋণের (এনপিএল) অনুপাত, কর-পরবর্তী নিট মুনাফা, শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস), মূলধন পর্যাপ্ততার অনুপাত (ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও বা সিএআর) ও শাখাপ্রতি পরিচালন মুনাফা (ওপিবি)।

র‌্যাংকিংয়ে আরওএর ক্ষেত্রে শীর্ষমান নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ শতাংশ। একইভাবে আরওইর ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ, এনপিএলের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ, সিএআরের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, নিট মুনাফার ক্ষেত্রে ১ হাজার কোটি, এনএভিপিএসের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা এবং ওপিবির ক্ষেত্রে ১০ কোটি টাকাকে শীর্ষমান ধরা হয়েছে। আর প্রতিটি নির্দেশকের সর্বোচ্চ নম্বর ধরা হয়েছে ১০। এক্ষেত্রে সাত নির্দেশকের জন্য মোট নম্বর ৭০। পাশাপাশি নিট মুনাফা ও এনএভিপিএস বাদ দিয়ে পাঁচ নির্দেশকেও র‍্যাংকিং তৈরি করে আসছে বণিক বার্তা। পাঁচ নির্দেশকে মোট নম্বর ধরা হয় ৫০।

লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো. মোস্তফা নোমান এবারের র‌্যাংকিং তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘র‍্যাংকিংয়ে থাকা ব্যাংকগুলোর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তাদের পারফরম্যান্সে ব্যাপক বৈষম্য রয়েছে।

শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলো—যেমন ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক—বছরজুড়ে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে। অন্যদিকে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের পারফরম্যান্সে ক্রমাগত অবনতি ঘটেছে।

পুরো ব্যাংক খাতের আরওই ২০২৪ সালে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ থাকলেও আমাদের বিশ্লেষণ করা ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে আরওইর মধ্যম মান ছিল ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে শীর্ষ ১০ ব্যাংকের গড় আরওই ছিল ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ, যা ব্যাংকগুলোর মধ্যে পারফরম্যান্সের ব্যবধানকে স্পষ্ট করে। ব্যাংক খাতের সিএআর ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

র‍্যাংকিংয়ে থাকা ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে সিএআরের গড় ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। শীর্ষ ১০টি ব্যাংকের ক্ষেত্রে এ গড়ের পরিমাণ আরো বেশি ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ, যা তাদের আর্থিক সক্ষমতাকে প্রমাণ করেছে। গত বছর ব্যাংকের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের সব সূচকের মধ্যে খেলাপি ঋণ ছিল সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয়।’

মো. মোস্তফা নোমান আরো ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘২০২৪ সালে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। এর প্রধান কারণ ছিল ঋণ শ্রেণীকরণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির পরিবর্তন। নতুন নীতির ফলে ব্যাংক খাতের প্রকৃত সমস্যাগুলো প্রকাশ পেয়েছে, যা এর আগে গোপন ছিল।

২০২৪ সালে দেশের ব্যাংকগুলোতে আড়াই লাখ কোটি টাকারও বেশি সঞ্চিতি ঘাটতি দেখা গেছে। এক্ষেত্রে মোট সঞ্চিতি ঘাটতির ৫৩ শতাংশের বেশি ছিল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের।

এ বিপুল সঞ্চিতি ঘাটতি দেশের ব্যাংক খাতের একটি গুরুতর ও উচ্চমাত্রায় কেন্দ্রীভূত পদ্ধতিগত দুর্বলতা প্রকাশ করে। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল প্রশাসন ও গোপন করে রাখা খেলাপি ঋণের অবলোপনযোগ্য ঋণের কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’

নিট মুনাফা ও এনএভিপিএস বাদে পাঁচটি নির্দেশকের ভিত্তিতে করা এবারের র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষ পাঁচ ব্যাংক হলো যথাক্রমে ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক। এ পাঁচ ব্যাংকের স্কোর যথাক্রমে ৩২ দশমিক ৬৭, ৩১ দশমিক ৫০, ৩০ দশমিক শূন্য ৮, ২৭ দশমিক ৯০ ও ২৪ দশমিক ৭৩। র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষ দশে থাকা বাকি ব্যাংকগুলো যথাক্রমে উত্তরা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, এনসিসি ব্যাংক ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক।

টানা তিন বছর র‌্যাংকিংয়ে অবনমনের পর ২০২২ সালে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে ব্র্যাক ব্যাংক। এবারের র‍্যাংকিংয়ে ব্যাংকটি শীর্ষস্থান দখল করেছে। সাত ও পাঁচ নির্দেশক—দুই র‍্যাংকিংয়েই শীর্ষে রয়েছে ব্র্যাক। সাত নির্দেশকে ৪৭ দশমিক শূন্য ৮ ও পাঁচ নির্দেশকে ৩২ দশমিক ৬৭ নম্বর পেয়েছে ব্যাংকটি।

সাত নির্দেশকে এবারের র‍্যাংকিংয়ে এনপিএল, সিএআর, নিট মুনাফা ও ওপিবি—চারটিতেই প্রথম স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।

অন্যদিকে আরওএ ও আরওইতে তৃতীয় এবং এনএভিপিএসে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ব্যাংকটি। মূলত আরওএ, আরওই, এনপিএল ও ওপিবিতে ভালো স্কোর পাওয়ার কারণে এবার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

দেশসেরা ব্যাংকের স্বীকৃতিকে গৌরবের বলে মনে করেন ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান। তিনি বলেন, ‘ব্র্যাক ব্যাংকের মূলনীতি হলো ‘সঠিক কাজ করো’। এ ব্যাংকের সব কর্মী এ মূলনীতিকে ধারণ করেন। বিশ্বাস, উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তি—তিনটি মজবুত স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো সুশাসন, স্বচ্ছতা ও কমপ্লায়েন্স। সেরা ব্যাংক হওয়ার ক্ষেত্রে এসব নীতির চর্চা ভূমিকা রেখেছে।’

তারেক রেফাত উল্লাহ খান আরো বলেন, ‘ব্র্যাক ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের অর্ধেকের বেশি দেশের এসএমই খাতে দেয়া হয়েছে। এর পরও আমাদের খেলাপি ঋণের হার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত বছর আমরা দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিট মুনাফা করেছি। আমাদের ব্যাংকের মূলধন সংরক্ষণের অনুপাতও যথেষ্ট শক্তিশালী। ব্র্যাক ব্যাংক একটি শক্তিশালী পাটাতনের ওপর দাঁড়াতে পেরেছে। এর ওপর ভিত্তি করে আগামীতে এ ব্যাংক আরো ভালো করতে পারবে।’

এবার র‍্যাংকিংয়ে ৭০ স্কেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিটি ব্যাংক। ৫০-এর স্কেলের তাদের অবস্থান দ্বিতীয়। সাত নির্দেশকের ভিত্তিতে ব্যাংকটির স্কোর ২০২৪ সালে ৪৪ দশমিক ৯৪ এবং পাঁচ নির্দেশকে ৩১ দশমিক ৫০। সাতটি নির্দেশকের মধ্যে এবার সিটি ব্যাংক আরওই, নিট মুনাফা ও ওপিবিতে প্রথম হয়েছে। আরওএতে দ্বিতীয় ও এনপিএলে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্যাংকটি। তবে পিছিয়ে আছে এনএভি (ষষ্ঠ) ও সিএআর (অষ্টম) নির্দেশকে।

প্রায় ছয় বছর ধরে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শীর্ষ নির্বাহীর (সিইও) দায়িত্বে থাকা মাসরুর আরেফিন বলছেন, ব্যাংক হয়েও তারা মূলত একটা ফিনটেকে রূপ নিচ্ছেন।  তিনি বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে সিটি ব্যাংকের ভিশন ছিল একটা সত্যিকারের “‍ফাইন্যান্সিয়াল সুপারমার্কেট” গড়ে তোলা, যার মূল ইঞ্জিন হবে অটোমেশন ও ডিজিটাল শক্তিমত্তা।

আমাদের মিশন ছিল ব্যাংকের ব্যালান্সশিট পুনর্গঠন করা—রিটেইল লোন চালু করা, আমেরিকান এক্সপ্রেসের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে কার্ড ব্যবসাকে নতুন চেহারা দেয়া, আর করপোরেট-কমার্শিয়াল ও মিডিয়াম লোন সেগমেন্ট নিয়ে নতুন করে ভাবা। ২০১৯ সালে আমি সিইও হওয়ার পর এ ব্যাংকের ঋণ পোর্টফোলিও প্রকৃত অর্থেই বহুমুখী হয়েছে—আমরা ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ঋণে ঢুকেছি, এমনকি ডিজিটাল ন্যানো লোনেও।

বিদ্যুৎ খাতে বড় ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সিটি ব্যাংক যেমন দেশের এক নম্বর, তেমনি মাত্র ৪ হাজার টাকার ছোট ছোট ডিজিটাল ন্যানো লোনেও আমরা শীর্ষে রয়েছি। এরই মধ্যে ন্যানো লোনে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। বিকাশ প্লাটফর্মে দেয়া এ ন্যানো লোন মোট ১ কোটি বারেরও বেশি, ৬৭ লাখ মানুষের কাছে গেছে।’

মাসরুর আরেফিন আরো বলেন, ‘গত ছয় বছরে এ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ৬৯৯ কোটি থেকে বেড়ে ২ হাজার ৩৫১ কোটি টাকায় উন্নীত হযেছে। আর নিট মুনাফা ২২২ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১৫ কোটি টাকা। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া ব্যাংকের রূপান্তরের সুফলই এখন আমরা ভোগ করছি। এ রূপান্তরে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ প্রকৃত অর্থেই যোগ্য অভিভাবকের ভূমিকা রেখেছে।

গত বছর যে দুটি বেসরকারি ব্যাংক হাজার কোটি টাকার বেশি নিট মুনাফা করেছে, তার একটি সিটি ব্যাংক। এ মুনাফা অর্জনের ক্ষেত্রে সব ধরনের ব্যাংকিং ভূমিকা রেখেছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্যোগপূর্ণ সময়েও আমরা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।’

এবারের র‍্যাংকিংয়ে প্রাইম ব্যাংকের অবস্থান তৃতীয়। সাত নির্দেশকে ব্যাংকটির স্কোর ৪০ দশমিক ৮১ এবং পাঁচ নির্দেশকে ৩০ দশমিক শূন্য ৮। আরওই ও সিএআরে প্রাইম ব্যাংক দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং আরওএ ও নিট মুনাফায় ব্যাংকটির অবস্থান চতুর্থ। তবে এনপিএল (পঞ্চম), এনএভিপিএস (সপ্তম) ও ওপিবিতে (সপ্তম) কিছুটা পিছিয়ে আছে প্রাইম ব্যাংক।

ধারাবাহিক উন্নতির বিষয়ে প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হাসান ও. রশীদ বলেন, ‘প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী নতুন সেবা চালু করেছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে লেনদেন সহজ করেছে এবং ঝুঁকি কমিয়েছে। এর ফলে ব্যাংক শৃঙ্খলাপরায়ণ, সুশাসিত ও উৎকৃষ্ট গ্রাহকসেবার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নে গত কয়েক বছর আমরা যে বিনিয়োগ করেছি, এখন সেটির প্রতিদান পাচ্ছি। ব্যাংকের সামগ্রিক কার্যক্রম সেন্ট্রালাইজ মডেলে নিয়ে আসা হয়েছে।

এটি ব্যাংকের পরিচালন ও নিট মুনাফা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে। অন্যদিকে ঋণ বিতরণ বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছি। গ্রাহকদের আমানতের সুরক্ষা দেয়াকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছতা ও নিয়মিত সেবা আমাদের প্রতি গ্রাহকের বিশ্বাস আরো দৃঢ় করেছে। আমরা এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ইস্টার্ন ব্যাংক ২০২১ ও ২০২২ সালের সাতটি নির্দেশকের র‍্যাংকিংয়ে প্রথম স্থানে ছিল। এবারের র‍্যাংকিংয়ে ব্যাংকটির অবস্থান চতুর্থ। ৭০-এর স্কেলে ব্যাংকটির স্কোর ৩৭ দশমিক ৬৬ এবং ৫০-এর স্কেলে স্কোর ২৭ দশমিক ৯০। সাতটি নির্দেশকের মধ্যে ইস্টার্ন ব্যাংক ওপিবিতে প্রথম ও এনপিএলে দ্বিতীয় অবস্থানে। তাছাড়া আরওএ, আরওই ও নিট মুনাফায় ব্যাংকটির অবস্থান পঞ্চম। ব্যাংকটির তুলনামূলক দুর্বল দিক সিএআর (১১তম) ও এনএভি (নবম)।

বণিক বার্তার র‌্যাংকিংয়ে ধারাবাহিক উন্নতি করছে পূবালী ব্যাংক। এবারের র‍্যাংকিংয়ে দেশের প্রথম প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংকটির অবস্থান পঞ্চম। ব্যাংকটির সবল দিক এনএভিপিএস (দ্বিতীয়) ও নিট মুনাফা (তৃতীয়)। তাছাড়া আরওইতে ষষ্ঠ ও আরওএতে সপ্তম স্থানে রয়েছে ব্যাংকটি। তবে পিছিয়ে আছে সিএআর (১৪তম) ও ওপিবির (১৮তম) দিক দিয়ে।

২০২৪ সালে ৭০ স্কেলের র‌্যাংকিংয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অবস্থান ষষ্ঠ। আর ৫০-এর স্কেলে দশম। এবারের র‍্যাংকিংয়ে ব্যাংকটি দুটি নির্দেশকে যথাক্রমে ৩২ দশমিক ৭১ ও ২২ দশমিক ১০ নম্বর পেয়েছে। এনএভিপিএসের দিক থেকে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অবস্থান শীর্ষস্থানে। আর সর্বোচ্চ নিট মুনাফার দিক থেকে সপ্তম স্থানে রয়েছে ব্যাংকটি। শাখাপ্রতি মুনাফার দিক দিয়ে ব্যাংকটির অবস্থান অষ্টম। তবে পিছিয়ে আছে আরওএ (দশম), আরওই (দশম), সিএআর (১২তম) ও এনপিএলে (১৩তম)।

এবারের র‍্যাংকিংয়ে উত্তরা ব্যাংক ৩২ দশমিক ৩০ স্কোর পেয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে। উত্তরা ব্যাংকের শক্তির জায়গা আরওএ এবং আরওই। সিআরআরের ক্ষেত্রেও ব্যাংকটির শক্ত অবস্থান রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির দুর্বল অবস্থান দেখা গেছে শাখাপ্রতি পরিচালন মুনাফার ক্ষেত্রে।

র‍্যাংকিংয়ে অষ্টম স্থান দখল করেছে ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি। সাত নির্দেশকে ব্যাংকটির স্কোর ৩১ দশমিক ২১। ব্যাংকটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে শাখাপ্রতি মুনাফার সূচকে ভর করে। এ সূচকে অন্য পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে ট্রাস্টও পূর্ণ নম্বর পেয়েছে। আরওই ও নিট মুনাফার দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংক। কিন্তু সিএআর, আরওএ, খেলাপি ঋণের হার ও এনএভিপিএসের দিক থেকে পিছিয়ে আছে।

ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান জামান চৌধুরী বলেন, ‘এ ব্যাংকের শক্তির জায়গা হলো “‍আস্থা”। দেশের মানুষ মনে করেন, ট্রাস্ট ব্যাংক কখনই গ্রাহকদের বিশ্বাসের বিরোধী কিছু করবে না। আমরা গ্রাহকদের এ আস্থার প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করছি। ব্যাংকের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানো হচ্ছে। যাত্রার সময় এ ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ছিল মাত্র ২০ কোটি টাকা। এ কারণে সিআরআরের ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি। তবে মূলধন বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। আশা করছি, আগামী দিনগুলোতে ট্রাস্ট ব্যাংক আরো ভালো করবে।’

সাতটি নির্দেশকের র‍্যাংকিংয়ে এবার নবম স্থানে রয়েছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, অন্যদিকে পাঁচটি নির্দেশকে সপ্তম। সাত নির্দেশকে ব্যাংকটির স্কোর ২৯ দশমিক ৫৯। ওপিবিতে ষষ্ঠ ও আরওএ, আরওই ও নিট মুনাফার দিক থেকে নবম স্থানে রয়েছে ব্যাংকটি। তবে ব্যাংকটির দুর্বল দিক সিএআর। এক্ষেত্রে এমটিবির অবস্থান ১৭তম।

এ বিষয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এমটিবির কিছু লিগ্যাসি আছে। সেগুলোর কারণে কিছু সূচকে হয়তো পিছিয়ে আছে। কিন্তু আমরা গত কয়েক বছরে ধারাবাহিক উন্নতি করেছি। ব্যাংকের যাবতীয় কাজ অটোমেশনের আওতায় এসেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মকে গ্রাহকদের জন্য সহজলভ্য করা হয়েছে। এ ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে। সব ক্ষেত্রেই এমটিবি একটি উজ্জ্বল ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড়াতে পেরেছে।’

এবারের র‍্যাংকিংয়ে ব্যাংক এশিয়া সাতটি নির্দেশকে দশম স্থান দখল করেছে। পাঁচটি সূচকে অবস্থান অষ্টম। শাখাপ্রতি ১০ কোটি টাকার বেশি আয় করে ব্যাংকটি এ নির্দেশকে পূর্ণ নম্বর পেয়েছে। আর সিএআরের ক্ষেত্রেও এগিয়ে আছে ব্যাংকটি। তবে পিছিয়ে পড়েছে খেলাপি ঋণের হার, আরওএ, আরওই ও এনএভির ক্ষেত্রে।

এনসিসি ব্যাংক সাত নির্দেশকের র‍্যাংকিংয়ে ১১তম স্থানে রয়েছে। আর পাঁচ নির্দেশকে আছে নবম স্থানে। সিএআরে সপ্তম এবং ওপিবিতে দশম স্থানে রয়েছে ব্যাংকটি। তবে আরওএ, আরওই, এনপিএল, নিট মুনাফা ও এনএভিপিএসে কিছুটা পিছিয়ে আছে।

যমুনা ব্যাংক ৭০ ও ৫০ দুই স্কেলেই এবার ১২তম স্থান অর্জন করেছে। সিএআরে চতুর্থ, আরওএ ও আরওইতে অষ্টম এবং এনপিএলে দশম স্থানে রয়েছে ব্যাংকটি। তবে পিছিয়ে আছে নিট মুনাফা, এনএভিপিএস এবং ওপিবিতে।

এবারের র‍্যাংকিংয়ে সাত নির্দেশকে ঢাকা ব্যাংকের অবস্থান ১৩তম। পাঁচ নির্দেশকে ১৪তম স্থানে রয়েছে ব্যাংকটি। এনপিএলে সপ্তম এবং ওপিবিতে নবম স্থানে থাকা ঢাকা ব্যাংক বাকি পাঁচ নির্দেশকে পিছিয়ে আছে।

মিডল্যান্ড ব্যাংক সাত নির্দেশকের ভিত্তিতে করা র‍্যাংকিংয়ে আছে ১৪তম স্থানে, পাঁচ নির্দেশকে ১১তম। সিএআরে তৃতীয়, এনপিএলে চতুর্থ ও আরওএতে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করা মিডল্যান্ড ব্যাংক পিছিয়ে আছে আরওই, ওপিবি, নিট মুনাফা ও এনএভিপিএসে।

সেরা ব্যাংকের তালিকায় এবার সাত ও পাঁচ—উভয় নির্দেশকেই ১৫তম স্থানে রয়েছে শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংক। শাখাপ্রতি মুনাফায় ১২তম এবং সিএআর ও নিট মুনাফায় ১৩তম স্থানে থাকলেও ব্যাংকটি পিছিয়ে আছে আরওএ, আরওই, এনপিএল ও এনএভিপিএসের দিক দিয়ে।

ওয়ান ব্যাংক এবারের র‍্যাংকিংয়ে ১৬তম স্থান অধিকার করেছে। ওপিবিতে ১৩তম এবং আরওএ, সিএআর ও নিট মুনাফায় ১৫তম অবস্থানে থাকলেও আরওই, এনপিএল ও এনএভিতে পিছিয়ে রয়েছে ওয়ান ব্যাংক।

এবার ৭০ ও ৫০ দুই স্কেলের র‍্যাংকিংয়েই ১৭তম স্থানে রয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংক। ওপিবিতে ১১তম স্থানে থাকলেও ব্যাংকটি পিছিয়ে আছে আরওএ, আরওই, এনপিএল, সিএআর, নিট মুনাফা ও এনএভিপিএসে।

২০২৪ সালের পারফরম্যান্সে অর্থাৎ এবারের র‍্যাংকিংয়ে ১৮তম স্থানে আছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। সিএআরে নবম স্থানে থাকলেও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক বাকি ছয়টি নির্দেশকে পিছিয়ে রয়েছে।

সম্পদ ও দায়ের দিক দিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। এবারের র‍্যাংকিংয়ে ব্যাংকটি সাত নির্দেশকে ১৯তম ও পাঁচ নির্দেশকে ২৪তম অবস্থানে রয়েছে। এনএভিপিএসে তৃতীয় স্থান অর্জন করলেও বাকি নির্দেশকগুলোতে পিছিয়ে আছে ব্যাংকটি।

সাতটি নির্দেশকের ভিত্তিতে করা র‍্যাংকিংয়ে এবার ২০তম অবস্থানে আছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক। আর পাঁচটি নির্দেশকের র‍্যাংকিংয়ে ব্যাংকটির অবস্থান ১৯তম। এনএভিপিএসে ১৩তম এবং ওপিবিতে ১৪তম অবস্থানে রয়েছে ব্যাংকটি। তবে পিছিয়ে আছে এনপিএল, সিএআর, আরওএ, আরওই এবং ওপিবিতে।

এনএভিপিএসে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও এনপিএল, নিট মুনাফা, আরওএ, আরওই, সিএআর এবং ওপিবিতে পিছিয়ে আছে মার্কেন্টাইল ব্যাংক। ২০২৪ সালের র‍্যাংকিংয়ে ব্যাংকটির অবস্থান ২১। আরওই ও এনপিএলে ১৯তম স্থানে থাকা আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিছিয়ে আছে আরওএ, সিএআর, নিট মুনাফা, এনএভি এবং ওপিবিতে। সাত নির্দেশকে ২০২৪ সালে তাদের অবস্থান ২২তম।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে পর্ষদ ভেঙে দেয়া চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর একটি এনআরবি ব্যাংক পিএলসি। ২০২৪ সালের র‍্যাংকিংয়ে এ ব্যাংকটি রয়েছে ২৩তম স্থানে। ৭০ স্কোরের মধ্যে এনআরবি ব্যাংক পিএলসি ১৩ দশমিক ৩৭ পেয়েছে। এ র‍্যাংকিংয়ে ২০১৩ সালে যাত্রা করা অন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক (এসবিএসি) ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের অবস্থান যথাক্রমে ২৪ ও ২৬তম।

পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের পর ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে জানান এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ ওবিই। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকটিকে এগিয়ে নিতে পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় এখন একঝাঁক নিবেদিতপ্রাণ কর্মী রয়েছে। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে আমাদের কলেবর এখনো ছোট। তবে আমরা বড় হওয়ার চেষ্টা করছি। এ ব্যাংকটি প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বপ্নের ব্যাংক। এ স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে ব্যাংকটিকে ভালো করতেই হবে।’

প্রিমিয়ার ব্যাংক এবারের র‍্যাংকিংয়ে ৭০ স্কেলে ২৫তম এবং ৫০ স্কেলে ২৬তম স্থান অর্জন করেছে। ব্যাংকটি নিট মুনাফায় ১৪তম স্থানে থাকলেও পিছিয়ে আছে আরওএ, আরওই, এনপিএল, সিএআর, এনএভি এবং ওপিবিতে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক এনএভিপিএসে পঞ্চম স্থান ধরে রাখলেও পিছিয়ে আছে বাকি ছয় নির্দেশকে। র‍্যাংকিংয়ে তাদের অবস্থান ২৭।

আইএফআইসি ব্যাংক ২৮তম স্থানে রয়েছে। ব্যাংকটি পিছিয়ে রয়েছে আরওএ, আরওই, এনপিএল, সিএআর, নিট মুনাফা এবং ওপিবিতে। সবগুলো নির্দেশকেই পিছিয়ে থাকা এবি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক এবারের র‍্যাংকিংয়ে যথাক্রমে ২৯, ৩০ ও ৩১তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে।

র‍্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর সঞ্চিতি সংরক্ষণের বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সঞ্চিতির সঙ্গে ব্যাংকের নিট মুনাফা ও মূলধন পর্যাপ্ততার সম্পর্ক রয়েছে। সঞ্চিতি ঘাটতি থাকলে সেটি ব্যাংকের নিট মুনাফা ও মূলধন পর্যাপ্ততার অনুপাতকে প্রভাবিত করে। এবারের র‍্যাংকিংয়ে থাকা ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে ১৬টির ২০২৪ সাল শেষে বড় ধরনের সঞ্চিতি ঘাটতি ছিল।

এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের ৬৬ হাজার ৬২ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংকের ২০ হাজার ৭০১ কোটি, এবি ব্যাংকের ১৯ হাজার ৭৭০ কোটি, আইএফআইসি ব্যাংকের ১৮ হাজার ৫৫৭ কোটি, রূপালী ব্যাংকের ১৫ হাজার ৩৭৫ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬ হাজার ১৮৮ কোটি, আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংকের ৩ হাজার ৯৩৯ কোটি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৩ হাজার ৩৮৭ কোটি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৩ হাজার ৩৪৯ কোটি, ওয়ান ব্যাংকের ১ হাজার ৭৯৭ কোটি, সাউথইস্ট ব্যাংকের ১ হাজার ৫৩৯ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ১ হাজার ৭০১ কোটি, এনআরবিসি ব্যাংকের ৯৪৩ কোটি, এসবিএসি ব্যাংকের ৬৫৬ কোটি, ঢাকা ব্যাংকের ৫০০ কোটি ও এনআরবি ব্যাংকের ২৭০ কোটি টাকার সঞ্চিতি ঘাটতি ছিল।

পরবর্তী সময়ে এ সঞ্চিতি ঘাটতি সমন্বয় করা হবে এমন শর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ছাড় নিয়ে এ ব্যাংকগুলো আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। যদি ব্যাংকগুলোকে এ সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হতো, তাহলে তাদের নিট মুনাফার পরিবর্তে নিট লোকসান গুনতে হতো এবং মূলধন পর্যাপ্ততার ক্ষেত্রেও বড় ধরনের প্রভাব পড়ত। এতে র‍্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব প্রতিফলিত হতো।

118 ভিউ

Posted ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

SunMonTueWedThuFriSat
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30 

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : Shaheed sharanee road, cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com